টোকিও স্কাই ট্রি

জাপানের টোকিওতে অবস্থিত বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার

টোকিও স্কাই ট্রি জাপানের টোকিওতে অবস্থিত বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার। এটি একই সঙ্গে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভবনও। অনেকে এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসেবেও অভিহিত করে থাকে। কিন্তু না, এটি শুধু সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার। সবচেয়ে উঁচু ভবন হলো দুবাইতে অবস্থিত ‘বুর্জ খলিফা’ ভবনটি। টোকিও’র পূর্বাঞ্চলে জনবহুল অসাকুসা এলাকায় এটি অবস্থিত।

টোকিও স্কাই ট্রি
東京スカイツリー
টোকিও স্কাই ট্রি ২০১৪ সালে
মানচিত্র
সাধারণ তথ্যাবলী
অবস্থানটোকিও, জাপান
নির্মাণ শুরু১৪ জুলাই ২০০৮ (2008-07-14)
সম্পূর্ণ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ (2012-02-29)
কার্যারম্ভ২২ মে ২০১২ (2012-05-22)
নির্মাণব্যয়৬৫ বিলিয়ন JPY (৮০৬ মিলিয়ন USD
Height
শুঙ্গ শিখর পর্যন্ত৬৩৪.০ মি (২,০৮০ ফু)
ছাদ পর্যন্ত৪৯৫.০ মি (১,৬২৪ ফু)
শীর্ষ তলা পর্যন্ত৪৫১.২ মি (১,৪৮০ ফু)
কারিগরী বিবরণ
তলার সংখ্যা৬৩১
লিফট/এলিভেটর১৩
নকশা ও নির্মাণ
স্থপতিনিকেন সেকেই
Website
www.tokyo-skytree.jp/english/

নির্মাণ কারণ

সম্পাদনা

এটি মূলত ব্যবহৃত হবে টেলিভিশন ও রেডিও সম্প্রচার টাওয়ার হিসেবে। টেলিভিশন ও রেডিও সম্প্রচারের টাওয়ার হিসেবে এর আগে ব্যবহৃত হতো ৩৩৩ মিটার উঁচু টোকিও টাওয়ার। তবে এই টাওয়ারটি থেকে সিগন্যাল ধরতে অনেক সমস্যা হতো। এছাড়া জাপান সরকার এনালগ টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। তাই রেডিও ও টেলিভিশন সম্প্রচার ডিজিটালাইজেশন করতে ২০০৬ সালে এই টাওয়ার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। টাওয়ারটির মালিক টোবু টাওয়ার স্কাই ট্রি কোম্পানি। 

নির্মাণ

সম্পাদনা

টোকিও স্কাই ট্রির উচ্চতা ৬৩৪ মিটার বা ২ হাজার ৮০ ফুট। তবে প্রথম দিকে উচ্চতা ৬১০ মিটার ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে এ উচ্চতা বাড়িয়ে ৬৩৪ মিটার করা হয়। এ টাওয়ারটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই। ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি এর কাজ শেষ হলে একই বছর ২২ মে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এ টাওয়ারটি খুলে দেওয়া হয়। ত্রিভুজ ও ইয়েন মুদ্রা গোল আদলের কাঠামোবিশিষ্ট ৩৬ হাজার ৯০০ বর্গমিটার জায়গায় নির্মিত স্কাই ট্রি টাওয়ার সম্পূর্ণ ভূমিকম্প নিয়ন্ত্রিত।

টেলিভিশন ও রেডিও সম্প্রচার টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পে যোগ দেয় জাপানি ছয়টি টেলিভিশন কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো -  এনএইচকে, নিহোন টিভি, টিভি আসাহি, টিবিএস, টিভি টোকিও এবং ফুজি টিভি। প্রথম টাওয়ারটির নাম নির্ধারণ করা নিয়ে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। পরে সরাসরি জাপানি নাগরিকদের কাছ ভোট গ্রহণের মাধ্যমে টাওয়ারটির নাম ‘টোকিও স্কাই ট্রি’ নির্ধারণ করা হয়। এটি নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ৮০ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের দিক বিবেচনা করে এই টাওয়ারটিকে শুধুমাত্র স্যাটেলাইট সম্প্রচার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার না করে পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনাও যুক্ত করা হয়। টাওয়ারের ৩১ তলা পর্যন্ত রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অ্যাকুয়ারিয়াম, ডোম থিয়েটার, রেস্টুরেন্ট, বার, হোটেল ও বাণিজ্যিক দপ্তরসমূহ।  টাওয়ারের প্রধান আকর্ষণ দুটি মানমন্দির। প্রথমটি উচ্চতায় ৩৫০ মিটার, দ্বিতীয়টি ৪৫০ মিটার। তার ওপর ১৩০ মিটার দীর্ঘ ডিজিটাল টিভি অ্যান্টেনা স্থাপিত।

চিত্রসংগ্রহ

সম্পাদনা
টোকিও স্কাইট্রি থেকে গৃহীত আলোকচিত্রে টোকিও শহরের পরিদৃশ্য

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

১. "Japan finishes Tokyo Sky Tree". Mmtimes.com. Retrieved 14 June 2013.

২.  Tokyo Sky Tree beats Tokyo Tower, now tallest building in Japan আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ৫ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে, The Mainichi Daily News, 29 March 2010

৩. "Japan Finishes World's Tallest Communications Tower"Council on Tall Buildings and Urban Habitat. 1 March 2012. Retrieved 2 March 2012.

৪ ."Tokyo Sky Tree"  Emporis. Retrieved 2 March 2012.

৫.  "Tokyo Sky Tree construction starts"The Japan Times(15 July 2008). Retrieved 15 July 2008.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা