ফিফা বালোঁ দর
ফিফা ব্যালন ডি’অর বা ফিফা বালোঁ দর (ফরাসি: FIFA Ballon d'Or, ফরাসি উচ্চারণ: [balɔ̃ dɔʁ], "সোনালী বল") এক ধরনের ফুটবল পদক যা বিশ্ব ফুটবলের প্রধান সংগঠন ফিফা কর্তৃক পরিচালিত হয়। এটি সাংবার্ষিকভাবে পূর্বের বছরের অসাধারণ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনকারী বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ফুটবল খেলোয়াড়কে পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়ে থাকে। পুরুষ বিভাগে বালোঁ দর পদক প্রদান করা হয়ে থাকে। ভোটাভুটির মাধ্যমে বিশ্বের সেরা ফুটবল খেলোয়াড়কে নির্বাচন করা হয়। আন্তর্জাতিক ফুটবল দলগুলোর কোচ ও অধিনায়ক-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রীড়া সাংবাদিকগণ তাদের স্ব-স্ব ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে যোগ্যতম খেলোয়াড়কে খুঁজে বের করে পুরস্কৃত করেন।[১][২]
প্রেক্ষাপট
সম্পাদনাফিফা বালোঁ দর পুরস্কারটি ২০১০ সাল থেকে প্রবর্তিত হয়েছে। ফ্রান্সের দ্বি-সাপ্তাহিক পত্রিকা ফ্রান্স ফুটবল কর্তৃক প্রদেয় বালোঁ দর এবং ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার পদক একীভূত হয়ে ফিফা বালোঁ দর পদক হিসেবে বর্তমানে পরিচিতি লাভ করেছে। তন্মধ্যে বর্তমানে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার পদকটি মহিলাদের মাঝে প্রদান করা হয়। অভিষেক বর্ষেই পুরস্কার পেয়েছিলেন আর্জেন্টিনা তথা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসি। স্মর্তব্য যে, তিনি এর পূর্বের বছরও বালোঁ দর পুরস্কারটি পেয়েছিলেন। ২০১১ সালে মেসি পুনরায় এ পদক পেয়ে ধারাবাহিকভাবে ৪র্থবারের মতো বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদা লাভ করেছেন।[৩][৪]
পদক বিজয়ীদের তালিকা
সম্পাদনাবিজয়ীদের তালিকা
সম্পাদনাবছর | ক্রম | খেলোয়াড় | দল | |
---|---|---|---|---|
২০১০ | ১ম | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | |
২য় | আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা | বার্সেলোনা | ||
৩য় | জাভি | বার্সেলোনা | ||
২০১১ | ১ম | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | |
২য় | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
৩য় | জাভি | বার্সেলোনা | ||
২০১২ | ১ম | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | |
২য় | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
৩য় | ইনিয়েস্তা | বার্সেলোনা | ||
২০১৩ | ১ম | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | রিয়াল মাদ্রিদ | |
২য় | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | ||
৩য় | রিবেরি | বায়ার্ন মিউনিখ | ||
২০১৪ | ১ম | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | রিয়াল মাদ্রিদ | |
২য় | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | ||
৩য় | ম্যানুয়েল নয়্যার | বায়ার্ন মিউনিখ | ||
২০১৫ | ১ম | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | |
২য় | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
৩য় | নেইমার | বার্সেলোনা |
ক্লাব পর্যায়ে
সম্পাদনাক্লাবের নাম | ১ম স্থান | ২য় স্থান | ৩য় স্থান | |
---|---|---|---|---|
১ | এফসি বার্সেলোনা | ৪ (২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫) | ৩ (২০১০, ২০১৩, ২০১৪) | ৪ (২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫) |
২ | রিয়াল মাদ্রিদ | ২ (২০১৩, ২০১৪) | ৩ (২০১১, ২০১২, ২০১৫) | ০ |
৩ | বায়ার্ন মিউনিখ | ০ | ০ | ২ (২০১৩, ২০১৪) |
দেশ অনুযায়ী
সম্পাদনাদেশ | ১ম স্থান | ২য় স্থান | ৩য় স্থান | |
---|---|---|---|---|
১ | আর্জেন্টিনা | ৪ (২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫) | ২ (২০১৩, ২০১৪) | ০ |
২ | পর্তুগাল | ২ (২০১৩, ২০১৪) | ৩ (২০১১, ২০১২, ২০১৫) | ০ |
৩ | স্পেন | ০ | ১ (২০১০) | ৩ (২০১০, ২০১১, ২০১২) |
৪ | ফ্রান্স | ০ | ০ | ১ (২০১৩) |
৫ | জার্মানি | ০ | ০ | ১ (২০১৪) |
৬ | ব্রাজিল | ০ | ০ | ১ (২০১৫) |
ব্যক্তিগত পর্যায়ে
সম্পাদনাখেলোয়াড়ের নাম | ১ম স্থান | ২য় স্থান | ৩য় স্থান | |
---|---|---|---|---|
১ | লিওনেল মেসি | ৪ | ২ | ০ |
২ | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | ২ | ৩ | ০ |
৩ | আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা | ০ | ১ | ১ |
৪ | জাভি হার্নান্দেজ | ০ | ০ | ২ |
৫ | ফ্রাংক রিবেরি | ০ | ০ | ১ |
৬ | ম্যানুয়েল নয়্যার | ০ | ০ | ১ |
৭ | নেইমার | ০ | ০ | ১ |
সম্মানসূচক বালোঁ দর (প্রি দনর)
সম্পাদনা১৯৯০ সালে প্রথমবার ডিয়োগো ম্যারাডোনা কে ব্যালনডোর সম্মান সূচক পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে ২০১৪ সালে পেলেকে সম্মানসূচক বালোঁ দর পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তিনি তিনবার ব্রাজিলকে ফিফা বিশ্বকাপ জয়ে সহায়তা করেন। কিন্তু তিনি ফিফা কর্তৃক ব্যক্তিগতভাবে কোন পুরস্কারে ভূষিত হননি। ঐসময় কেবলমাত্র ইউরোপভিত্তিক দলগুলোর ফুটবলাররা প্রকৃত বালোঁ দর পুরস্কার জয়লাভের জন্য বিবেচিত হতেন।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ https://www.cambridge.org/core/journals/perspectives-on-politics/article/abs/messi-ronaldo-and-the-politics-of-celebrity-elections-voting-for-the-best-soccer-player-in-the-world/36CB5CB44D4C06866305408163A49290
- ↑ https://www.sportbible.com/football/ballon-dor-votes-lionel-messi-cristiano-ronaldo-665271-20230302
- ↑ "Messi crowned world's best"। ESPN। ৯ জানুয়ারি ২০১২। ১২ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Messi, Sawa, Guardiola and Sasaki triumph at FIFA Ballon d'Or 2011"। FIFA.com। ৯ জানুয়ারি ২০১২। ১৪ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Pele receives FIFA Ballon d'Or Prix d'Honneur"। FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। ১৩ জানুয়ারি ২০১৪। ১০ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৪।