জিউস
গ্রিক পুরাণে জিউস (ইংরেজি উচ্চারণ: /ˈzuːs/ (অসমর্থিত টেমপ্লেট) বা /ˈzjuːs/; প্রাচীন গ্রিক: Ζεύς জ়্দেউ্যস্, আধুনিক গ্রিক: Δίας, Dias) হলেন "দেবগণ ও মানবজাতির পিতা"। হেসিয়ডের থিওজেনি অনুসারে, তিনি পরিবারের পিতার ন্যায় মাউন্ট অলিম্পাসের অলিম্পিয়ানদের শাসন করতেন। গ্রিক পুরাণে তিনি ছিলেন আকাশ ও বজ্রের দেবতা। গ্রিকদের বিশ্বাসে তিনি দেবরাজ। জিউস নিরন্তর বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে পর্যবেক্ষণ করেন। পসেনিয়াস লিখেছেন, "জিউস স্বর্গের রাজা, এই প্রবাদটি সকলেই জানেন।"[৩] হেসিয়ডের থিওজেনি গ্রন্থের মতে, জিউস বিভিন্ন দেবতাদের মধ্যে তাঁদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেন। হোমারীয় স্তোত্রাবলি-তেও তাঁকে দেবতাদের প্রধান বলা হয়েছে। হেসিয়ডের থিওজেনি গ্রন্থে তাঁকে "দেবগণ ও মানবজাতির পিতা" বলেও অভিহিত করা হয়েছে। তার প্রতীকগুলি হল বজ্র, ঈগল, ষাঁড় ও ওক। ইন্দো-ইউরোপীয় ঐতিহ্যের এই সকল নিদর্শনগুলি ছাড়াও, এই ধ্রুপদি "মেঘ-সমাবেশকারী" প্রাচীন নিকট প্রাচ্য থেকেও কিছু মূর্তিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছেন। এর উদাহরণ হল রাজদণ্ড। গ্রিক শিল্পীরা মূলত দুটি ভঙ্গিতে জিউসের মূর্তিগুলি নির্মাণ করেছেন: প্রথমত, দণ্ডায়মান অবস্থায় দ্রুত-অগ্রসর হওয়ার ভঙ্গিতে, যেখানে তিনি ডান হাতে বজ্র উঁচিয়ে থাকেন এবং দ্বিতীয়ত রাজসভায় উপবিষ্ট মূর্তিতে।
জিউস | |
---|---|
আবাস | মাউন্ট অলিম্পাস |
প্রতীক | বজ্র, ঈগল, ষাঁড় ও ওক |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মাতাপিতা | ক্রোনাস,রেয়া |
সহোদর | হেস্টিয়া, হেডিস, হেরা, পসেইডন ও ডিমিটার |
সঙ্গী | হেরা,অন্যান্য |
সন্তান | এরিস, অ্যাথেনা, অ্যাপোলো, আর্টেমিস, আফ্রোদিতি,[২] ডায়োনিসাস, হেবে, হার্মিস, হেরাক্লিস, হেলেন, হেফাস্টাস, পার্সিউস, মিনোস, ও মিউজগণ |
সমকক্ষ | |
রোমান সমকক্ষ | জুপিটার |
রোমান ও এট্রুস্ক্যান পুরাণে জিউসের সমতুল দেবতারা হলেন যথাক্রমে জুপিটার ও টিনিয়া।
জিউস ক্রোনাস ও রেয়ার কনিষ্ঠ সন্তান। সর্বাধিক প্রচলিত মত অনুযায়ী, তিনি হেরাকে বিবাহ করেছিলেন। তবে ডোডোনার ওর্যাকল মতে, তার স্ত্রী ছিলেন ডায়োনে: ইলিয়ড মহাকাব্যের বর্ণনা অনুযায়ী, তার ঔরসে ডায়োনের গর্ভে আফ্রোদিতির জন্ম হয়।[২] জিউস তার কামলালসার জন্য প্রসিদ্ধ। এর ফলস্রুতিতে তার অনেক দেবতা ও যোদ্ধা সন্তানের জন্ম হয়। এঁরা হলেন অ্যাথেনা, অ্যাপোলো ও আর্টেমিস, হার্মিস, পার্সেফোনি (ডিমিটারের গর্ভে), ডায়োনিসাস, পার্সেউস, হেরাক্লেস, হেলেন, মিনোস ও মিউজগণ (নিমোসিনের গর্ভে); জিউসের ঔরসে হেরার গর্ভে জন্ম হয় আরেস, হেবে ও হেফাস্টাসের।[৪]
পৌরাণিক উপাখ্যান
সম্পাদনাজন্ম
