দর্শন (philosophy) জ্ঞানের অন্যতম প্রাচীন একটি শাখা। ফিলোসফি শব্দটির প্রথম ব্যবহার করেছিলেন গ্রিক চিন্তাবিদ ও গণিতজ্ঞ পিথাগোরাস। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ অব্দের দিকে শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়। পিথাগোরাস নিজেকে প্রাজ্ঞ ভাবতেন না, বরং প্রজ্ঞার অনুরাগী ভাবতেন। তিনিই ফিলোসফি শব্দটি ব্যবহার করেন love of wisdom তথা প্রজ্ঞার প্রতি অনুরাগ অর্থে। দর্শনের সংজ্ঞা হিসেবে এই বিষয়টিকেই গ্রহণ করা যায়। আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে দর্শন জ্ঞানের এমন একটি ধারা যা, মানুষের কীভাবে জীবন নির্বাহ করা উচিত (নীতিবিদ্যা); কোন ধরনের বস্তুর অস্তিত্ব রয়েছে এবং তাদের প্রকৃতি কি (অধিবিদ্যা); প্রকৃত জ্ঞান বলতে কোন জিনিসটিকে বোঝায় এবং কারণ প্রদর্শনের সঠিক নীতিগুলো কি কি (যুক্তিবিদ্যা); এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে।
দর্শন শব্দটি ইংরেজি philosophy শব্দ থেকে এসেছে। ফিলোসফি শব্দটি এসেছে প্রাচীন গ্রিক ভাষা থেকে। গ্রিক ভাষায় φιλοσοφία (philosophía) শব্দটি দুটি শব্দ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। শব্দ দুটি হল: φίλος (ফিলোস: বন্ধু, ভালোবাসার পাত্র) এবং σοφία (সোফিয়া: প্রজ্ঞা)। এ থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায়, দর্শনের সাথে মূল সম্পর্ক হচ্ছে প্রজ্ঞার, আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, প্রজ্ঞার প্রতি ভালোবাসার। জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা এক জিনিস নয়। ঘটনা ও তথ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ও নির্ভুল ধারণা থেকে জ্ঞান লাভ করা যায়, কিন্তু দার্শনিক (যিনি দর্শন চর্চা করেন তাকেই দার্শনিক বলা হয়) কেবল তথ্যগত জ্ঞানের উপর নির্ভর করেন না। দর্শনের প্রধান কাম্য বিষয় প্রজ্ঞা। প্রজ্ঞার অনুসন্ধান ও চর্চার মাধ্যমেই দর্শন বিকাশ লাভ করে। পিথাগোরাস সারা জীবন প্রজ্ঞার সাধনা করেছেন, কখনও জ্ঞানের গরিমা অনুভব করেননি। এজন্য তিনি দার্শনিক হিসেবে বিদগ্ধ। দর্শনের জন্য যে প্রজ্ঞা কাম্য তার মধ্যে রয়েছে, অন্তর্দৃষ্টি, দৃষ্টিভঙ্গির অভ্রান্ততা, বিচারের ভারসাম্য ও বিশ্লেষণের সামঞ্জস্য।
নির্বাচিত নিবন্ধ
সুন সু যিনি সুন যু বা সুনযি নামেই বেশি পরিচিত, (সরলীকৃত চীনা: 孙子; প্রথাগত চীনা: 孫子; ফিনিন: Sūnzǐ; (উচ্চারণ [swə́n tsɨ̀]), ছিলেন প্রাচীন চীনের একজন সমরনায়ক, যুদ্ধকৌশলী ও দার্শনিক। তাকে "দ্য আর্ট অফ ওয়ার" বা "রণকৌশল" নামক যুদ্ধবিদ্যার প্রাচীন চৈনিক বইটির রচয়িতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর্ট অব ওয়ার এর রচয়িতা এবং একজন কিংবদন্তী চরিত্র হিসেবে সুন সু চৈনিক ও এশীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব রেখেছেন।
