পুরুবংশ
পুুুুুুরুবংশ, প্রাচীন চন্দ্রবংশীয় রাজা যযাতির পুত্র পুরু-র বংশধারা।
এই মহান বংশের বীজ ভগবান বিষ্ণু। বিষ্ণুর নাভিপদ্ম থেকে জাত বিধাতা ব্রহ্মা। তাঁর পুত্র অত্রি। অত্রির পুত্র চন্দ্র। চন্দ্রের নামেই একে চন্দ্রবংশ বলা হয়।
এই বংশে বহু বিখ্যাত রাজ-রাজর্ষির জন্ম হয়েছে। কৌরব-পাণ্ডব, ভীষ্ম, দুষ্মন্ত, ভরত, জরাসন্ধ, নহুষ, যযাতি, পুরূরবা, কুরু, হস্তী এবং এই চন্দ্রবংশেরই রাজা যযাতির প্রথম পুত্র যদুর বংশ ধারায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্ম গ্রহণ করেন।
এই বংশলতিকা খুব ভালোভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মহাভারতের যুদ্ধ এই চন্দ্র বংশের-ই বংশধরদের মধ্যে যুদ্ধ। এই বংশেই অজমীঢ়ের পুত্র নীলের বংশধারায় পরবর্তীকালে পাঞ্চালবংশের সৃষ্টি হয় [দ্রুপদ, দ্রৌপদী, ধৃষ্টদ্যুম্ন প্রভৃতির জন্ম এইবংশে]।
অনেক দেশি-বিদেশী পণ্ডিত মনে করেন যে, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ আসলে কৌরব ও পাঞ্চালদের যুদ্ধ।
এই বংশবর্ণনা কয়েকটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে নারায়ণ থেকে যযাতি। যযাতির পর থেকে অজমীঢ় পর্যন্ত। কেননা, যযাতির পরে এই বংশ কয়েকটি অংশে ভাগ হয়ে গেছে। আবার অজমীঢ়ের পরে বংশ অনেক শাখায় বিভক্ত হয়েছে।
পুরাণের বিবরণ
সম্পাদনাবিষ্ণু থেকে পুরু
সম্পাদনাবহুুুুবিধ পুুুরাণে ভগবান বিষ্ণু থেকে যযাতি পুত্র পুরু পর্যন্ত চন্দ্রবংশীয়দের উল্লেখ আছে। এবং এই বর্ণনায় কোনো মতপার্থক্য নেই।[১][২][৩][৪]
পুরু থেকে অজমীঢ়
সম্পাদনামহারাজ আয়ুর পুত্র নহুষ। নহুষের ছয় পুত্র। যতি, যযাতি, সংযাতি, অযতি, বিযতি, কৃতি। এঁদের মধ্যে যযাতি পুরুবংশের ধারা লাভ করেন। যযাতি শুক্রাচার্যের কন্যা দেবযানী কে বিবাহ করেন। দেবযানীকে বিবাহ করা সত্বেও যযাতি দেবযানীর দাসী বৃষপর্বার কন্যা শর্মিষ্ঠার সঙ্গে মিশতেন। শর্মিষ্ঠার ও যযাতির দুই পুত্র হয়। এটা জানবার পর শুক্রাচার্য যযাতিকে এক হাজার বছর জরা(বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া) ভোগ করবার অভিশাপ দেন।
কিন্তু যযাতির তখনও বিষয়ভোগ করবার ইচ্ছা ছিল। এই কারণে যযাতি-র অভিশাপ তাঁর পাঁচ পুত্রের [যযাতি পুত্রেরা হলেন যদু, তুর্বসু, দ্রুহ্যু, অনু, পুরু*প্রথম তিনজন দেবযানী থেকে, পরের দুইজন শর্মিষ্ঠা থেকে] যেকোনো কাউকে গ্রহণ করতে হলেন। তার পাঁচ পুত্রের মধ্যে প্রথম চারজন সেই অভিশাপ গ্রহণ করতে অস্বীকৃত হয়। যযাতি-র কনিষ্ঠ পুত্র পুরু সেই অভিশাপ গ্রহণ করে। এবং এক হাজার বছরের শেষে পুরু প্রতিষ্ঠান নগরে যযাতির পরেই রাজ্য লাভ করেন। পুরুই চন্দ্রবংশের মূল ধারার বাহক।