সম্পাদনাক্রোনাসের ঔরসে রিয়ার গর্ভে একাধিক সন্তানের জন্ম হয়: হেস্টিয়া, ডিমিটার, হেরা, হেডিস ও পোসেইদন। কিন্তু জন্মমাত্রেই ক্রোনাস তার সন্তানদের গিলে ফেলতেন। কারণ গাইয়া ও ইউরেনাসের থেকে তিনি জেনেছিলেন যে তিনি যেমন নিজের পিতাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন, তেমনই তার নিজের সন্তানও তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। জিউসের জন্মের পূর্বে রিয়া তাঁকে রক্ষা করার জন্য গাইয়ার সঙ্গে পরামর্শ চান, যাতে ইউরেনাস ও তার সন্তানদের প্রতি কৃত অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি পান ক্রোনাস। রিয়া ক্রিটে জিউসের জন্ম দেন এবং শিশুর কাপড়ে জড়িয়ে একটি পাথর ক্রোনাসের হাতে তুলে দেন। এই পাথরটিই গিলে ফেলেন ক্রোনাস।
শৈশব
সম্পাদনারিয়া জিউসকে ক্রিটের মাউন্ট ইডার একটি গুহায় লুকিয়ে রাখেন। তার শৈশব সম্পর্কে একাধিক পরস্পরবিরোধী কাহিনি প্রচলিত আছে:
- ১: গাইয়া তাঁকে লালনপালন করেন।
- ২: অ্যামালথিয়া নামে একটি ছাগল তাঁকে প্রতিপালন করেন। অন্যদিকে একদল সেনা বা ছোটো দেবতা নাচগান, চেঁচামেচি ও বর্শানিক্ষেপে শব্দ সৃষ্টি করেন, যাতে শিশুর কান্না ক্রোনাস না শুনতে পায়।
- ৩: অ্যাডাম্যান্থিয়া নামে এক নিম্ফ তাঁকে প্রতিপালন করেন। ক্রোনাস যেহেতু পৃথিবী, স্বর্গ ও সমুদ্রের দেবতা ছিলেন, তাই তার কাছ থেকে লুকোতে গিয়ে সেই নিম্ফ একটি দড়ির দোলনায় জিউসকে গাছে ঝুলিয়ে রাখেন, যাতে সে পৃথিবী, সমুদ্র ও আকাশের বাইরে থেকে তার পিতার দৃষ্টির অগোচরে থাকেন।
- ৪: সিনোসুরা নামে এক নিম্ফ তাঁকে প্রতিপালন করেন। কৃতজ্ঞতাবশত জিউস নক্ষত্রমণ্ডলীতে তাঁকে স্থান দেন।
- ৫: মেলিসা তাঁকে প্রতিপালন করেন। তিনি জিউসকে ছাগলের দুধ ও মধু খাওয়াতেন।
- ৬: একটি পশুপালক পরিবার এই মর্মে তাঁকে প্রতিপালন করতে রাজি হয় যে, তাদের ভেড়ার পালে নেকড়েরা কখনও হানা দেবে না।
দৈবরাজ্য লাভ
সম্পাদনাবয়ঃপ্রাপ্তির পর জিউস ক্রোনাসকে সেই পাথরটি ওগরাতে বাধ্য করেন যেটি ওম্ফালোস নামক নশ্বর মানুষদের প্রতীক হিসেবে পাইথো পারনাসাসের উপত্যকায় রেখেছিল। তারপর গেলার বিপরীত ক্রমে ক্রোনাসকে তিনি তার ভাইবোনদের ওগরাতে বাধ্য করেন। কোনো কোনো পাঠান্তর থেকে জানা যায়, শিশুগুলিকে ওগরানোর জন্য মেটিস ক্রোনাসকে বমি করার ঔষধ প্রদান করেছিলেন। আবার কোনো কোনো মতে, জিউস ক্রোনাসের পেট চিরে তার ভাইবোনদের উদ্ধার করেছিলেন। এরপর টারটারাসের রক্ষক ক্যাম্পেকে হত্যা করে তিনি ক্রোনাসের ভাই জাইগ্যানেটস, হেক্টনকারস ও সাইক্লোপসদের উদ্ধার করেন।
কৃতজ্ঞতাবশত, সাইক্লোপসরা তাঁকে বজ্র ও বিদ্যুৎ প্রদান করেন, যা পূর্বে গাইয়া কর্তৃক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। জিউস তার ভাইবোন, জাইগ্যানেটস, হেক্টনকারস ও সাইক্লোপসের সহায়তায় ক্রোনাস সহ অন্যান্য টাইটানদের ক্ষমতাচ্যুত করেন। এই ঘটনা টাইটানোমেশি বা টাইটানদের যুদ্ধ নামে পরিচিত। টাইটানদের পরাজিত করে তারা তাঁদের টারটারাস নামে অন্ধকার এক পাতাললোকে নিক্ষেপ করেন। অ্যাটলাস নামে এক টাইটানকে জিউসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শাস্তিস্বরূপ আকাশ ধরে রাখার কাজ দেওয়া হয়।