ইতিহাসবিদদের মতে, ঐতিহাসিক চরিত্র হিসেবে সুন সু'র প্রামাণ্যতা প্রশ্নবিদ্বকর। সাধারণত তাকে চীনের বসন্ত ও শরৎ যুগের (সময়কালঃ খ্রিষ্টপূর্ব ৭২২- খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮১) ঊ রাজ্যের রাজা হেলুর একজন সেনানায়ক হিসেবে মনে করা হয়। তবে আধুনিক গবেষকগণ তাকে "ওয়ারিং স্টেট পিরিয়ড" বা "যুদ্ধরত রাজ্য" সময়কার একজন মনে করেন। কারণ, তার রচিত "আর্ট অব ওয়ার" এর যুদ্ধ-বিগ্রহের বর্ণনার সঙ্গে তারা "যুদ্ধরত রাজ্য" সময়কার প্রথমদিকে রচিত অন্যান্য রচনার মিল খুঁজে পান।
…that a successful experimental system must be stable and reproducible enough for scientists to make sense of the system's behavior, but unpredictable enough that it can produce useful results?
…that the ancient Chinese text Huangdi Yinfujing, attributed to the mythical emperor Huangdi in the 3rd century BCE, may have been a forgery from the Tang Dynasty (618–907 CE)?
…that before the 17th century it was believed that all organisms grew from miniature versions of themselves that had existed since the beginning of creation, a theory called preformationism?
…that children have trouble attributing implicit meaning to aspect verbs implicating non-completion such as start, but find implicit meaning in degree modifiers such as half, as in half-finished?
…that the philosopher Sebastian Petrycy (pictured) (1554–1626), in Poland, created a vernacular philosophical terminology not much later than did philosophers in France and Germany?
…that Bron Taylor coined the term "dark green religion" as a set of beliefs characterized by a conviction that "nature is sacred, has intrinsic value, and is therefore due reverent care"?
…that Jagadguru Rāmabhadrācārya (pictured), a blindHindu religious leader, has observed nine Payovrata, a six-month diet of only milk and fruits, per the fifth verse of the Dohāvalī composed by Tulasidāsa, which says that chanting the name of Rāma subsisting on a diet of milk and fruits for six months will result in all the auspiciousness and accomplishments in one's hand?
দর্শন সর্বদা সেসব মৌলিকতম প্রশ্নে বিচরণ করে বেড়ায় যেগুলোর ব্যাপারে মানব জাতি জানার আগ্রহ প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে। এগুলো সংখ্যায় অসংখ্য এবং সময়ের আবর্তনে তারা দর্শন বৃক্ষের বহুসংখ্যক পুনরাবৃত্তিমূলক শাখায় সুসজ্জিত হয়েছে:
নন্দনতত্ত্ব: শিল্প কি? সৌন্দর্য কি? রুচির মানদণ্ড কি? শিল্প কি অর্থপূর্ণ? যদি তাই হয়, তবে এর অর্থ কি? উত্তম শিল্প কি? শিল্প কি একটি সমাপ্তির কারণ নাকি শিল্প নিজের প্রয়োজনেই নিজে উদ্ভাবিত? কি আমাদেরকে শিল্পের সাথে সংযুক্ত করে? কীভাবে শিল্প আমাদের প্রভাবিত করে? এটি কি অনৈতিক? শিল্প কি সমাজকে উপরে ওঠাতে বা নিচে নামাতে পারে?
