নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা
নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রথম পূর্ণাঙ্গ নৃত্যনাট্য।[১] ১৯৩৬ সালে কলকাতায় অভিনয়ের উদ্দেশ্যে প্রকাশিত[২] এই নৃত্যনাট্যটির সঙ্গে ১৮৯২ সালে রচিত চিত্রাঙ্গদা কাব্যনাট্যের বিষয়বস্তু ও তত্ত্ব এক ও অভিন্ন।[১] মহাভারতের আদিপর্বে বর্ণিত অর্জুন ও চিত্রাঙ্গদার প্রণয়োপাখ্যান অবলম্বনে গড়ে উঠেছে এই নৃত্যনাট্যের নাট্যবস্তু।[১][৩]
লেখক | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
---|---|
দেশ | ব্রিটিশ ভারত |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | নৃত্যনাট্য |
প্রকাশক | বিশ্বভারতী গ্রন্থালয় (প্রথম প্রকাশ) |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৩৬ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রণ (পেপারব্যাক) |
পরবর্তী বই | নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা |
১৯৩৬ সালের মার্চে কলকাতার নিউ এম্পায়ার থিয়েটারে এটি প্রথম অভিনীত হয়।[৪]
আখ্যানবস্তু
সম্পাদনানৃত্যনাট্যটির ভূমিকায় আখ্যানসূত্রটি ধরিয়ে দিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন:[৫]
মণিপুররাজের ভক্তিতে তুষ্ট হয়ে শিব বর দিয়েছিলেন যে তাঁর বংশে কেবল পুত্রই জন্মাবে। তৎসত্ত্বেও যখন রাজকুলে চিত্রাঙ্গদার জন্ম হল তখন রাজা তাঁকে পুত্ররূপেই পালন করলেন। রাজকন্যা অভ্যাস করলেন ধনুর্বিদ্যা, শিক্ষা করলেন যুদ্ধবিদ্যা, রাজদণ্ডনীতি।
অর্জুন দ্বাদশবর্ষব্যাপী ব্রহ্মচর্যব্রত গ্রহণ করে ভ্রমণ করতে করতে এসেছেন মণিপুরে। তখন এই নাটকের আখ্যান আরম্ভ।
নৃত্যনাট্যের মূল আখ্যানটি নিম্নরূপ:[৬][৭] এক দিন পুরুষবেশী চিত্রাঙ্গদা সখিদের নিয়ে শিকারের সন্ধানে বেরিয়েছিলেন। অরণ্যের গভীরে অর্জুনের সঙ্গে তাঁর দেখা হল। অর্জুনের সম্মুখে বীরত্ব প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে চিত্রাঙ্গদা তাঁকে আহ্বান করলেন যুদ্ধে। কিন্তু অর্জুন সকৌতুকে অবজ্ঞা করলেন তাঁকে। এদিকে চিত্রাঙ্গদার মনও উদ্বেলিত হল কাঙ্ক্ষিত বীর অর্জুনের প্রতি। পরদিন চিত্রাঙ্গদা তাঁকে "হৃদয় মন প্রাণ" নিবেদন করতে গেলেন। কিন্তু অর্জুন তাঁর ব্রহ্মচর্য ব্রতের দোহাই দিয়ে প্রত্যাখ্যান করলেন। নিদারুণ দুঃখে চিত্রাঙ্গদা অর্জুনের হৃদয় হরণ করার জন্য মদনের আরাধনা করলেন। অবশেষে মদন এক বছরের জন্য চিত্রাঙ্গদাকে অপরূপা লাবণ্যময়ী রূপ দান করলেন।
এবার সুরূপা চিত্রাঙ্গদাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে প্রেম নিবেদন করেন অর্জুন। চিত্রাঙ্গদার মনে তাঁর মায়ালব্ধ সৌন্দর্যের ক্ষণস্থায়িত্বের কথা চিন্তা করে সৃষ্টি হয় এক অদ্ভুত দ্বন্দ্ব। অর্জুনকে সতর্ক করে তিনি বলেন:
…কিন্তু মনে রেখো,
কিংশুকদলের প্রান্তে এই-যে দুলিছে
একটু শিশির— তুমি যারে করিছ কামনা
সে এমনি শিশিরের কণা
নিমেষের সোহাগিনী॥
কিন্তু অর্জুন তাঁর সর্বস্ব সমর্পণ করেন সেই "মিথ্যার পায়ে"।
এদিকে চিত্রাঙ্গদার অনুপস্থিতিতে মণিপুরে দস্যুরা হানা দিল। গ্রামবাসীরা তাঁদের রাজকুমারীর নামে একজোট হয়ে চলেছে দস্যুদলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে। তাঁদের রণহুঙ্কার শুনে প্রশ্ন করে অর্জুন জানলেন, রাজ্যের রাজকুমারী চিত্রাঙ্গদা স্নেহবলে মাতা ও বাহুবলে রাজা। কিন্তু তিনি "গোপন ব্রতচারিণী"; তাই তাঁদেরই আত্মরক্ষায় অস্ত্রধারণ করতে হয়েছে। "ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা" সেই চিত্রাঙ্গদাকে দেখতে উদ্বেলিত হলেন অর্জুন। সুরূপা-ছদ্মবেশী চিত্রাঙ্গদা প্রকৃত রাজকুমারীর রূপের দৈন্যের কথা উল্লেখ করলেও অর্জুন কর্ণপাত করলেন না তাতে। চিত্রাঙ্গদা পুনরায় ফিরে এলেন মদনের কাছে। অনুরোধ করলেন দেবতার বর ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। মদনও ইচ্ছা পূরণ করলেন তাঁর।
পরদিন চিত্রাঙ্গদা স্বরূপে উপস্থিত হলেন অর্জুনের সম্মুখে। সাহসের সঙ্গে ঘোষণা করলেন:
