নূর মুহাম্মদ খান

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

নূর মুহাম্মদ খান (জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৪৬) হলেন বাংলাদেশী আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভা, আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভাএরশাদের মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিন মেয়াদে তিনি টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[][][]

অ্যাডভোকেট
নূর মুহাম্মদ খান
বাংলাদেশের এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৫ এপ্রিল ১৯৭৯ – ২৩ আগস্ট ১৯৭৯
বাংলাদেশের পাট প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৩ আগস্ট ১৯৭৯ – ৩ জানুয়ারি ১৯৮০
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৭ নভেম্বর ১৯৮১ – ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২
ক্রীড়া ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৭ নভেম্বর ১৯৮১ – ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২
সংস্কৃতি উপমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৫ মে ১৯৮৫ – ৩ অক্টোবর ১৯৮৯
শিল্প উপমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৩ অক্টোবর ১৯৮৯ – ২৪ ডিসেম্বর ১৯৮৯
টাঙ্গাইল-৬ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০
পূর্বসূরীআব্দুল মান্নান
উত্তরসূরীখন্দকার আবু তাহের
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1946-10-01) ১ অক্টোবর ১৯৪৬ (বয়স ৭৮)
টাঙ্গাইল
জাতীয়তাবাংলাদেশি
রাজনৈতিক দলজাতীয় পার্টি,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল,
ন্যাপ ভাসানী
পিতামাতাসিরাজুল হক চৌধুরী (পিতা),
দিলাঙ্গীর জান চৌধুরানী (মাতা)

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

নূর মুহাম্মদ খান ১ অক্টোবর ১৯৪৬ সালের তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ধুবড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সিরাজুল হক চৌধুরী ও মাতা দিলাঙ্গীর জান চৌধুরানী।[]

রাজনৈতিক জীবন

সম্পাদনা

নূর মুহাম্মদ খান ছাত্রজীবনে চীনপন্থী বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নেরএরসাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৭৯ সালে মওলানা ভাসানীর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি অবলুপ্ত করা হলে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগদান করেন।

তিনি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[]

তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় ১৫ এপ্রিল ১৯৭৯ থেকে ২৩ আগস্ট ১৯৭৯ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী ও ২৩ আগস্ট ১৯৭৯ থেকে ৩ জানুয়ারি ১৯৮০ পর্যন্ত পাট মন্ত্রণালয়ের হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় তিনি ২৭ নভেম্বর ১৯৮১ হতে ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ পর্যন্ত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগদিয়ে ৭ মে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ৩ মার্চ ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[][]

এরশাদের মন্ত্রিসভায় তিনি ২৫ মে ১৯৮৫ হতে ৩ অক্টোবর ১৯৮৯ পর্যন্ত সংস্কৃতি বিষয়ক উপমন্ত্রী ও ৩ অক্টোবর ১৯৮৯ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৮৯ পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে পরাজিত হন।

পরবর্তীতে তিনি পুনরায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. এ এস এম শামসুল আরেফিন। বাংলাদেশে নির্বাচন 
  2. খালেদা হাবিব। বাংলাদেশঃ নির্বাচন, জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা ১৯৭০-৯১ 
  3. মাহফুজ উল্লাহপ্রেসিডেন্ট জিয়া: রাজনৈতিক জীবনী 
  4. "Profile - Nur Muhammad Khan"তৃতীয়মাত্রা.কম (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০২৩ 
  5. "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  7. "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০