জ্ঞানতত্ত্ব: জ্ঞানের প্রকৃতি ও সীমাবদ্ধতাগুলো কি কি? কোনটি মানব অস্তিত্বের ভিত্তি হিসেবে অধিক মৌলিক, জানা (জ্ঞানতত্ত্ব) নাকি অবস্থান করা (বস্তুগত অধিবিদ্যা)? আমরা যা জানি তা কীভাবে জানতে পারলাম? জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা কি কি? আমরা কীভাবে জানতে পারব যে আশেপাশে আরও মনোজগত আছে (যদি আমরা পারি)? কীভাবে আমরা জানতে পারব যে দৃশ্যমান জগতের বাইরেও একটি জগত আছে (যদি আমরা পারি)? কীভাবে আমরা আমাদের উত্তরকে প্রমাণ করব? সত্য স্বীকারোক্তি কি?
নীতিশাস্ত্র: ভুল এবং সঠিক কাজের (বা মূল্যবোধের বা প্রতিষ্ঠানের) মধ্যে আসলেই কি কোন নীতিগত পার্থক্য আছে? যদি থাকে, সে পার্থক্যটা কি? কোন কাজটা ভালো আর কোনটা মন্দ? স্বর্গীয় নির্দেশ কি সঠিক কাজকে সঠিক বানায়, অথবা এর বাইরে অন্য কিছু কি আছে যার উপর ন্যায় অন্যায় নির্ভরশীল? সুনির্দিষ্ট ন্যায়ের কি কোন মানদণ্ড আছে, নাকি এরকম সকল মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কিত? কীভাবে জীবন নির্বাহ করা উচিত? সুখ কি?
যুক্তিবিদ্যা: প্রকৃত জ্ঞান বলতে কোন জিনিসটিকে বোঝায় ? কারণ প্রদর্শনের সঠিক নীতিগুলো কি কি? ভালো বিতর্ক কি? জটিল বিতর্ক নিয়ে আমি কীভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করব? ভালো চিন্তায় কি লাভ হয়? কীভাবে আমি কোন কিছুকে অপ্রয়োজনীয় বলতে পারব? যুক্তির মূল উৎস কি বা এর উৎপত্তি কোথা থেকে হয়?
অধিবিদ্যা: কোন ধরনের বস্তুর অস্তিত্ব রয়েছে? তাদের প্রকৃতি কি? কিছু জিনিসকি আসলেই আছে নাকি সেগুলো মতিভ্রম? শূন্যতা ও সময়ের বৈশিষ্ট্য কি? মন এবং শরীরের সম্পর্ক কি? ব্যক্তিত্ব কি? সচেতনতা কি? ঈশ্বর কি আছেন নাকি নেই?
রাজনৈতিক দর্শন: ন্যায়বিচার কি? রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং এদের ক্ষমতার চর্চা কি ন্যায়সঙ্গত? সরকারের কি কোন যথাযথ ভূমিকা ও কাজের ক্ষেত্র আছে? সরকার পরিচালনার জন্য গণতন্ত্রই কি শ্রেষ্ঠ পন্থা? সরকার কি নৈতিকভাবে বিচারযোগ্য? রাষ্ট্রের কি তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে দেয়া উচিৎ? কোন রাষ্ট্রের কি কোন নির্দিষ্ট নৈতিক বা ধর্মীয় মূলনীতির প্রচলিত রীতিনীতি ও মূল্যবোধ প্রচার করা উচিৎ? রাষ্ট্র কি যুদ্ধে অংশ নেয়ার অনুমতি পাবে? অন্য রাষ্ট্রের অধিবাসীদের বিরুদ্ধে কি রাষ্ট্রের কোন কর্তব্য আছে?
অকহামের উইলিয়াম (আনু. ১২৮৫-১৩৪৯) মধ্যযুগীয় ইংরেজ স্কলাস্টিক দার্শনিক, ফ্রান্সিসকান পুরোহিত, । তিনি ইংল্যান্ডের সারি-র অকহাম গ্রামে জন্ম নেন। অকহাম নামেই তিনি বেশি পরিচিত।
অকহাম ও জন ডান্স স্কোটাস-কে মধ্যযুগের দুই সেরা অধিবিদ (metaphysicist) হিসেবে গণ্য করা হয়।