যযাতি র অপর চার পুত্র-যদু, তুর্বসু, দ্রুহ্যু, অনু এরা অভিশাপ না নেওয়ায় যযাতি তাঁদের রাজ্য থেকে দুরে অন্যত্র শাসন করতে পাঠিয়েছিলেন।
যযাতির পাঁচ পুত্র থেকে পাচঁটি বিখ্যাত লোকবিশ্রুত বংশের সৃষ্টি হয়। যথাঃ যদু থেকে যদুবংশ, তুর্বসু থেকে তুর্বসুবংশ, দ্রুহ্যু থেকে দ্রুহ্যুবংশ, অনু থেকে অনুবংশ, এবং পুরু থেকে পুরুবংশ।
[সমস্ত মহাভারত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ মূলত এই পাঁচটি বংশের বংশধরদের মধ্যে এবং 'কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ' আসলে এঁদের বহুকালের রাজনৈতিক কার্যকলাপের ফল]
[এই নিবন্ধের সমস্ত ছকে বিষ্ণু এবং ভাগবত পুরাণের বিবরণ একই কলামে যোগ করা হয়েছে। কেননা, বিষ্ণু ও ভাগবত পুরাণের বিবরণ প্রায় এক। 'বিষ্ণু ও ভাগবত পুরাণ' কলামে 'তৃতীয় বন্ধনীর' ভিতরে ভাগবত পুরাণের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। কলামের নাম অনুসারে সেই পুরাণের বিবরণ সন্নিবেশ করা হয়েছে][৫][৬][৭][৮]
বিষ্ণু ও ভাগবত পুরাণ | মৎস্যপুরাণ | ব্রহ্মপুরাণ |
---|---|---|
জনমেজয়
প্রাচীন্বান প্রবীর[পুরু-র পুত্র সুবীর] মনস্যু অভয়দ[চারুপদ] সুদ্যুম্ন[সুদ্যু] বহুগত[বহুগব] সম্পাতি[সংযাতি] অহম্পাতি[অহংযাতি] রৌদ্রাশ্ব ঋতেয়ু রন্তিনার তংসু[সুমতি] ঐনিল[রেভি] দুষ্মন্ত ভরত ভরদ্বাজ বিতথ ভবন্মন্যু[মন্যু] বৃহৎক্ষেত্র[বৃহৎক্ষত্র] সুহোত্র হস্তী[বৃহৎক্ষত্রের পুত্র] অজমীঢ় |
জনমেজয়
প্রাচীত্বত মনস্যু পীতায়ুধ ধুন্ধু বহুবিধ সম্পাতি রহম্বর্চ্চা ভদ্রাশ্ব ঔচেয়ু রন্তিনার তংসু ঐনিল দুষ্মন্ত ভরত ভরদ্বাজ বিতথ ভূবমন্যু বৃহৎক্ষেত্র হস্তী অজমীঢ় |
সুবীর
মনস্যু অভয়দ সুধন্বা সুবাহু রৌদ্রাশ্ব ঋচেয়ু মতিনার তংসু ধর্ম্মনেত্র দুষ্মন্ত ভরত ভরদ্বাজ বিতথ সুহোত্র বৃহৎ অজমীঢ় |
অজমীঢ় থেকে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ পর্যন্ত
