টু (১৯৬৪-এর চলচ্চিত্র)
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (নভেম্বর ২০২৪) |
টু: এ ফিল্ম ফেবেল (বাংলা: দুই: একটি চলচ্চিত্র উপকথা) হলো সত্যজিৎ রায় পরিচালিত একটি ১৯৬৪ সালের ভারতীয় সাদা-কালো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। একটি অলাভজনক মার্কিন গণ সম্প্রচার দূরদর্শন, পিবিএস-এর অনুরোধে এসসো ওয়ার্ল্ড থিয়েটারের ব্যানারে ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল। এটি ভারতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের একটি ট্রিলজির অংশ হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। ট্রিলজির অন্য দুটি চলচ্চিত্রের একটি ভারতীয় সেতার বাদক পণ্ডিত রবি শঙ্করকে নিয়ে এবং আর অন্যটি মুম্বাইয়ের একটি ব্যালে ট্রুপ নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। সত্যজিৎ রায় বাংলা সিনেমার একজন শ্রেষ্ঠ প্রতিভা, তাকে বাংলাদেশের (সম্পূর্ণ বাংলা) পটভূমিতে ইংরেজি ভাষায় একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল, তবে সত্যজিৎ নির্বাক চলচ্চিত্রের একজন প্রশংসক হওয়ায় এই ধারার প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবে কোনো সংলাপ ছাড়াই একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
টু | |
---|---|
পরিচালক | সত্যজিৎ রায় |
প্রযোজক | এস্সো ওয়ার্ল্ড থিয়েটার |
রচয়িতা | সত্যজিৎ রায় |
চিত্রনাট্যকার | সত্যজিৎ রায় |
শ্রেষ্ঠাংশে | রবি কীরণ, পথশিশু |
সুরকার | সত্যজিৎ রায় |
চিত্রগ্রাহক | সৌমেন্দু রায় |
সম্পাদক | দুলাল দত্ত |
পরিবেশক | এস্সো ওয়ার্ল্ড থিয়েটার (ওপেন ডোমেইনে) |
মুক্তি | ১৯৬৪ |
স্থিতিকাল | ১২ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | কোনও সংলাপ নেই |
শর্ট ফিল্মটিতে একটি ধনী ও পথশিশুকে ধনী শিশুটির জানালার মধ্য দিয়ে তাদের মুখোমুখি দেখা যায়। ফিল্মটিতে কোন সংলাপ ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে। দুই বাচ্চা তাদের খেলনাগুলোর ধারাবাহিক প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে একে অপরের ক্ষমতা দেখতে চেষ্টা করে। চলচ্চিত্রটি শিশুসুলভ প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে জাগতিক হইহট্টগোল এবং সঙ্গীতের সাহায্যে চিত্রিত করেছে। সত্যজিতের এই ছবিটি যদিও সবার কাছে তেমন বিখ্যাত নয় কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এই ছবিটিকে তার সেরা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম একটির স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটিকে প্রায়শই তার অন্যতম সেরা কীর্তি গুপি গাইন বাঘা বাইন (১৯৬৯)-এর ভূমিকা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় তৈরি হওয়ায়, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে ছবিটি "একটি শক্তিশালী যুদ্ধবিরোধী স্বর" তৈরি করে কারণ এতে শোষিত নিপীড়িত দরিদ্র শিশুটির কম দামী বাঁশির শব্দে সেই ধনী শিশুটির সমস্ত দামী খেলনাগুলোর গুরুত্বকে মলিন করে তার অপ্রতিরোধ্য শব্দ (আওয়াজ) দিয়ে শেষ হয় যা আমেরিকার বহু উন্নত অস্ত্রশস্ত্র থাকা সত্ত্বেও তাদের হারকে ও ভিয়েতনামের সাধারণ গেরিলা যোদ্ধাদের বীরত্বকে প্রতিধ্বনিত করে।
একাডেমি ফিল্ম আর্কাইভ, যা একাডেমি ফাউন্ডেশনের অংশ, সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র পুনরুদ্ধার করার একটি উদ্যোগ নেয় এবং ১৯টি সত্যজিতের চলচ্চিত্রকে পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হয়। টু ২০০৬ সালে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।[১] চলচ্চিত্রটির মূল চিত্রনাট্যে সত্যজিৎ রায়ের ছেলে সন্দীপ রায়ের লেখা ’অরিজিনাল ইংলিশ ফিল্ম স্ক্রিপ্টস সত্যজিৎ রায়’ নামের একটি বইতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "About the Archive"। Oscars.org | Academy of Motion Picture Arts and Sciences (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৭-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে টু (ইংরেজি)