টাইটানদের সঙ্গে যুদ্ধের পর জিউস তার দুই দাদা পসেইডন ও হেডিসের সঙ্গে বিশ্বচরাচর ভাগ করে নেন। জিউস হন আকাশের দেবতা, পসেইডন সমুদ্রের এবং হেডিস মৃতলোক বা পাতালের দেবতা হন। প্রাচীন পৃথিবী গাইয়াকে কেউ দাবি করতে পারেন না। তাই তিনি এই তিন জনেরই নিয়ন্ত্রণাধীন থাকেন। এই কারণেই পসেইডনকে "ভূকম্প-সৃষ্টিকারী" (ভূমিকম্পের দেবতা) বলা হয় এবং হেডিস মৃত মানুষদের উপর নিজ আধিপত্য কায়েম করেন। (পেনথাস দেখুন)
টাইটানদের প্রতি জিউসের আচরণ গাইয়াকে ক্ষুব্ধ করে। কারণ টাইটানরা ছিল তার সন্তান। দৈবরাজ্য লাভের পরই জিউসকে তাই গাইয়ার অন্যান্য সন্তান অর্থাৎ টাইফোন ও একিদনা নামে দৈত্যদ্বয়ের সঙ্গে লড়াই করতে হয়। তিনি টাইফোনকে একটি পর্বতের তলায় বন্দী করেন। কিন্তু একিদনা ও তার সন্তানদের মুক্তি দেন।
জিউস ও হেরা
সম্পাদনাজিউস হেরার ভ্রাতা ও স্বামী। জিউসের ঔরসে হেরার গর্ভে আরেস, হেবে ও হেফাস্টাসের জন্ম হয়। যদিও কোনো কোনো মতে, হেরা একাকীই এই সকল সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। অন্য মতে, ইলিথিয়া ও এরিসও হেরার কন্যা। নিম্ফ ও বিভিন্ন পৌরাণিক নশ্বর রাজবংশীয় নারী ও বালকদের সঙ্গে জিউসের যৌনসম্পর্ক ও প্রণয়কাহিনি প্রসিদ্ধ। অলিম্পিয়ান পুরাণতত্ত্বের মতে, লেটো, ডিমিটার, ডায়োনে ও মাইয়ার সঙ্গেও জিউসের যৌন সম্পর্ক বজায় ছিল। জিউসের প্রণয়ী নশ্বরেরা হলেন সেমেল, আইয়ো, ইউরোপা ও লেডা। (বিস্তারিত বর্ণনার জন্য নিচে দেখুন)
একাধিক পুরাণে দেখানো হয়েছে হেরা তার স্বামীয় প্রণয়ীদের প্রতি ঈর্ষাকাতর। এই ঈর্ষাবশত তিনি জিউসের অন্যান্য প্রণয়ী ও তাঁদের সন্তানদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন। কিছু সময়ের জন্য ইকো নামে এক নিম্ফ অবিরাম কথা বলে হেরার মনোযোগ তার স্বামীর প্রণয়াভিযান থেকে সরিয়ে রাখেন। হেরা এই ছলটি ধরে ফেললে, ইকোকে অভিশাপ দেন যে সে শুধু অন্যের শব্দই প্রতিধ্বনিত করতে পারবে।
প্রণয়সঙ্গী ও সন্তানাদি
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি বাংলায় অনুবাদ করা প্রয়োজন। এই নিবন্ধটি বাংলা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় লেখা হয়েছে। নিবন্ধটি যদি ঐ নির্দিষ্ট ভাষা ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়ে থাকে তবে, অনুগ্রহ করে নিবন্ধটি ঐ নির্দিষ্ট ভাষার উইকিপিডিয়াতে তৈরি করুন। অন্যান্য ভাষার উইকিপিডিয়ার তালিকা দেখুন এখানে। এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনি গুগল অনুবাদ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম দ্বারা অনুবাদকৃত লেখা উইকিপিডিয়াতে সংযোজন করবেন না, কারণ সাধারণত এই সরঞ্জামগুলোর অনুবাদ মানসম্পন্ন হয় না। |
নশ্বর/নিম্ফ/অন্যান্য মায়ের গর্ভেসম্পাদনা
|
*The Greeks variously claimed that the Fates were the daughters of Zeus and the Titaness Themis or of primordial beings like Nyx, Chaos or Anake.