সম্পাদনাঅজমীঢ়ের পুত্রদের থেকে অনেকগুলো বংশের সৃষ্টি হয়। তাঁর মধ্যে একটি পাঞ্চালবংশ। এছাড়াও ব্রহ্মপুরাণে বলা হয়েছে অজমীঢ়ের পুত্র জহ্নুর ধারায় কুশিকবংশের সৃষ্টি হয় [এই কুশিক-বংশেই পরবর্তীকালে ব্রহ্মর্ষি বিশ্বামিত্রের জন্ম হয়]। পুরাণগুলোতে অজমীঢ়ের পুত্র ঋক্ষ থেকে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে যোগদানকারী অর্জুন এবং তস্য পুত্র অভিমন্যু পর্যন্ত নাম রয়েছে। ব্রহ্মপুরাণের বিবরণে সুহোত্রের পুত্র হস্তী'র [যিনি হস্তিনাপুর নগরী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন] নাম নেই। [৯][১০][১১][১২]
বিষ্ণু ও ভাগবত পুরাণ | মৎস্যপুরাণ | ব্রহ্মপুরাণ |
---|---|---|
ঋক্ষ
সংবরণ কুরু জহ্নু সুরথ বিদূরথ সার্বভৌম জয়সেন আরাবী[রাধিক] অযুতায়ু অক্রোধন দেবাতিথি ঋক্ষ-২য় ভীমসেন দিলীপ[ঋক্ষ-২য়'র পুত্র] প্রতীপ |
ঋক্ষ
সংবরণ কুরু জহ্নু সুরথ বিদূরথ সার্বভৌম জয়ৎসেন রুচির ভীম তরিতায়ু অক্রোধন দেবাতিথি দক্ষ ভীমসেন দিলীপ প্রতীপ |
ঋক্ষ
সংবরণ কুরু পরীক্ষিৎ জনমেজয় সুরথ ঋক্ষ-২য় ভীমসেন প্রতীপ |
ভবিষ্যৎ কালের রাজাদের বিবরণ
সম্পাদনাপুরাণে বলা হয়েছে পরীক্ষিতের পর থেকে ভবিষ্যত কালের শেষ তালিকাভূক্ত রাজা হলেন, ক্ষেমক। ক্ষেমক এর পরেই পুরুবংশ শেষ।[১৩][১৪][১৫]
বিষ্ণু ও ভাগবত পুরাণ | মৎস্যপুরাণ |
---|---|
পরীক্ষিৎ
শতানীক[এর পুত্র সহস্রনীক] অশ্বমেধদত্ত[সহস্রনীকের পুত্র অশ্বমেধজ] অধিসীমকৃষ্ণ[অসীমকৃষ্ণ] নিচক্ষু[নেমিচক্র] উষ্ণ[উক্ত] চিৎরথ[চিত্ররথ] শুচিরথ বৃষ্ণিমান[বৃষ্টিমান] সুষেণ সুনীথ ঋচ নৃচক্ষু[সুনীথের পুত্র] সুখাবল[সুখীনল] পরিপ্লব সুনয় মেধাবী নৃপঞ্জয় মৃদু[দূর্ব্ব] তিগ্ম[তিমি] বৃহদ্রথ বসুদান[সুদাস] শতানীক-২য় উদয়ন[দুর্দমন] অহীনর[মহীনর] খণ্ডপাণি[মহীনর] নিরমিত্র[নিমি] ক্ষেমক |
পরীক্ষিৎ
শতানীক অধিসোমকৃষ্ণ বিবক্ষু ভূরি চিত্ররথ শুচিদ্রব বৃষ্ণিমান সুষেণ সুনীথ নৃচক্ষু সুখীবল পরিষ্ণব সুতপাঃ মেধাবী পুরঞ্জয় উর্ব্ব ভিগ্মাত্মা বৃহদ্রথ বসুদামা শতানীক-২য় উদয়ন বহীনর দণ্ডপাণি নিরমিত্র ক্ষেমক |
ব্রহ্মপুরাণের বিবরণ
সম্পাদনাব্রহ্মপুরাণে পরীক্ষিতের পুত্র জনমেজয়ের বংশ-বিবরণ নেই। কিন্তু সেখানে বলা হয়েছে 'পরীক্ষিতের পুত্র জনমেজয়ের বংশ ভূতলে প্রখ্যাত'। ব্রহ্মপুরাণে পরীক্ষিতের অন্যপুত্র চন্দ্রপীড়ের বিবরণ আছে।[১৬]
১।পরীক্ষিৎ
২।চন্দ্রাপীড়
৩।সত্যকর্ণ
৪।শ্বেতকর্ণ
৫।অজপাশ্ব
ব্ৰহ্মক্ষত্রস্য যে যােনিৰ্বংশাে রাজর্ষিসৎকৃতঃ।
ক্ষেমকং প্রাপ্য রাজানং স সংস্থাং প্রাপ্স্যতে কলৌ।।
- ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়গণের উৎপত্তির কারণস্বরূপ যে বংশকে অনেক রাজর্ষিগণ অলঙ্কৃত করিয়াছেন , সেই বংশ কলিযুগে ক্ষেমক নামে রাজাকে প্রাপ্ত হইয়া সমাপ্তি লাভ করিবে। -বিষ্ণুপুরাণ
মহাভারতের বিবরণ
সম্পাদনামহাভারতের আদিপর্বে ৮৯ ও ৯০ অধ্যায় পুরুবংশের সম্পূর্ণ বিবরণ আছে। এই বিবরণে পুরুষ ও স্ত্রী নাম আছে। এই ছকের বিবরণ হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ ভট্টাচার্য অনুদিত মহাভারতেও আছে।[১৭] তবে একটা বিষয় পরিষ্কার হতে হবে।
৭ নম্বরে 'ইলা' নাম আছে পুরুষদের লাইনে। কিন্তু পুরাণে বলা হয়েছে ইলা'র গর্ভে পুরুরবা'র জন্ম। আসলে ভগবান শিবের অভিশাপে ইলা কখোনো পুরুষ হয়ে যেতেন, কখোনো নারী হতেন। ইলা যখন নারী ছিল তখন বুধের সঙ্গে মিলনে পুরুরবা'র জন্ম।
[মহাভারত যে সময়ে সংকলিত, সম্ভবত তখনো পর্যন্ত অশ্বমেধদত্ত বালক অবস্থায় ছিল, তাই সবার শেষে তাঁর নাম রয়েছে। কিন্তু পুরাণগুলোতো মহাভারতেরও অনেক পরে রচিত, তাই পুরাণে আরও অনেকের নাম আছে। ]
১।নারায়ণ
২।ব্ৰহ্মা ৩।মরীচি ৪।কশ্যপ..................অদিতি ৫।বিবস্বান ৬।মনু ৭।ইলা ৮।পুরূরবাঃ...............উর্বশী ৯।আয়ু ১০।নহুষ ১১।যযাতি...................শর্ম্মিষ্ঠা ১২।পুরু......................কৌশল্যা ১৩।জনমেজয়.............অনন্তা ১৪।প্রাচীন্বান্ ................অশ্মকী ১৫।সংযাতি.................বরাঙ্গী ১৬।অহংযাতি..............ভানুমতী ১৭।সার্বভৌম...............সুনন্দা ১৮।জয়ৎসেন..............সুশ্রবা ১৯।অবাচীন................মর্যাদা ২০।অরিহ...................আঙ্গী ২১।মহাভৌম...............সুযজ্ঞা ২২।অযুতানায়ী............কামা ২৩।অক্রোধন..............করম্ভা ২৪।দেবাতিথি..............মর্যাদা ২৫।অরিহ...................সুদেবা ২৬।ঋক্ষ.....................জিহ্মলা ২৭।মতিনার................সরস্বতী ২৮।তংসু....................জালিঙ্গী ২৯।ঈলিন..................রথন্তরী ৩০।দুষ্মন্ত....................শকুন্তলা ৩১।ভরত...................সুনন্দা ৩২।ভুমন্যু.................. বিজয়া ৩৩।সুহােত্র.................সুবর্ণা ৩৪।হস্তী.....................যশোধরা ৩৫।বিকুণ্ঠন................সুদেবা ৩৬।অজমীঢ়...............কৈকেয়ী ৩৭।সংবরণ..................তপতী ৩৮।কুরু..................... শুভাঙ্গী ৩৯।বিদুরথ.................সম্প্রিয়া ৪০।অনশ্বা..................অমৃতা ৪১।পরিক্ষিৎ...............সুযশা ৪২।ভীমসেন...............কুমারী ৪৩।প্রতিশ্রুবা ৪৪।প্রতীপ..................সুনন্দা ৪৫।শান্তনু...................সত্যবতী ৪৬।বিচিত্রবীৰ্য.............অম্বালিকা ৪৭।পাণ্ডু......................কুন্তী ৪৮।অর্জুন...................সুভদ্রা ৪৯।অভিমন্যু................উত্তরা ৫০।পরীক্ষিৎ................মাদ্রবতী ৫১।জনমেজয়..............বপুষ্টমা ৫২।শতানীক.................বৈদেহী ৫৩।অশ্বমেধদত্ত.............(বালক) |
