নারায়ন সেন
নারায়ন সেন (১৯১২―৮.০৯.১৯৫৬) একজন বাঙালী সশস্ত্র বিপ্লববাদী। তার জন্ম ব্রিটিশ ভারতের বর্তমানের বাংলাদেশের বগুড়া জেলায়। তার পিতার নাম সুরেশচরন সেন।
নারায়ন সেন | |
---|---|
জন্ম | ১৯১২ |
মৃত্যু | ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৬ |
আন্দোলন | চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন |
শিক্ষা
সম্পাদনাম্যাট্রিক পাশ করে চট্টগ্রামে মাতুলগৃহে আসেন। সেসময় চট্টগ্রামে মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে বিপ্লবী আন্দোলনের ঢেউ তাকে নাড়া দেয়। চট্টগ্রাম কলেজে দ্বিতীয় বার্ষিক শ্রেনীতে পড়ার সময়ে বিপ্লবী দলে যোগদান[১]।
চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহে
সম্পাদনা১৮ এপ্রিল ১৯৩০ ঐতিহাসিক অস্ত্রাগার লুন্ঠনে যোগ দেন এবং তারপর অন্যান্য বন্ধুদের সাথে পাহাড় জংগলে প্রায় অনাহারে, অনিদ্রায় আত্মগোপন করে ছিলেন চারদিন। ২২ শে এপ্রিল জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং পরে মাস্টারদার নির্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করে পলায়ন করেন। আত্মগোপনের পর্যায়ে ঢাকা, মুজফফরপুর, বেনারস বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন লুকিয়ে থেকেছেন। পুলিশ সেই আমলে তার নামে ৫০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করলেও কখোনো ধরতে পারেনি।[১]
কলকাতা প্রত্যাবর্তন
সম্পাদনাদীর্ঘ আঠারো বছর বিভিন্ন বেশে, বিভিন্ন নামে আত্মগোপন করা নারায়ন সেন কলকাতায় ফিরে 'অনাথ রায়' নামে প্রকাশ্যেই বসবাস করেছেন। তার আসল নাম কেউ জানতে পারেনি[২]। এই পলাতক বিপ্লবী ১২ জানুয়ারি ১৯৪৮ সালে মাস্টারদার মৃত্যুবার্ষিকীতে স্বনামে আত্মপ্রকাশ করেন।
মৃত্যু
সম্পাদনা৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৬ সালে মারা যান বিপ্লবী নারায়ন সেন[১]।