জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সেঞ্চুরির তালিকা
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম আইসিসি অনুমোদিত টেস্ট প্লেয়িং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠসমূহের একটি। সাবেক শ্রমমন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরীর নাম অনুসারে এ স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে। এটি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম হিসেবে পূর্বে পরিচিত ছিল। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়াম হিসেবেও এ স্টেডিয়ামটির পরিচিতি রয়েছে। বাংলাদেশের এই মাঠে ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ হয়েছে। ঐ বিশ্বকাপের উদ্যেশেই সংস্কার করা হয়েছিল এই মাঠটি। স্টেডিয়ামটি জানুয়ারি ২০০৬ এ পূর্ণ আন্তর্জাতিক মর্যাদা পায়। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ তারিখে সফরকারী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট খেলার মাধ্যমে এ মাঠের টেস্ট অভিষেক ঘটে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সাগরিকায় এটি অবস্থিত। স্টেডিয়ামটির পাশেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর। ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপে এই মাঠে গ্রুপ-পর্বের দুইটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২০,০০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ স্টেডিয়ামটি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার অন্যতম প্রধান ক্রিকেট মাঠ। উদ্বোধনের পর থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারগণ সর্বমোট ২৪টি টেস্ট সেঞ্চুরি[১] এবং ৫টি ওডিআই সেঞ্চুরি হাঁকান।[২]
নির্দেশিকা
সম্পাদনা- * ব্যাটসম্যানের অপরাজিত থাকাকে নির্দেশ করে
- ই খেলার কততম ইনিংস সখ্যা
- ব ইনিংসে বল মোকাবেলা করার সংখ্যা
- তারিখ খেলা শুরুর তারিখ
- ফলাফল খেলোয়াড়ের দলের বিজয়,[৩][৪] পরাজয়[৫][৬] অথবা ড্র-কে নির্দেশ করছে[৭]
টেস্ট সেঞ্চুরি
সম্পাদনানিম্নবর্ণিত তালিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংঘটিত টেস্ট সেঞ্চুরিগুলো তুলে ধরা হয়েছে (টেস্ট#২১১৭; ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪):[১]
নং | রান সংখ্যা | খেলোয়াড় | দল | বল | ইনিংস | প্রতিপক্ষ দল | তারিখ | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১৩৬ | মোহাম্মদ আশরাফুল | বাংলাদেশ | ১৮৪ | ১ | শ্রীলঙ্কা | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ | পরাজয় |
২ | * | ২০১জেসন গিলেস্পি | অস্ট্রেলিয়া | ৪২৫ | ২ | বাংলাদেশ | ১৬ এপ্রিল ২০০৬ | জয় |
৩ | ১৮২ | মাইকেল হাসি | অস্ট্রেলিয়া | ২০৩ | ২ | বাংলাদেশ | ১৬ এপ্রিল ২০০৬ | জয় |
৪ | ১০১ | শচীন তেন্ডুলকর | ভারত | ১৬৯ | ১ | বাংলাদেশ | ১৮ মে ২০০৭ | জয় |
৫ | ১০০ | সৌরভ গাঙ্গুলী | ভারত | ১৬৫ | ১ | বাংলাদেশ | ১৮ মে ২০০৭ | জয় |
৬ | ২২৬ | নিল ম্যাকেঞ্জি | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৩৮৮ | ১ | বাংলাদেশ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | জয় |
৭ | ২৩২ | গ্রেইম স্মিথ | দক্ষিণ আফ্রিকা | ২৭৭ | ১ | বাংলাদেশ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | জয় |
৮ | ১৬২ | তিলকরত্নে দিলশান | শ্রীলঙ্কা | ১৬৫ | ১ | বাংলাদেশ | ৩ জানুয়ারি ২০০৯ | জয় |
৯ | ১৪৩ | তিলকরত্নে দিলশান | শ্রীলঙ্কা | ১৭৫ | ৩ | বাংলাদেশ | ৩ জানুয়ারি ২০০৯ | জয় |
১০ | ১০৫* | শচীন তেন্ডুলকর | ভারত | ১৬৬ | ১ | বাংলাদেশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১০ | জয় |
১১ | ১১৬ | গৌতম গম্ভীর | ভারত | ১২৯ | ৩ | বাংলাদেশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১০ | জয় |
১২ | ১০১ | মুশফিকুর রহিম | বাংলাদেশ | ১১৪ | ৪ | ভারত | ১৭ জানুয়ারি ২০১০ | পরাজয় |
১৩ | ১৭৩ | অ্যালাস্টেয়ার কুক | ইংল্যান্ড | ২৮৩ | ১ | বাংলাদেশ | ১২ মার্চ ২০১০ | জয় |
১৪ | ১৪৫ | পল কলিংউড | ইংল্যান্ড | ১৮৮ | ১ | বাংলাদেশ | ১২ মার্চ ২০১০ | জয় |
১৫ | ১০৬ | জুনায়েদ সিদ্দিকী | বাংলাদেশ | ২৯২ | ৪ | ইংল্যান্ড | ১২ মার্চ ২০১০ | পরাজয় |
১৬ | ১৪৩ | মোহাম্মদ হাফিজ | পাকিস্তান | ২৩৭ | ২ | বাংলাদেশ | ৯ ডিসেম্বর ২০১১ | জয় |
১৭ | ২০০* | ইউনুস খান | পাকিস্তান | ২৯০ | ২ | বাংলাদেশ | ৯ ডিসেম্বর ২০১১ | জয় |
১৮ | ১০৪ | আসাদ শফিক | পাকিস্তান | ২৩৫ | ২ | বাংলাদেশ | ৯ ডিসেম্বর ২০১১ | জয় |
১৯ | ৩১৯ | কুমার সাঙ্গাকারা | শ্রীলঙ্কা | ৪৮২ | ১ | বাংলাদেশ | ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ড্র |
২০ | ১০৬ | শামসুর রহমান | বাংলাদেশ | ১৯১ | ২ | শ্রীলঙ্কা | ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ড্র |
২১ | ১১৫ | ইমরুল কায়েস | বাংলাদেশ | ২১৮ | ২ | শ্রীলঙ্কা | ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ড্র |
২২ | ১০৫ | কুমার সাঙ্গাকারা | শ্রীলঙ্কা | ১৪৪ | ৩ | বাংলাদেশ | ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ড্র |
২৩ | ১০০* | দীনেশ চন্ডিমাল | শ্রীলঙ্কা | ১৫৮ | ৩ | বাংলাদেশ | ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ড্র |
২৪ | ১০০* | মমিনুল হক | বাংলাদেশ | ১৬৭ | ৪ | শ্রীলঙ্কা | ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ড্র |
ওডিআই সেঞ্চুরি
সম্পাদনানিম্নবর্ণিত তালিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংঘটিত একদিনের আন্তর্জাতিকের সেঞ্চুরিগুলো তুলে ধরা হয়েছে (৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখ পর্যন্ত):[২]
নং | রান সংখ্যা | খেলোয়াড় | দল | বল | ইনিংস | প্রতিপক্ষ দল | তারিখ | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১০৯ | কুমার সাঙ্গাকারা | শ্রীলঙ্কা | ১২৫ | ১ | বাংলাদেশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ | জয় |
২ | ১০৩* | গ্রেইম স্মিথ | দক্ষিণ আফ্রিকা | ১১৮ | ২ | বাংলাদেশ | ৯ মার্চ ২০০৮ | জয় |
৩ | ১০৩ | রস টেলর | নিউজিল্যান্ড | ১১৯ | ১ | বাংলাদেশ | ১৪ অক্টোবর ২০০৮ | জয় |
৪ | ১১৮* | ব্রেন্ডন টেলর | জিম্বাবুয়ে | ১২৫ | ১ | বাংলাদেশ | ৫ নভেম্বর ২০০৯ | পরাজয় |
৫ | ১০৭ | ক্রেইগ কাইজওয়েটার | ইংল্যান্ড | ১২৩ | ১ | বাংলাদেশ | ৫ মার্চ ২০১০ | জয় |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Statsguru: Test matches / Batting records / Innings by innings list"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১০।
- ↑ ক খ "Statsguru: One-Day Internationals / Batting records / Innings by innings list"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১০।
- ↑ "Statsguru: Test matches / Batting records / Innings by innings list / Match result : Won"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১১।
- ↑ "Statsguru: One Day International matches / Batting records / Innings by innings list / Match result : Won"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১১।
- ↑ "Statsguru: Test matches / Batting records / Innings by innings list / Match result : Lost"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১১।
- ↑ "Statsguru: One Day International matches / Batting records / Innings by innings list / Match result : Lost"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১১।
- ↑ "Statsguru: Test matches / Batting records / Innings by innings list / Match result : Drawn"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১১।