নহুষনন্দন ধীমান যযাতি পূর্বে জরাক্রান্ত ও প্রীত হইয়া..একটি শ্লোক গান করিয়াছিলেন যে, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ ও ভূমি যতদিন থাকবে, এ মহীমণ্ডল ততকালের মধ্যে পৌরবশূন্য হইবে না। - ব্রহ্মপুরাণ
অতিরিক্ত পাঠ
সম্পাদনা- নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী রচিত 'মহাভারতের ভারতযুদ্ধ এবং কৃষ্ণ'। ISBN 978 81 7215 028 0
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন বঙ্গানুবাদিত, বিষ্ণুপুরাণম্ , আর্যশাস্ত্র। মৈত্রেয় বলিলেন, - হে ভগবান ! আপনি আমার নিকট...এখনে আমি চন্দ্রের বংশে সমুৎপন্ন নৃপতিগণের...। চতুর্থাংশ, অধ্যায়_৬, ৮(শ্লোক_১), ১০(শ্লোক_১-৩)।
- ↑ শ্রী রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন বঙ্গানুবাদিত, শ্রীমদ্ভগবত পুরাণ। শুকদেব কহিলেন, - রাজন অনন্তর পাবন সোম.. নবম স্কন্ধ, অধ্যায়_১৪(শ্লোক_১-১৭), ১৮।
- ↑ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন বঙ্গানুবাদিত, মৎস্যপুরাণম্। ঋষিগণ বলিলেন, - পিতৃগণের অধিপতি সর্বশাস্ত্রজ্ঞ ভগবান সোম...। অধ্যায়_২৩-২৫।
- ↑ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন সম্পাদিত, ব্রহ্মপুরাণম্। লোমহর্ষণ কহিলেন, - হে বিপ্রগণ! ভগবান অত্রি ঋষি...।অধ্যায়_৯(শ্লোক_৯), ১০, ১২।
- ↑ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন বঙ্গানুবাদিত, বিষ্ণুপুরাণম্ , আর্যশাস্ত্র। পরাশর বলিলেন,-পুরুর পুত্র জনমেজয়..।চতুর্থাংশ, অধ্যায়_১৯, শ্লোক_১-১০।
- ↑ শ্রী রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন বঙ্গানুবাদিত, শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ। শুকদেব কহিলেন, - হে ভারত ! সম্প্রতি পুরুর বংশ বিবরণ বলি শুন..। নবম স্কন্ধ, অধ্যায়_২০, ২১(শ্লোক_১৫)।
- ↑ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন বঙ্গানুবাদিত, মৎস্যপুরাণম্। পুরুর পুত্র মহাতেজা রাজা জনমেজয়..।অধ্যায়_৪৯, শ্লোক_১-৪৩।
- ↑ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন সম্পাদিত, ব্রহ্মপুরাণম্। ব্রাহ্মণগণ কহিলেন, ' হে সূত! আমরা পুরু, দ্রুহ্যু...। অধ্যায়_১৩, শ্লোক_১-৮১।
- ↑ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন বঙ্গানুবাদিত, বিষ্ণুপুরাণম্ , আর্যশাস্ত্র। অজমীঢ়ের ঋক্ষ নামে আর একটি পুত্র ছিল..। চতুর্থাংশ, অধ্যায়_১৯(শ্লোক_১৮-১৯), ২০।
- ↑ শ্রী রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন বঙ্গানুবাদিত, শ্রীমদ্ভগবত পুরাণ। হে রাজন! অতঃপর অজমীঢ়ের বংশান্তর বলি শ্রবণ করুন...। নবম স্কন্ধ, অধ্যায়_২২, শ্লোক_৩, ৮-২৫।
- ↑ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন বঙ্গানুবাদিত, মৎস্যপুরাণম্। অজমীঢ়ের স্ত্রী ধূমিনী পূর্বে পুত্রাভিলাষিনী হন...। অধ্যায়_৫০, শ্লোক_১৭-২৩, ৩৪-৫৭।
- ↑ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন সম্পাদিত, ব্রহ্মপুরাণম্। হে মুনিগণ ধূমিনী একদা বিধিমত অগ্নিতে...। অধ্যায়_৫০, শ্লোক_১০২, ১২৩।
- ↑ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন বঙ্গানুবাদিত, বিষ্ণুপুরাণম্ , আর্যশাস্ত্র। পরাশর বলিলেন,-'ইহার পর আমি ভবিষ্যত ভূপালগণের বিষয় বলিব..। চতুর্থাংশ, অধ্যায়_২১।
- ↑ শ্রী রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন বঙ্গানুবাদিত, শ্রীমদ্ভগবত পুরাণ। হে তাত! তোমার এক্ষণে জন্মেজয় প্রভৃতি এই সকল তনয়..। নবম স্কন্ধ, অধ্যায়_২২, শ্লোক_২৫-২৯।
- ↑ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন বঙ্গানুবাদিত, মৎস্যপুরাণম্। জনমেজয় যজ্ঞ উপলক্ষ্যে বাজসনেয় ঋষিকে ব্রহ্মকার্যে বরণ করেন...।অধ্যায়_৫০, শ্লোক_৫৮-৮৯।
- ↑ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন সম্পাদিত, ব্রহ্মপুরাণম্। কাশ্যানাম্নী পত্নীর গর্ভে পরীক্ষিতের চন্দ্রাপীড় ও সূর্যপীড়..।অধ্যায়_১৩, শ্লোক_১২৪-১৪৯।
- ↑ হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ ভট্টাচার্য অনুদিত, মহাভারতম্। জনমেজয় বলিলেন- “ মহর্ষি বৈশম্পায়ন ! আমি আমার পূর্বপুরুষগণের উৎকৃষ্ট উৎপত্তিবৃত্তান্তগুলি আপনার নিকট শুনিলাম......কিন্তু উপাখ্যানগুলি প্রীতিকর হইলেও সংক্ষিপ্ত হওয়ায় তাহা আমার বিশেষ সন্তোষ জন্মাইতে পারে নাই ; অতএব আপনি ব্রহ্মা ও মনু হইতে আরম্ভ করিয়া এই মনােহর উপাখ্যানগুলিই আবার আমার নিকট বিস্তর ক্রমে বলুন । সেই পূর্বপুরুষগণের জন্মাবধি পবিত্র বৃত্তান্ত সকল কাহার না প্রীতি উৎপাদন করে?...আদিপর্ব , অধ্যায়_৯০।