আমি চিত্রাঙ্গদা, আমি রাজেন্দ্রনন্দিনী।
নহি দেবী, নহি সামান্যা নারী।
পূজা করি মোরে রাখিবে ঊর্ধ্বে সে নহি নহি।
হেলা করি মোরে রাখিবে পিছে সে নহি নহি।
যদি পার্শ্বে রাখ মোরে সঙ্কটে সম্পদে,
সম্মতি দাও যদি কঠিন ব্রতে সহায় হতে
পাবে তবে তুমি চিনিতে মোরে।
এইরূপে অর্জুনও ধন্য হলেন চিত্রাঙ্গদাকে পেয়ে।
সংলাপ
সম্পাদনানৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা-র সংলাপগুলি কবিতা ও গানের আকারে রচিত। নৃত্যনাট্যের উল্লেখক্রম অনুযায়ী সংলাপের তালিকা নিচে দেওয়া হল :
প্রথম দৃশ্য
সম্পাদনাচরিত্র | সংলাপ | ধরন | রাগ/তাল | স্বরলিপিকার | টীকা | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|
সমবেত | "মোহিনী মায়া এল" ' | গান | মিশ্র হাম্বীর-রামকেলি/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | নৃত্যনাট্যের সূচনা সংগীত | [৮] |
সমবেত | "গুরু গুরু গুরু গুরু ঘন মেঘ গরজে পর্বতশিখরে" | গান | গৌড়মল্লার/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | চিত্রাঙ্গদার শিকার আয়োজনের গান | [২] |
অর্জুন ও চিত্রাঙ্গদা | "অহো! কি দুঃসহ স্পর্ধা!" | গান | মিশ্র বেহাগ/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৪] |
সখীগণ | "বেলা যায় বহিয়া, দাও কহিয়া" | গান | ইমন/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৯] |
চিত্রাঙ্গদা | "ওরে ঝড় নেমে আয়, আয়, আয় রে আমার" | গান | কীর্তন/কাহারবা | দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর | চিত্রাঙ্গদার আত্ম-উদ্দীপনার গান। গানটি গীতবিতান গ্রন্থের "প্রকৃতি" পর্যায়ভুক্ত "বর্ষা" উপপর্যায়তেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে | [১০] |
সখী | "সখী, কী দেখা দেখিলে তুমি!" | কবিতা | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
চিত্রাঙ্গদা | "বঁধু, কোন্ আলো লাগল চোখে!" | গান | ভৈরবী/কাহারবা | শান্তিদেব ঘোষ | - | [১০] |
দ্বিতীয় দৃশ্য
সম্পাদনাচরিত্র | সংলাপ | ধরন | রাগ/তাল | স্বরলিপিকার | টীকা | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|
সখীগণ | "যাও, যাও যদি যাও তবে" | গান | ভৈরবী/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [১১] |
চিত্রাঙ্গদা | "ক্ষণে ক্ষণে মনে মনে শুনি" | গান | মূলতান/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [১২] |
চিত্রাঙ্গদা ও সখীগণ | "দে তোরা আমায় নূতন করে দে নূতন আভরণে" | গান | ভৈরবী/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [১৩] |
চিত্রাঙ্গদা | "আমি তোমারে করিব নিবেদন" | গান | পিলু/ঝাঁপতাল | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [১৪] |
অর্জুন | "ক্ষমা করো আমায়" | গান | আলাহিয়া বিলাবল/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [১২] |
চিত্রাঙ্গদা | "হায় হায়, নারীরে করেছি ব্যর্থ" | কবিতা | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
চিত্রাঙ্গদা | "রোদনভরা এ বসন্ত, সখী" | গান | মিশ্র বেহাগ/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | গানটি গীতবিতান গ্রন্থের "প্রেম" পর্যায়ের "প্রেমবৈচিত্র্য" উপপর্যায়েরও অন্তর্গত | [১৫][১৬] |
সখীগণ | "তোমার বৈশাখে ছিল প্রখর রৌদ্রের জ্বালা" | গান | কীর্তন/তেওড়া | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [১৭] |
সখী | "ব্রহ্মচর্য!- পুরুষের স্পর্ধা এ যে! " | কবিতা | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
চিত্রাঙ্গদা | "আমার এই রিক্ত ডালি" | গান | খাম্বাজ (কীর্তন)/দাদরা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [১৮] |
মদন | "মণিপুরনৃপদুহিতা" | গান | ইমন/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [১৯] |
চিত্রাঙ্গদা | "পুরুষের বিদ্যা করেছিনু শিক্ষা" | গান | দেশ/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [২০] |
