সুমন কল্যাণপুর

ভারতীয় গায়িকা

সুমন কল্যাণপুর (মারাঠি: सुमन कल्याणपूर; জন্ম ২৮ জানুয়ারি ১৯৩৭) হলেন একজন ভারতীয় সংগীতশিল্পী। তিনি ভারত রাষ্ট্রের অতি শ্রদ্ধেয় নেপথ্য গায়িকাদের মধ্যে একজন স্বনমধন্য ব্যক্তি ছিলেন। তার সেই সময়কালে, লতা মঙ্গেশকরের একাধিপত্যের মধ্যেও, প্রায় সমস্ত সংগীতকারের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে গান গেয়ে স্বীকৃতি অর্জনে সফল হয়েছিলেন। অনেক মানুষ বিশ্বাস করত যে, তার যা প্রতিভা, তাতে তার যত দূর এগোনো উচিত ছিল, তত দূর তিনি যেতে পারেননি, যদিও তার অভাবনীয় সাংগীতিক বৈশিষ্ট্য, যেগুলো একজন নেপথ্য গায়িকার কাছে খুবই প্রয়োজনীয়, সেই উচ্চাঙ্গ সংগীতের বিশদ জ্ঞান, সুরেলা কণ্ঠ এবং গলার বিস্তীর্ণ পরিসীমা ছিল।

সুমন কল্যানপুর
প্রাথমিক তথ্য
জন্মনামসুমন হেমাদি
জন্ম (1937-01-28) ২৮ জানুয়ারি ১৯৩৭ (বয়স ৮৭)
ঢাকা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(অধুনা বাংলাদেশ)
ধরনভারতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত, নেপথ্য গায়ন
পেশাগায়িকা
কার্যকাল১৯৫৪-১৯৮৮

সুমন কল্যাণপুরের কণ্ঠ অনেক সময়ই লতা মঙ্গেশকরের মনে করে ভুল করত অনেকে।[] ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৬০ এর দশক এবং ১৯৭০ এর দশকে তিনি ভীষণভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি হিন্দি ভাষা ছাড়াও মারাঠি, অসমীয়া, গুজরাতি, কন্নড়, ভোজপুরি, রাজস্থানি, বাংলা, ওডিয়া এবং পাঞ্জাবি ভাষায় গান রেকর্ড করেছিলেন।[] তার প্রধান সময়ে তিনি জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বলে বিবেচিত হয়েছিলেন। তিনি মোট ৮৫৭ খানা হিন্দি গান গেয়েছেন।

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

সুমন কল্যাণপুর ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শঙ্কর রাও হেমাদি কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোর শহরের এক বনেদি সারস্বত ব্রাহ্মণ পরিবার থেকে এসেছিলেন। কর্ণাটকের উদুপি জেলার কুন্দপুর তালুকের একটা গ্রাম হল হেমাদি। তিনি সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এক উঁচু পোস্টে চাকরি করতেন এবং দীর্ঘদিন ধরে অধুনা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নিয়োজিত ছিলেন। সেখানে তার পিতা এবং মাতা সীমা হেমাদি ছাড়াও তারা পাঁচ বোন এবং এক ভাই ছিলেন; সুমন তার ভাইবোনেদের মধ্যে সকলের বড়ো ছিলেন। তিনি একজন স্বনামধন্য ভারতীয় গায়িকা। তার পরিবার ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে মুম্বই শহরে চলে যান, যেখানে তিনি সংগীতের তালিম নিয়েছিলেন।

সুমন কল্যাণপুর সব সময় ছবি আঁকা এবং সংগীতে অনুরক্ত ছিলেন। মুম্বইয়ের বিখ্যাত কলম্বিয়া হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ছবি আঁকার পরবর্তী পাঠ নিতে মর্যাদাপূর্ণ স্যর জে জে স্কুল অফ আর্টসে ভরতি হয়েছিলেন। একই সঙ্গে পুণের প্রভাত ফিল্মের সংগীত পরিচালক এবং তাদের একজন পারিবারিক বন্ধু 'পণ্ডিত কেশব রাও ভোলে'জির কাছে উচ্চাঙ্গ কণ্ঠ সংগীতে তালিম নিয়েছিলন। সুমনের মত অনুযায়ী, প্রথমদিকে গান গাওয়াটা ছিল তার কাছে একটা শখ, কিন্তু ক্রমে ক্রমে সংগীতের ওপর তার অনুরাগ বেড়ে যায়, আর এর ফলস্বরূপ তিনি পেশাদারিত্বের সঙ্গে 'উস্তাদ খান আবদুল রহমান খান' এবং 'গুরুজি মাস্টার নবরং' এঁদের কাছে সংগীত শিক্ষা করতে আরম্ভ করেছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. The Other Lata
  2. "Suma Kalyapur"। ১৩ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  3. "Suman Kalyapur"। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