† He is described as being "Earth-born" and was gestated buried beneath the ground; this is Gaia's domain, though she had no direct involvement in his birth or development. Other versions of his parentage include a version of the former excluding Poseidon and one with solely Poseidon and Euryale as his parents.
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ The sculpture was presented to Louis XIV as Aesculapius but restored as Zeus, ca. 1686, by Pierre Granier, who added the upraised right arm brandishing the thunderbolt. Marble, middle 2nd century CE. Formerly in the 'Allée Royale', (Tapis Vert) in the Gardens of Versailles, now conserved in the Louvre Museum (official on-line catalog)
- ↑ ক খ There are two major conflicting stories for Aphrodite's origins: Hesiod (Theogony) claims that she was "born" from the foam of the sea after Cronos castrated Uranus, thus making her Uranus' daughter; but Homer (Iliad, book V) has Aphrodite as daughter of Zeus and Dione. According to Plato (Symposium 180e), the two were entirely separate entities: Aphrodite Ourania and Aphrodite Pandemos.
- ↑ Pausanias, 2. 24.2.
- ↑ Hamilton, Edith (1942)। Mythology (1998 সংস্করণ)। New York: Back Bay Books। পৃষ্ঠা 467। আইএসবিএন 978-0-316-34114-1। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য); - ↑ The bust below the base of the neck is eighteenth century. The head, which is roughly worked at back and must have occupied a niche, was found at Hadrian's Villa, Tivoli and donated to the British Museum by John Thomas Barber Beaumont in 1836. BM 1516. (British Museum, A Catalogue of Sculpture in the Department of Greek and Roman Antiquities, 1904).
- ↑ Hyginus, Fabulae 155
অতিরিক্ত পাঠ
সম্পাদনা- Burkert, Walter, (1977) 1985. Greek Religion, especially section III.ii.1 (Harvard University Press)
- Cook, Arthur Bernard, Zeus: A Study in Ancient Religion, (3 volume set), (1914–1925). New York, Bibilo & Tannen: 1964.
- Volume 1: Zeus, God of the Bright Sky, Biblo-Moser, June 1, 1964, আইএসবিএন ০-৮১৯৬-০১৪৮-৯ (reprint)
- Volume 2: Zeus, God of the Dark Sky (Thunder and Lightning), Biblo-Moser, June 1, 1964, আইএসবিএন ০-৮১৯৬-০১৫৬-X
- Volume 3: Zeus, God of the Dark Sky (earthquakes, clouds, wind, dew, rain, meteorites)
- Druon, Maurice, The Memoirs of Zeus, 1964, Charles Scribner's and Sons. (tr. Humphrey Hare)
- Farnell, Lewis Richard, Cults of the Greek States 5 vols. Oxford; Clarendon 1896–1909. Still the standard reference.
- Farnell, Lewis Richard, Greek Hero Cults and Ideas of Immortality, 1921.
- Graves, Robert; The Greek Myths, Penguin Books Ltd. (1960 edition)
- Mitford,William, The History of Greece, 1784. Cf. v.1, Chapter II, Religion of the Early Greeks
- Moore, Clifford H., The Religious Thought of the Greeks, 1916.
- Nilsson, Martin P., Greek Popular Religion, 1940.
- Nilsson, Martin P., History of Greek Religion, 1949.
- Rohde, Erwin, Psyche: The Cult of Souls and Belief in Immortality among the Greeks, 1925.
- Smith, William, Dictionary of Greek and Roman Biography and Mythology, 1870, Ancientlibrary.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ এপ্রিল ২০০৬ তারিখে, William Smith, Dictionary: "Zeus" Ancientlibrary.com
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Greek Mythology Link, Zeus stories of Zeus in myth
- Theoi Project, Zeus summary, stories, classical art
- Theoi Project, Cult Of Zeus cult and statues
- Photo: Pagans Honor Zeus at Ancient Athens Temple from National Geographic
বারো অলিম্পিয়ান |
জিউস | হেরা | পসেইডন | হেডিস | হেস্তিয়া | দিমিতির | আফ্রোদিতি | আথেনা | অ্যাপোলো | আর্তেমিস | আরেস | হেফাইস্তোস | হার্মিস | দিয়োনুসোস |