পাপিয়া সারোয়ার
পাপিয়া সারোয়ার (২১ নভেম্বর ১৯৫২ - ১২ ডিসেম্বর ২০২৪)[১] ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতের বিশিষ্ট পরিবেশক। সঙ্গীতে তাঁর অসামান্য দক্ষতা ও নিখুঁত পরিবেশনার জন্য তিনি সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন[২] এবং ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপে ভূষিত হন।[৩] সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০২১ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক অর্জন করেন।[৪] তাঁর অনন্য কণ্ঠ ও পরিবেশনার মাধ্যমে তিনি বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন।
পাপিয়া সারোয়ার | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্ম | বরিশাল, পূর্ব পাকিস্তান | ২১ নভেম্বর ১৯৫২
মৃত্যু | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স ৭২)
ধরন | রবীন্দ্রসঙ্গীত |
পেশা | সংগীতশিল্পী |
বাদ্যযন্ত্র | কণ্ঠ |
কার্যকাল | ১৯৬৬-২০২৪ |
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
সম্পাদনাপাপিয়া ১৯৫২ সালে ২১শে নভেম্বর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তিতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সঙ্গীত দীক্ষা গ্রহণ করেন।[৫] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত অধ্যয়ন করার জন্য ভারত সরকারের থেকে বৃত্তি লাভ করেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীলিমা সেন এর অধীনে রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং ধ্রুবতারা যোশীর অধীনে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন।[৬]
কর্মজীবন
সম্পাদনাতিনি ১৯৯৬ সালে "গীতসুধা" নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[৭] 'নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম' গানটি তাকে শ্রোতাদের কাছে আরও বেশি পরিচিত করেছিল।
কর্ম
সম্পাদনা- অ্যালবাম
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনা১৯৭৮ সালে সারোয়ার আলমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[১০] তার দুই মেয়ে, জারা কলেজ অফ নিউ জার্সিতে জীববিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক এবং জিশা কানাডীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন নির্বাহী।[১১]
২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ৭২ বছর বয়সে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শেষ কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন।[১২][১৩]
পুরস্কার
সম্পাদনা- রবীন্দ্র পুরস্কার
- একুশে পদক (২০২১)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Rabindra Sangeet icon Papia Sarwar passes away"। ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১২।
- ↑ Alom, Zahangir (৮ মে ২০১৩)। "Days in Shantiniketan"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "Seven eminent citizens awarded Bangla Academy fellowship"। দ্য ডেইলি স্টার। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "কাজী রোজি, গোলাম মুরশিদ, আসাদসহ ২১ জন পাচ্ছেন একুশে পদক"। বিডি নিউজ ২৪। ২০২১-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৪।
- ↑ "আজীবন সম্মাননায় পাপিয়া সারোয়ার" [Papia Sarwar gets lifetime achievement award]। Bangladesh Pratidin। ২১ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "Birthday celebrations for Papia Sarwar"। দ্য ডেইলি স্টার। ২১ নভেম্বর ২০১৩। ১০ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "Geetosudha celebrates 21 years"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০১-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৯।
- ↑ "Papia Sarwar's new album hits the market"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-০৮।
- ↑ "Papia and Jisha's musical venture"। ৮ জানুয়ারি ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "পাপিয়া সারোয়ার"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-০৮।
- ↑ "Papia and Jisha's musical venture"। দ্য ডেইলি স্টার। ৮ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৭।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৪-১২-১২)। "সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১২।
- ↑ "মারা গেছেন সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার"। Barta24 (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-১২-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১২।