মদন | "তাই আমি দিনু বর" | গান | খাম্বাজ/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [২১] |
তৃতীয় দৃশ্য
সম্পাদনাচরিত্র | গীতি-সংলাপ | ধরন | রাগ/তাল | স্বরলিপিকার | টীকা | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|
চিত্রাঙ্গদা | "এ কী দেখি!" | কবিতা | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
চিত্রাঙ্গদা | "আমার অঙ্গে অঙ্গে কে বাজায়, বাজায় বাঁশি" | গান | বেহাগ/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | গানটি গীতবিতান গ্রন্থের "প্রেম" পর্যায়ভুক্ত "প্রেমবৈচিত্র্য" উপপর্যায়েরও অন্তর্গত। | [২২] |
চিত্রাঙ্গদা | "মীনকেতু, কোন্ মহারাক্ষসীরে দিয়েছ বাঁধিয়া অঙ্গসহচরী করি" | কবিতা | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
চিত্রাঙ্গদা | "স্বপ্নমদির নেশায় মেশা এ উন্মত্ততা" | গান | গৌড়মল্লার/দাদরা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | গীতবিতান গ্রন্থের "বিচিত্র" পর্যায়ের অন্তর্গত "দেখা না-দেখায় মেশা হে বিদ্যুৎলতা" গানটির সুর অবলম্বনে রচিত | [২৩][২৪] |
চিত্রাঙ্গদা | "এরে ক্ষমা করো সখা" | গান | মিশ্র ভৈরবী/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | প্রথম কয়েক রাত্রি অভিনয়ের পর গানটি নৃত্যনাট্যে সংযোজিত হয় | [২৫] |
অর্জুন ও চিত্রাঙ্গদা | "কাহারে হেরিলাম" | গান | ভৈরবী/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | গানটি রচিত হয় ১৩৪২ বঙ্গাব্দের ৮ ফাল্গুন শান্তিনিকেতনে | [২৬] |
অর্জুন | "পাণ্ডব আমি অর্জুন গাণ্ডীবধন্বা, নৃপতিকন্যা!" | গান | কালাংড়া/দাদরা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [২৭] |
চিত্রাঙ্গদা | "কোন্ ছলনা এ যে নিয়েছে আকার" | গান | মিশ্র সোহিনী/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [২৮] |
অর্জুন | "হে সুন্দরী, উন্মথিত যৌবন আমার" | কবিতা | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
চিত্রাঙ্গদা | "তবে তাই হোক" | কবিতা | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
চিত্রাঙ্গদা | "কোন্ দেবতা সে কী পরিহাসে ভাসালো মায়ার ভেলায়" | গান | কালাংড়া-ভৈরবী/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [২৮] |
অর্জুন | "আজ মোরে সপ্তলোক স্বপ্ন মনে হয়" | কবিতা | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
চিত্রাঙ্গদা | "সে আমি যে আমি নই, আমি নই" | কবিতা | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
অর্জুন | "এ কী তৃষ্ণা, এ কী দাহ!" | কবিতা | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
অর্জুন | "অশান্তি আজ হানল একি দহনজ্বালা" | গান | হাম্বীর/দাদরা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | গীতবিতান গ্রন্থের "প্রকৃতি" পর্যায়ভুক্ত "বসন্ত" উপপর্যায়ের অন্তর্গত "বসন্তে ফুল গাঁথল আমার বরণডালা" গানটির সুর অবলম্বনে রচিত | [২৪][২৮] |
চতুর্থ দৃশ্য
সম্পাদনাচরিত্র | গীতি-সংলাপ | ধরন | রাগ/তাল | স্বরলিপিকার | টীকা | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|
চিত্রাঙ্গদা | "ভস্মে ঢাকে ক্লান্ত হুতাশন" | গান | কীর্তন/কাহারবা | দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর | - | [২৯] |
মদন | "না না না সখী, ভয় নেই সখী, ভয় নেই" | গান | কীর্তন/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৩০] |
অর্জুন ও চিত্রাঙ্গদা | "কেটেছে একেলা বিরহের বেলা আকাশকুসুমচয়নে" | গান | মিশ্র দেশ/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৩১] |
অর্জুন | "কেন রে ক্লান্তি আসে আবেশভার বহিয়া" | গান | ভৈরবী/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৩২] |
গ্রামবাসীগণ | "হো, এল এল এল রে দস্যুর দল" | গান | ইমন/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৩৩] |
গ্রামবাসীগণ | "সন্ত্রাসের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান" | গান | ইমন-কল্যাণ/দাদরা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | গানটি গীতবিতান গ্রন্থের "সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান" গানের রূপান্তর | [৩৪] |
অর্জুন | "চিত্রাঙ্গদা রাজকুমারী" | গান | কাফি/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৩৫] |
চিত্রাঙ্গদা | "ছি ছি, কুৎসিত কুরূপ সে" | গান | বেহাগ/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৩৬] |
অর্জুন | "আগ্রহ মোর অধীর অতি" | গান | সোহিনী/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৩৭] |
চিত্রাঙ্গদা | "নারীর ললিত লোভন লীলায় এখনি কেন এ ক্লান্তি" | গান | পিলু/দাদরা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৩৮] |
অর্জুন | "যদি মিলে দেখা তবে তারি সাথে" | গান | মিশ্র কেদারা/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৩৯] |
চিত্রাঙ্গদা | "ভাগ্যবতী সে যে" | গান | ভৈরব/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [২৯] |
চিত্রাঙ্গদা | "রমণীর মন-ভোলাবার ছলাকলা" | কবিতা | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
পঞ্চম দৃশ্য
সম্পাদনাচরিত্র | গীতি-সংলাপ | ধরন | রাগ/তাল | স্বরলিপিকার | টীকা | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|
চিত্রাঙ্গদা | "লহো লহো ফিরে লহো" | গান | বাহার/দাদরা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৪০] |
মদন | "তাই হোক তবে তাই হোক" | গান | কীর্তন/দাদরা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | - | [৪১] |
চিত্রাঙ্গদা | "বিনা সাজে সাজি দেখা দিবে তুমি কবে" | গান | কীর্তন/ষষ্ঠী | দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর | গানটির রচনাকাল ৯ চৈত্র, ১৩৩২ (২ এপ্রিল, ১৯২৬)। এটি গীতবিতান গ্রন্থের "প্রেম" পর্যায়ের অন্তর্গত "প্রেমবৈচিত্র্য" উপপর্যায়ভুক্ত একটি গান। গানটির পাঠভেদ পাওয়া যায়। | [৪২] |
ষষ্ঠ দৃশ্য
সম্পাদনাচরিত্র | গীতি-সংলাপ | ধরন | রাগ/তাল | স্বরলিপিকার | টীকা | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|
সখীগণ | "এসো এসো পুরুষোত্তম, এসো এসো বীর মম!" | গান | কীর্তন/কাহারবা | [[শৈলজারঞ্জন মজুমদার | গীতবিতান গ্রন্থে "প্রেম" পর্যায়ের অন্তর্গত "প্রেমবৈচিত্র্য" উপপর্যায়ভুক্ত। ১৩৪২ বঙ্গাব্দের মাঘ-ফাল্গুন মাসে রচিত গান | [৪৩] |
সখী | "হে কৌন্তেয়" | কবিতা | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
চিত্রাঙ্গদা | "আমি চিত্রাঙ্গদা, আমি রাজেন্দ্রনন্দিনী" | গান | সাহানা/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | ১৩৪২ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে রচিত | [৪৪] |
সমবেত | "তৃষ্ণার শান্তি সুন্দর কান্তি" | গান | বেহাগ/কাহারবা | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | গানটির পাঠান্তর গীতবিতান গ্রন্থের "প্রকৃতি" পর্যায়ের "বর্ষা" উপপর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত | [৪৫] |
সমবেত | "এস’ এস’ বসন্ত, ধরাতলে" | গান | বসন্ত-সোহিনী/কাহারবা (সুরান্তরে: বসন্ত-বাহার/কাহারবা) | শৈলজারঞ্জন মজুমদার | গানটির আদি রূপ মায়ার খেলা গীতিনাট্যের অন্তর্গত। গানটি গীতবিতান গ্রন্থের "প্রকৃতি" পর্যায়ের "বসন্ত" উপপর্যায়েরও অন্তর্ভুক্ত | [২৫] |
অর্জুন | "মা মিৎ কিল ত্বং বনাঃ শাখাং মধুমতীমিম্" | শ্লোকপাঠ | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
চিত্রাঙ্গদা | "যথেমে দ্যাবা পৃথিবী সদ্যঃ পর্যেতি সূর্যঃ" | শ্লোকপাঠ | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
অর্জুন | "অক্ষৌ নৌ মধুসংকাশে অনীকং নৌ সমঞ্জনম্" | শ্লোকপাঠ | প্রযোজ্য নয় | প্রযোজ্য নয় | - | - |
সূত্রনির্দেশ
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ রবীন্দ্রসংগীত পরিক্রমা, পৃ. ৬৯
