জামিয়া এজাজিয়া দারুল উলুম যশোর
জামিয়া এজাজিয়া দারুল উলুম যশোর (যশোর রেলস্টেশন মাদ্রাসা নামেও পরিচিত) যশোর জংশন রেলওয়ে স্টেশনের পার্শ্বে অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। ১৯৫৯ সালে যশোরের দানবীর চৌধুরী আলতাফ হোসেনের নিজস্ব জায়গায় স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মাদ্রাসাটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে একটি গণকবর রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালীন যশোরের প্রসিদ্ধ আলেম আবুল হাসান যশোরী অত্র মাদ্রাসার মুহতামিম হিসেবে যোগদান করেন। তার মৃত্যুর পর ১৯৯৩ সাল থেকে অদ্যাবধি মুহতামিম হিসেবে কর্মরত আছেন আনওয়ারুল করীম যশোরী। ২০২১ সালে মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা ৫৬০।
ধরন | কওমি মাদ্রাসা |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৫৯ ইং[১][২][৩] |
প্রতিষ্ঠাতা | চৌধুরী আলতাফ হোসেন |
মূল প্রতিষ্ঠান | দারুল উলুম দেওবন্দ |
অধিভুক্তি | আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ |
ধর্মীয় অধিভুক্তি | ইসলাম |
আচার্য | আনওয়ারুল করীম যশোরী |
শিক্ষার্থী | ৫৬০ (২০২১) |
অবস্থান | |
সংক্ষিপ্ত নাম | যশোর রেলস্টেশন মাদ্রাসা |
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
সম্পাদনা২৫ মার্চের গণহত্যার পর যশোর ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে সাধারণ বাঙালি ও ইপিআর সদস্যরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলে। কিন্তু স্থানীয় বিহারি ও রাজাকারদের সহযোগিতায় ৩ এপ্রিল সে প্রতিরোধ ভেঙে যায়। এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের মুখে সাধারণ মানুষ এই মাদ্রাসায় আশ্রয় নেয়। মহেশপুরের তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাংসদ মঈনউদ্দিন মিয়াজীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, ছেলে-মেয়েকে তিনি নিজে মাদ্রাসায় নিয়ে আসেন। এ সংবাদ পেয়ে ৪ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মাদ্রাসায় আক্রমণ করে। উপস্থিত মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে। আবুল হাসান যশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি বেঁচে যান। তিনি টয়লেটে আশ্রয় নিলেও সেখানে গুলি ছোড়া হয়। দোতলায় তার থাকার রুমটি শেল মেরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
সেদিন মাওলানা যশোরীসহ ২৩ জনকে গুলি করা হয়। তাদের মধ্যে ২১ জনই শহীদ হন। তার মধ্যে মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ পাঁচ শিক্ষার্থীও ছিলেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্টার আব্দুর রউফ এবং কাজী আব্দুল গনী উল্লেখযোগ্য। শহীদদের মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়।[৪]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ গোলাম ছরোয়ার, মুহাম্মদ (নভেম্বর ২০১৩)। বাংলা ভাষায় ফিকহ চর্চা (১৯৪৭-২০০৬): স্বরূপ ও বৈশিষ্ঠ্য বিচার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ২৬১।
- ↑ আলম, মো. মোরশেদ (২০১৪)। হাদীস শাস্ত্র চর্চায় বাংলাদেশের মুহাদ্দিসগণের অবদান (১৯৭১-২০১২)। বাংলাদেশ: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ২৪০।
- ↑ "জামিয়া এজাজিয়া দারুল উলুম যশোর"। কওমিপিডিয়া। ১৩ মার্চ ২০২১।
- ↑ খসরু, আতাউর রহমান (২৬ মার্চ ২০২১)। "মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবাহী তিন মাদরাসা"। কালের কণ্ঠ।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |