তাজমহল (১৯৬৩-এর চলচ্চিত্র)
তাজমহল মুঘল সম্রাট শাহজাহানের ঐতিহাসিক কিংবদন্তির উপর ভিত্তি করে ১৯৬৩ সালের নির্মিত চলচ্চিত্র, যিনি তার প্রিয়তমা স্ত্রী মুমতাজ মহলের স্মরণে তাজমহলকে এবং সমাধি হিসেবে নির্মাণ করেছিলেন।
তাজমহল | |
---|---|
পরিচালক | এম. সাদিক |
প্রযোজক | এ.কে. নন্দিওয়ালা |
রচয়িতা | কমর জালালাবাদী (গল্প ও চিত্রনাট্য) তাবিশ সুলতানপুরী (সংলাপ) |
শ্রেষ্ঠাংশে | প্রদীপ কুমার বীণা রায় বীনা রেহমান জীবন জাবীন জলিল |
সুরকার | রোশন |
চিত্রগ্রাহক | জি. বালকৃষ্ণ |
সম্পাদক | মুসা মনসুর |
পরিবেশক | ভিডিও সাউন্ড |
মুক্তি | ১৯৬৩ |
স্থিতিকাল | ১৪৫ মিনিট |
ভাষা | হিন্দি |
তাজমহল বাণিজ্যিকভাবে সফল ছিল, তবে এটি বেশিরভাগই ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী সঙ্গীতের জন্য স্মরণীয়।[১][২]
পটভূমি
সম্পাদনামীনা বাজারেই শেহজাদা খুররমের প্রথমে আরজুমান বানুর সাথে দেখা হয়। যখন তাদের চোখ একে অপরকে দেখলো, তখন তাদের দুজনের জন্য প্রথম দর্শনেই প্রেম দেখা দিলো। শাহেনশাহ জাহাঙ্গীরের স্ত্রীদের একজন রানী নূরজাহান যখন জানতে পারেন তিনি ক্ষুব্ধ হলেন, কারণ তিনি খুররমকে তার মেয়ে লাড়লি বানুকে বিয়ে করতে চান, যদিও আরজুমান তার ভাতিজি। সে আরজুমানকে তার প্রাসাদে বন্দী করার ষড়যন্ত্র করে, কিন্তু বৃথা হয়; তারপর সে খুররমকে যুদ্ধে পাঠানোর চেষ্টা করে - আবার বৃথা, খুররম বিজয়ী হয়ে ফিরে আসে, এবং তার নাম হয় 'শাহ জাহান'। তারপরে সে তার সৎ ছেলে সাইফুদ্দিনকে খুররমকে হত্যা করার নির্দেশ দেয় - আবার ব্যর্থ হয়। খুররম ছুরিকাঘাতের শিকার হয় কিন্তু আরজুমানের সাহায্যে সে সুস্থ হয়, বাড়ি ফিরে আসে, কিন্তু স্বাস্থ্যের ভয়ে তার বাবাকে কিছু জানায় না। যখন জাহাঙ্গীর আরজুমানের সাহায্যের কথা শুনে, তখন সে আনন্দের সাথে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে, আর সাইফুদ্দিন লাড়লিকে বিয়ে করে। তারপর খুররমকে অন্য রাজ্যে পাঠানো হয়, নূরজাহান তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। জাহাঙ্গীর অসুস্থ হয়ে পড়লে, তিনি লাগাম টেনে নেন, খুররমকে তিনি একজন অনুপ্রবেশকারী ঘোষণা করেন এবং তাকে বা বিকল্পভাবে তার দুই ছেলেকে নিয়ে আসার জন্য তার সেনাবাহিনী পাঠান। ঘটনাগুলো উন্মোচিত হওয়ার সাথে সাথে দেখা যায়, যা শেষ পর্যন্ত বিশ্বের সাতটি আশ্চর্যের একটি - তাজমহল তৈরির দিকে নিয়ে যায়৷
কুশীলব
সম্পাদনা- শাহজাদা খুররম/ শাহজাহান চরিত্রে প্রদীপ কুমার
- আরজুমান্দ বানু/ মুমতাজ মহল চরিত্রে বীণা রায়
- মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের চরিত্রে রেহমান
- শাহজাদা শাহরিয়ার চরিত্রে জীবন
- নুরজাহান/ মেহরুনিসা চরিত্রে বীনা
- দরবারের নর্তকী হিসাবে হেলেন - গান "না নারে না না"
সঙ্গীত
সম্পাদনাচলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রোশন,[১][২] গানের কথা লিখেছেন সাহির লুধিয়ানভি এবং বেশিরভাগ গান গেয়েছেন মোহাম্মদ রফি ও লতা মঙ্গেশকর।
ট্র্যাক তালিকা
সম্পাদনানং. | শিরোনাম | কণ্ঠশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|
১. | "জো বাত তুঝ ম্যাঁয় হ্যাঁয়" | মোহাম্মদ রফি | |
২. | "জো ওয়াদা কিয়া ও[২]" | মোহাম্মদ রফি, লতা মুঙ্গেশকর | |
৩. | "জুর্ম-এ-উলফত পে" | লতা মুঙ্গেশকর | |
৪. | "খুদা-এ-বার্তার" | লতা মুঙ্গেশকর | |
৫. | "না না না রে না না, হাত না লগনা" | সুমন কল্যাণপুর, মিনু পুরুষত্তোম | |
৬. | "পাওন ছো লেনে দো" | মোহাম্মদ রফি, লতা মুঙ্গেশকর | |
৭. | "চাঁদি কা বদন" | মোহাম্মদ রফি, মান্না দে, আশা ভোঁসলে, মীনা কাপুর | |
৮. | "হুসন সে দুনিয়া হাঁসি" | আশা ভোঁসলে |
পুরস্কার
সম্পাদনা- ১৯৬৪: শ্রেষ্ঠ গীতিকারের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার : সাহির লুধিয়ানভি
- ১৯৬৪: শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার : রোশন[১]
- ১৯৬৪: সেরা মহিলা প্লেব্যাক গায়কের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার : জো ওয়াদা কিয়া ও - এর জন্য লতা মঙ্গেশকর (মনোনীত)
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ Pran Neville (৫ জানুয়ারি ২০১৮)। "Remembering music director Roshan"। The Hindu (newspaper)। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ গ Sonal Pandya (১৪ জানুয়ারি ২০১৭)। "Rajesh Roshan: 'Jo Wada Kiya Wo' still haunts me"। Cinestaan.com website। ৯ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে Taj Mahal (ইংরেজি)