- ↑ ক খ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১৪৩
- ↑ সঙ্গীত-তত্ত্ব: রবীন্দ্র প্রসঙ্গ, পৃ. ১৩৫
- ↑ ক খ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ৮
- ↑ গীতবিতান, পৃ. ৬৮৪
- ↑ সঙ্গীত-তত্ত্ব: রবীন্দ্র প্রসঙ্গ, পৃ. ১৩৫-১৩৬
- ↑ রবীন্দ্র-নজরুল বিভাকর, প্রথম ভাগ, পৃ. ৭০
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ২৮৬
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ২৬৩
- ↑ ক খ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১০৭-১০৮
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ২৯২
- ↑ ক খ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১৩৬
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ২০২
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ৫৫
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ৩০৫
- ↑ গীতবিতান, পৃ. ৩৭২
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১৮৬
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ৩৬
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ২৭০
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ২৩০
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১৬৭
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ৩৫
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ৩৩৭
- ↑ ক খ রবীন্দ্র-নজরুল বিভাকর, দ্বিতীয় ভাগ, পৃ. ৫৩-৫৪
- ↑ ক খ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ৮৭
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১১৮
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ২২৭
- ↑ ক খ গ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১৩৪
- ↑ ক খ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ২৬৬
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ২১৩
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১২৬
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১৩০
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ৩৫৪
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ৩২২
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১৪৯
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১৫১
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১১-১২
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ২১৬
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ২৯১
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ৩০৬
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১৬৮
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ২৫৭
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ৮৯
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ৫৩
- ↑ রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. ১৭৯
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- মূল পাঠ
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গীতবিতান (অখণ্ড সংস্করণ), বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ, কলকাতা, ১৩৭৬ সংস্করণ, ১৪১২ পুনর্মুদ্রণ।
- সহায়ক গ্রন্থপঞ্জি
- অমল মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রসংগীত পরিক্রমা, করুণা প্রকাশনী, কলকাতা, ১৯৮১ সংস্করণ, ২০১২ পুনর্মুদ্রণ।
- দেবব্রত দত্ত, সঙ্গীত-তত্ত্ব: রবীন্দ্র প্রসঙ্গ, ব্রতী প্রকাশনী, কলকাতা, ১৯৯৮ সংস্করণ।
- সুবোধ গঙ্গোপাধ্যায়, রবীন্দ্র-নজরুল বিভাকর, প্রথম ভাগ, মীরা প্রকাশনী, হাওড়া, ২০১৭ সংস্করণ।
- সুবোধ গঙ্গোপাধ্যায়, রবীন্দ্র-নজরুল বিভাকর, দ্বিতীয় ভাগ, মীরা প্রকাশনী, হাওড়া, ১৯৯৮ সংস্করণ, ২০১৭ মুদ্রণ।
- সুরেন মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, সাহিত্য প্রকাশ, কলকাতা, ১৪১৬ সংস্করণ।