টুনটুনি ( বৈজ্ঞানিক নাম: Orthotommus sutoriu ; ইংরেজি: Tailorbird) হল সিলভিয়াডায় (Sylviidae) পরিবারের অর্ন্তগত অর্থোটোমাসের (Orthotomus) অর্ন্তভুক্ত একটি পাখি।[]

গাছের ডালে একটি টুনটুনি

প্রজাতির তালিকা

সম্পাদনা

বাংলাদেশ ও ভারতে সাধারণত কালাগলা টুনটুনি, পাহাড়ি টুনটুনিপাতি টুনটুনি এই তিনটি প্রজাতির টুনটুনি দেখা যায়। বিশ্বে মোট ১৫ প্রজাতির টুনটুনি পাওয়া যায়।[]

দেহের গঠন

সম্পাদনা

এটি ছোট আকারের একটি পাখি। টুনটুনির বুক এবং পেট সাদাটে, যা অনেকটা মাটির ঢিলার মতো। ডানার উপরিভাগ জলপাই-লালচে। মাথা জলপাই-লালচে। চোখের মনি পাকা মরিচের মত। বুক সাদা পালকে ঢাকা থাকে। লেজ খাড়া, তাতে কালচে দাগ আছে। ঋতুভেদে পিঠ ও ডানার রঙ কিছুটা বদলায়।

স্বভাব

সম্পাদনা

এদের যত চালাক পাখি ভাবা হয়, তারা আসলে তেমন নয়। এরা যেমন চালাক তেমন বোকাও। টুনটুনি বিপদ দেখলেই চেঁচামেচি করে। ফলে সহজেই শত্রুর কবলে পড়ে।

টুনটুনি বিভিন্ন রকম খাবার খেয়ে থাকে। এরা অনেক অপকারী পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ খাদ্য হিসেবে খায়। তাছাড়াও ছোট কেঁচো, মৌমাছি, ফুলের মধুরেশম মথ ইত্যাদি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। ধানপাট–গম পাতার পোকা, শুয়োপোকা ও তার ডিম, আম পাতার বিছা পোকা তাদের খাদ্য তালিকায় আছে।

টুনটুনির বাসা

সম্পাদনা

টুনটুনির বাসা খুব বেশি উচুতে হয়না। সাধারনত এরা ৬-১০ সেমি উচ্চতায় বাসা বাধে। ছোট গুল্ম জাতীয় গাছ অথবা ঝোপঝাড় এদের প্রধান পছন্দ। শিম, লাউ, কাঠ বাদাম, সূর্যমূখী, ডুমুর, লেবু এগুলোর গাছে এরা বেশি বাসা বাধে। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি মিলে বাসা তৈরী করে।

জবা, রঙ্গন, কুডুরা ইত্যাদি বড় পাতার গাছের ২-৩ টি পাতা একত্রে সেলাই করে টুনটুনি বাসা বাঁধে। মাকড়সার জালের সুতা দিয়ে এরা পাতা জোড়া লাগায়। এরপর যেসব গাছের তুলা জাতীয় জিনিস জন্মে সেসব গাছ থেকে তুলা এনে বাসার মধ্যে নরম পরিবেশ তৈরি করে। এরপর মাত্র দুটো ডিম পাড়ে বাসায়।

চিত্রশালা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "টুনটুনি"bn.banglapedia.org