নৈহাটি জংশন রেলওয়ে স্টেশন

পশ্চিমবঙ্গের জংশন রেলওয়ে স্টেশন

নৈহাটি জংশন রেলওয়ে স্টেশন হল শিয়ালদহ-রাণাঘাট রেলপথ ও নৈহাটি-ব্যান্ডেল লিঙ্কের একটি কলকাতা শহরতলি রেল স্টেশন। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় অবস্থিত। এই স্টেশনটি নৈহাটি ও আশেপাশের অঞ্চলকে পরিষেবা প্রদান করে। এটি ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন স্টেশনগুলির মধ্যে একটি। বিশেষত ঝা চকচকে অত্যাধুনিক ভূগর্ভস্থপথটি ( Subway) নৈহাটি স্টেশনের গর্বের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এর পূর্ববর্তী স্টেশন হল কাঁকিনাড়া রেলওয়ে স্টেশন

নৈহাটি জংশন
কলকাতা শহরতলি রেলওয়ে জংশন স্টেশন
নৈহাটি রেলওয়ে স্টেশন
অবস্থানঋষি বঙ্কিমচন্দ্র রোড, নৈহাটি, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
ভারত
স্থানাঙ্ক২২°৫৩′১৪″ উত্তর ৮৮°২৫′০৩″ পূর্ব / ২২.৮৮৭১° উত্তর ৮৮.৪১৭৫° পূর্ব / 22.8871; 88.4175
উচ্চতা১৫ মিটার (৪৯ ফু)
মালিকানাধীনভারতীয় রেল
পরিচালিতপূর্ব রেল
লাইনশিয়ালদহ – রানাঘাট রেলপথ
নৈহাটি-ব্যান্ডেল সংযোগ
প্ল্যাটফর্ম
রেলপথ
নির্মাণ
গঠনের ধরনস্ট্যান্ডার্ড (অন গ্রাউন্ড স্টেশন)
পার্কিংনেই
সাইকেলের সুবিধানেই
অন্য তথ্য
অবস্থাকার্যকর
স্টেশন কোডএনএইচ
অঞ্চল পূর্ব রেল
বিভাগ শিয়ালদহ
ইতিহাস
চালু১৮৬২
বৈদ্যুতীকরণ১৯৬৩-৬৪
আগের নামইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে
পরিষেবা
পূর্ববর্তী স্টেশন   কলকাতা শহরতলি রেল   পরবর্তী স্টেশন
অভিমুখে শিয়ালদহ
পূর্ব লাইন
অভিমুখে রানাঘাট জংশন
অবস্থান
নৈহাটি জংশন পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
নৈহাটি জংশন
নৈহাটি জংশন
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
নৈহাটি জংশন ভারত-এ অবস্থিত
নৈহাটি জংশন
নৈহাটি জংশন
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৮৬২ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের কলকাতা (শিয়ালদহ)-কুষ্টিয়া লাইনটি খুলে দেওয়া হয়।[] ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে রেল পরিষেবা প্রদান করত। এই অঞ্চল সেই সময় অবিভক্ত ছিল।[]

১৮৮৭ সালে জুবিলি সেতু খুলে দেওয়া হলে নৈহাটি হাওড়া-বর্ধমান প্রধান রেলপথের ব্যান্ডেল স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়।[]

বৈদ্যুতিকরণ

সম্পাদনা

শিয়ালদহ-রানাঘাট সেক্টরটি ১৯৬৩-৬৪ সালে এবং ব্যান্ডেল-নৈহাটি লিঙ্ক ১৯৬৫-৬৬ সালে বৈদ্যুতিকরণ করা হয়।[]

ক্যারেজ ও ওয়াগন ডিপো

সম্পাদনা

নৈহাটির ক্যারেজ ও ওয়াগন ডিপোটি এয়ার ও ভ্যাকুওম ব্রেক পরীক্ষা এবং সিক লাইন মেরামতির কাজ করে। বাংলাদেশ-গামী ট্রেনগুলিকে এখানে পরীক্ষা ও মেরামত করা হয়।[]

কোচিং টার্মিনাল

সম্পাদনা

২০১২-১৩ সালের রেল বাজেটে নৈহাটিতে একটি নতুন কোচিং টার্মিনাল স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণে একটি জাদুঘরের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। [][]

মাল্টিফাংশনাল কমপ্লেক্স

সম্পাদনা

ভারতীয় রেল নৈহাটি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি মাল্টিফাংশনাল কমপ্লেক্স স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে যাতে রেলপথ ব্যবহারকারীরা দোকান, ফুড স্টল ও রেস্তোরাঁ, বুক স্টল, টেলিফোন বুথ, ওষুধ ও মনিহারি দোকানের সুবিধা পেতে পারেন।[]

নতুন সেতু

সম্পাদনা

হুগলি নদীর উপর ২০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন ৪২০ মি (১,৩৭৮ ফু) দীর্ঘ সেতু নির্মিত হয়েছে । এই সেতুটি ১৮৮৭ সালে নির্মিত জুবিলি সেতুর পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "IR History: Early days (1832-1865)"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  2. "Eastern Bengal Railway"। fibis। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  3. "India's amazing railway bridges"Jubilee Bridge। rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  4. "History of Electrification"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  5. "Mechanical (C / W activity)"। Eastern Railway, Sealdah Division। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৩ 
  6. "Coaching Terminal at Naihati and A Museum to be Named After Bankim Chandra Chattopadhyay"। Press Information Bureau, Government of India। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  7. "Railway Budget"। Equity Bulls। ৭ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  8. "Project Information Memorandum: Multifuctional complex at Naihati" (পিডিএফ)। Ministry of Railways। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  9. "Mamata unveils new plans for North 24 Parganas"। The Times of India, 9 November 2009। ২৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা