চিনুয়া আচিবে (ইংরেজিইগবো ভাষায়: Albert Chinualumogu Achebe অ্যাল্‌বার্ট্‌ চিনুয়ালুমোগু আচিবে) (জন্ম: নভেম্বর ১৬, ১৯৩০ - মৃত্যু: মার্চ ২১, ২০১৩) নাইজেরিয়ার প্রখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, সমালোচক এবং অনেকের মতে আফ্রিকার আধুনিক সাহিত্যের জনক।[]

চিনুয়া আচিবে
চিনুয়া আচিবে (২০০৮)
চিনুয়া আচিবে (২০০৮)
জন্মঅ্যালবার্ট চিনুয়ালুমোগু আচিবে
১৬ নভেম্বর, ১৯৩০[]
ওগিদি, আনাবগ্রা স্টেট, নাইজেরিয়া
মৃত্যু২১ মার্চ, ২০১৩
বোস্টন, ম্যাসাচুসেটস, যুক্তরাষ্ট্র []
পেশাডেভিড এন্ড মারিয়ানা ফিশার বিশ্ববিদ্যালয় (অধ্যাপক)
আফ্রিকানা স্টাডিজ ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় (অধ্যাপক)[]
জাতীয়তানাইজেরীয়
সময়কাল১৯৫৮-২০১৩
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিদি আফ্রিকানত্রয়ী:
থিংস ফল অ্যাপার্ট,
নো লংগার এট ইজি,
অ্যারো অব গড;
আরো, এ ম্যান অব দ্য পিপল, এবং
অ্যান্টহিলস অব দ্য সাভানা

চিনুয়া আচিবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ই নভেম্বর। ১৯৯০ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিলেন চিনুয়া।[] এরপর তিনি প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় কোনো বই লেখেননি। সুদীর্ঘ ১৯ বছর তিনি বার্ড কলেজে ভাষা এবং সাহিত্যের অধ্যাপনা করেছেন। পরবর্তীকালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে আফ্রিকা-বিষয়ক গবেষণামূলক কাজের অধ্যাপনাও করেছেন। চাকরি জীবনে তিনি নাইজেরিয়ার ব্রডকাস্ট সার্ভিসে কাজ শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে লেখালেখি শুরু করেন।

লেখক হিসাবে চিনুয়া আচিবে আফ্রিকা এবং পশ্চিমের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করেছিলেন।তার কাজকে মানদণ্ড ধরেই প্রজন্মান্তরে আফ্রিকান লেখকদের কাজের মূল্যায়ন হয়ে আসছে। চিনুয়া আচিবে তাঁর সারা জীবনে ২০ টিরও বেশি লেখা লিখেছেন।[] এর মধ্যে কয়েকটি লেখাই রাজনীতিবিদ এবং নাইজেরিয়ার নেতাদের নেতৃত্বে ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করে লেখা। তাঁর বইগুলোতে দেশটির ঔপনেবেশিক সময়ে ইবো সমাজের ঐতিহ্য, দেশটির সংস্কৃতিতে খ্রিষ্টানদের আগ্রাসন এবং আফ্রিকা ও পশ্চিমাদের মধ্যকার প্রথাগত দ্বন্দ্বের বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে উঠে এসছে। এছাড়াও তিনি অনেক ছ্টে গল্প, শিশু সাহিত্য এবং প্রবন্ধও রচনা করেছেন।১৯৫৮ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস 'থিংস ফল অ্যাপার্ট' এর সুবাদে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন আচিবে।[] উপন্যাসটি অনুবাদ হয়েছে ৫০ টিরও বেশি ভাষায়। তাছাড়া, বিশ্বজুড়ে উপন্যাসটি প্রায় ১ কোটি কপি বিক্রি হয়। তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস 'অ্যান্টহিলস অফ দি সাভানা' প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে। ২০০৭ সালে চিনুয়া আচিবে সম্মানিত হন আন্তর্জাতিক ম্যান বুকার পুরস্কারে।

আফ্রিকার রাজনীতি ও পশ্চিমাদের চোখে আফ্রিকা যেভাবে চিত্রিত হয় সে প্রসঙ্গটি ঘুরে ফিরে এসেছে চিনুয়া আচিবের রচনায়। আফ্রিকার অনেক লেখকের প্রেরণার উৎস তিনি। চিনুয়া আচিবের লেখা কারাগারের দেয়ালও ভেঙে দেয়-বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

গ্রন্থপঞ্জি

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. চিনুয়া আচিবে চলে গেলেন, কালের কন্ঠ
  2. প্রখ্যাত লেখক চিনুয়া আচিবে আর নেই[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "নতুন বার্তা"। ২৬ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৩ 
  4. নয়া দীগন্ত[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]