চারুচন্দ্র চক্রবর্তী
চারুচন্দ্র চক্রবর্তী (জন্ম: ২৩ মার্চ, ১৯০২ — মৃত্যু: ২৫ মে, ১৯৮১) একজন বাঙালি সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক। তিনি জরাসন্ধ ছদ্মনামেই অধিক পরিচিত।[১] ব্রিটিশ ভারতবর্ষের পূর্ব বাংলার ফরিদপুর জেলার বর্তমানে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণডাঙ্গায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন।[২]
চারুচন্দ্র চক্রবর্তী | |
---|---|
জন্ম | ব্রাহ্মণডাঙ্গা, ফরিদপুর, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা বাংলাদেশ) | ২৩ মার্চ ১৯০২
মৃত্যু | ২৫ মে ১৯৮১ কলকাতা, ভারত | (বয়স ৭৯)
ছদ্মনাম | জরাসন্ধ |
পেশা | সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
ধরন | উপন্যাস |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | লৌহকপাট, তামসী, পাড়ি, অপর্ণা |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | শরৎচন্দ্র পুরস্কার |
জীবনী
সম্পাদনাচারুচন্দ্র চক্রবর্তীর পিতার নাম অম্বিকাচরণ চক্রবর্তী। প্রাথমিক স্কুলের পাঠ শেষে, ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে সপ্তম স্থান অধিকার করে ম্যাট্রিক ও প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে এম. এ পাশ করেন।[৩] সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে দার্জিলিংয়ে ডেপুটি জেলার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। তারপর দীর্ঘ তিরিশ বছর নানা জেলে বিভিন্ন পদে সুনাম ও কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের সুপারিনটেন্ডন্ট হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন।
সাহিত্যকর্ম
সম্পাদনাদীর্ঘ কর্মজীবনে জেলের লৌহকপাটের মধ্যে যে মানুষ গুলিকে দেখেছেন তাদের কথা ও কাহিনী তার উপন্যাসে মূর্ত হয়ে উঠেছে। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১ লা মে 'লৌহকপাট' এর প্রথম পর্ব গ্রন্থের আকারে প্রকাশিত হয়। এরপর একে একে মোট চারটি পর্বে প্রকাশিত হয়েছে। তার কুড়ি একুশ খানি উপন্যাসের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল -
- 'তামসী' (১৯৫৮)
- 'পাড়ি'
- 'মসীরেখা'
- 'ন্যায়দণ্ড'( ১৯৬১)
- 'পরশমণি'
- 'উত্তরাধিকার'
- 'ছায়া' (১৯৭২)
- 'নিশানা' (১৯৭৭)
- 'তৃতীয় নয়ন'(১৯৭৯)
- 'হীরা চুনি পান্না' (১৯৮৩)
- 'আশ্রয়'
- একুশ বছর'
- 'আবরণ'
- 'এ বাড়ি ও বাড়ি'
তার আত্মজীবনীমূলক রচনা হল, দুটি খণ্ডে 'নিঃসঙ্গ পথিক'। প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে। ছোট গল্প সংকলনও আছে ছ-খানা। এছাড়া ছোটদের জন্য কিছু লেখা আছে 'রঙচঙ', 'রবিবার', 'যমরাজের বিপদ' প্রভৃতি গ্রন্থে। সাহিত্যকীর্তির জন্য তিনি 'শরৎচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার' ও 'মতিলাল পুরস্কার' লাভ করেন। তার বহু রচনা দেশবিদেশের অন্তত ছয়টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে তার উপন্যাস 'তামসী' অবলম্বনে হিন্দিতে 'বন্দিনী' নামে চলচ্চিত্রায়িত করেন প্রখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক বিমল রায় এবং সেরা সম্মান লাভ করে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Sāhityika barshapañji। Puśtaka Bipaṇi। ১৯৮২।
- ↑ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ২১৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ সেই দিনটি। "চারুচন্দ্র চক্রবর্তী"। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]