জাতীয় যোগ্যতা ও প্রবেশিকা পরীক্ষা (স্নাতক-পূর্ব)
জাতীয় যোগ্যতা ও প্রবেশিকা পরীক্ষা (স্নাতক-পূর্ব) (ইংরেজি: National Eligibility cum Entrance Test (Undergraduate) বা NEET (UG)) ভারতে চিকিৎসাবিদ্যা সংক্রান্ত পড়াশোনার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা। এটি পূর্বে নিখিল ভারতীয় প্রাক-মেডিকেল পরীক্ষা (AIPMT) নামে পরিচিত ছিল। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা MBBS, BDS, AYUSH ডিগ্রি অর্জনের জন্য কলেজে ভর্তি হবার যোগ্যতা অর্জন করে।
সংক্ষেপ | NEET (UG) |
---|---|
ধরন | অফলাইন (কাগজ-কলমে) |
উন্নতিকারক / পরিচালক | জাতীয় পরীক্ষা সংস্থা
|
পরীক্ষার বিষয়সমূহ | জীববিজ্ঞান, রসায়ন এবং পদার্থবিজ্ঞান |
উদ্দেশ্য | উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ প্রদান। |
প্রথম গ্রহণ |
|
পরীক্ষার সময় | ৩ ঘণ্টা |
নম্বর / গ্রেডের সীমা | −১৮০ থেকে +৭২০ |
যতবার হয় | প্রতি বছরে একবার |
দেশ / অঞ্চল | ভারত |
ভাষা | অসমীয়া বাংলা ইংরেজি গুজরাটি হিন্দি কন্নড় মারাঠি ওড়িয়া ভাষা তামিল তেলুগু উর্দু |
উত্তীর্ণের হার | ৫৬.৪৪%[১] |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনাপরীক্ষার গঠন
সম্পাদনাপরীক্ষাটির পূর্ণমান ৭২০ ও সময় ৩ ঘণ্টা। মোট ১৮০ টি প্রশ্ন তিনটি বিষয় (জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন) থেকে আসে যার মধ্যে জীববিদ্যা থেকে ৯০ টি এবং পদার্থবিদ্যা থেকে ৪৫ টি ও রসায়ন থেকে ৪৫ টি। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৪। সঠিক উত্তর দিলে +৪, উত্তর না দিলে ০, ভুল উত্তর দিলে -১।
২০২১-এ গঠনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। জীববিদ্যাকে দুটি অংশ প্রাণীবিদ্যা ও উদ্ভিদবিদ্যা করা হয়। এরপর চারটি অংশের প্রতিটিতে A ও B দুটি করে আলাদা সেট তৈরি করা হয়। A সেটে আবশ্যক ৩৫ টি প্রশ্ন ও B সেটে ১৫ টি প্রশ্ন ছিল যার মধ্যে ১০ টি উত্তর করা যেত।[২]
পাঠ্যক্রম
সম্পাদনারাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক অনুসন্ধান এবং প্রশিক্ষণ পরিষদএর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন পুস্তকের সমস্ত কিছু।
কাট-অফ
সম্পাদনাজাতি | যোগ্যতা অর্জনের জন্য সর্বনিম্ন পার্সেন্টাইল |
---|---|
২০১৯ অনুযায়ী | |
অসংরক্ষিত (UR) | ৫০তম |
অসংরক্ষিত PH (UR-PH) | ৪৫তম |
সিডিউল কাস্ট (SC) | ৪০তম |
সিডিউল ট্রাইব (ST) | ৪০তম |
অন্যান্য ব্যাকওয়ার্ড জাতি (OBC) | ৪০তম |
SC-PH | ৪০তম |
ST-PH | ৪০তম |
OBC-PH | ৪০তম |
- PH = শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী
কোটা:কোচিং রাজধানী
সম্পাদনাভারতের রাজস্থানের কোটাকে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের ‘শিক্ষার কাশী (পবিত্র শহর)’ হিসাবে ঘোষণা করেছেন। এ শহর কোচিংয়ের কারণে ব্যাপক পরিচিত। কোচিং–বাণিজ্যের আর্থিক মূল্য ১২০ বিলিয়ন রুপি।[৩]
সেখানে বারোটিরও বেশি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হতে অত্যন্ত কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেন।
পাঠ্যক্রমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তাঁরা সপ্তাহে ৭ দিনই প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
২০২৩ সালে মাত্র ১ লাখ ৪০ হাজার আসনের বিপরীতে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা জাতীয় যোগ্যতা ও প্রবেশিকা পরীক্ষা (স্নাতক-পূর্ব) বা NEET (National Eligibility cum Entrance Test) এ অংশ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান বা IIT (Indian Institutes of Technology) নামে পরিচিত শীর্ষ প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১০ হাজার আসনে ভর্তি হওয়ার জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা (মেইনস) বা JEE-Mains পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।[৪]
কোটায় কোচিংয়ের সংস্কৃতি এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক, পারিবারিক ও সামাজিক চাপ তাঁদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। ফলে অনেক কোচিং স্কুল মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শদাতা রাখেন।[৩]
কোটার কোচিং স্কুলগুলোর বছরের ফি প্রায় দেড় লাখ রুপি। ফলে অনেক অভিভাবককে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "NEET records 56.44% pass rate"। thenewsminute.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "NEET-FAQ"। National Testing Agency (NTA)। ২৬ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ ক খ গার্ডিয়ান, দ্য (২০২৩-১২-০৩)। "ভারতের কোচিং–রাজধানী কোটার অন্ধকার দিক"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-০৩।
- ↑ "ভারতের কোচিং রাজধানী কোটা: 'দেশটির সবচেয়ে চাপে থাকা শহর'"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-১১-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-০৩।