ফাঁসিতলা
ফাঁসিতলা কামারদহ ইউনিয়ন-এ অবস্থিত একটি বাজার।
ফাঁসিতলা | |
---|---|
বাংলাদেশে ফাঁসিতলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫′৪৪″ উত্তর ৮৯°২২′৫৩″ পূর্ব / ২৫.০৯৫৫৬° উত্তর ৮৯.৩৮১৩৯° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | গাইবান্ধা জেলা |
উপজেলা | গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা |
জনসংখ্যা | |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৭৪০ |
ইতিহাস
সম্পাদনাজনশ্রুতি অনুসারে,বহুদিন আগে এখানে একটি বড় বট বৃক্ষের সাথে মানুষের ফাঁসি (কতজনের হয়েছিল তা জানা যায় নি) হয়েছিল এবং সেই থেকে এলাকাটির নামকরণ করা হয় ফাঁসিতলা।
অবস্থান
সম্পাদনাকরতোয়া নদীর পূর্ব,কোচাশহর ইউনিয়নের পশ্চিম, বগুড়ার উত্তর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন এবং রংপুরের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত কামারদহ ইউনিয়নের প্রাণস্থলে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের পাশে ফাঁসিতলার অবস্থান। [১]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাকলেজ
- একরামুল হক আইডিয়াল এন্ড কম্পিউটার বিজ্ঞান কলেজ
উচ্চ বিদ্যালয়
প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ফাঁসিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ফাঁসিতলা প্রি-ক্যাডেট স্কুল
- ফাঁসিতলা কে.জি স্কুল
- ফাঁসিতলা মডেল স্কুল
- ফাঁসিতলা রহিম উদ্দিন কে.জি স্কুল
মাদ্রাসা
- ফাঁসতলা নূরে-মাদিনা হাফেজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনা- ফাঁসিতলা জামে মসজিদ
- ফাঁসিতলা পূজা মন্দির
সংগঠন
সম্পাদনা- ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগার
- ফাঁসিতলা ছাত্র যুব কল্যাণ সংঘ
অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
সম্পাদনামূলত, ফাঁসিতলার সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ফাঁসিতলা বাজারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়। বাজারকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠেছে বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান। বাজারের অদূরে দেশের পাট ও কাগজ শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গড়ে ওঠেছে জুট মিল এবং পেপার মিল। ( ফাঁসিতলা মাস্তা গ্রামে প্রচুর পরিমাণে আখ উৎপন্ন করে কৃষকরা।যা গ্রীষ্মের সময় বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়।এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বাজার
সম্পাদনাফাঁসিতলা বাজার গোবিন্দগঞ্জ তথা সমগ্র গাইবান্ধা জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি বাজার। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন সমপন্ন করে থাকে। কলা এবং কাঁচা বাজারের জন্য বাজারটির বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের দুইপাশে গড়ে ওঠে এসব বাজার। প্রায় দুই-তিন উপজেলার মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। [২]
আর্থিক প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাশহীদ নুরুল হোসেন বৈশাখী মেলা
সম্পাদনাফাঁসিতলা গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একটি প্রাচীন জনপদ। ফাঁসিতলা নামের সঙ্গে রয়েছে অনেক কিংবদন্তি। এর পুরাতত্ত্ব ও ইতিহাস অনেক প্রাচীন। লোকসংস্কৃতির সঙ্গে ফাঁসিতলার যোগসূত্র দীর্ঘকালের। বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে ফাঁসিতলায় সার্কাস, পুতুল নাচ আর যাত্রাগান চলে আসছে হাত ধরাধরি করে। সেই আদিকাল থেকে যাত্রার সঙ্গে বৈশাখের একটি যোগসূত্র তৈরি হয়েছে এই ফাঁসিতলা থেকে।বর্তমানে সেকেলের যাত্রার ঐতিহ্য নেই বললেই চলে। সাধারণত মেলা ফাঁসিতলা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়-এর প্রাঙ্গণে বসে থাকে।মেলা উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে মাছ-মিষ্টি পাঠানো ও দাওয়াত এক অন্যতম প্রথা। বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস, ,মাটির হাড়ি-পাতিল, খেলনা, নাগরদোলা,সার্কাস ইত্যাদি মেলায় ভিন্নমাত্রা যোগ করে। [৩]
স্বাস্থ্য
সম্পাদনা- কামারদহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ফাঁসিতলার অবস্থান"। MAPS.ME। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "ফাঁসিতলা বাজার"। দৈনিক গাইবান্ধা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "ফাঁসিতলা ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা"। প্রথম আলো। ৯ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮।