চাঁদের পাহাড় (চলচ্চিত্র)
চাঁদের পাহাড় হল কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় পরিচালিত একটি বাংলা চলচ্চিত্র। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় টলিউডের সর্বোচ্চ বাজেটের এই চলচ্চিত্রটি। দেব এই চলচ্চিত্রের মুখ্য ভূমিকায় (শঙ্কর) আছেন। বাংলার প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস চাঁদের পাহাড় অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্র। শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস এই চলচ্চিত্রের প্রযোজনা করেছে। এই চলচ্চিত্র নিয়ে চলচ্চিত্র জগতে সর্বাধিক আলোচনা হয়েছে।[৪]
চাঁদের পাহাড় | |
---|---|
পরিচালক | কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় |
প্রযোজক | মাহেন্দ্র সোনী শ্রীকান্ত মোহতা |
রচয়িতা | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় |
চিত্রনাট্যকার | কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় |
কাহিনিকার | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় |
উৎস | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক চাঁদের পাহাড় |
শ্রেষ্ঠাংশে | দেব জেরার্ড রুডলফ মার্টিন সিটো ওটো |
সুরকার | ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত |
চিত্রগ্রাহক | সৌমিক হালদার |
সম্পাদক | রবিরঞ্জন মৈত্র |
পরিবেশক | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস |
মুক্তি | ২০শে ডিসেম্বর, ২০১৩ (পশ্চিমবঙ্গে) ২৭শে ডিসেম্বর, ২০১৩ (ভারতের অন্যান্য রাজ্যে) ১০ই জানুয়ারি, ২০১৪ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে) ০৯ই মে, ২০১৪ (আসামে) |
স্থিতিকাল | ১৪৮ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ₹ ১০ কোটি (ইউএস$ ১.২২ মিলিয়ন) |
আয় | ₹ ২৫ কোটি (ইউএস$ ৩.০৬ মিলিয়ন)[১][২][৩] |
২০শে ডিসেম্বর, ২০১৩[৫] সালের মুক্তির পর পরই এই চলচ্চিত্রটি সারা বাংলায় হইচই ফেলে দেয়। চলচ্চিত্রটি কোন ছুটির দিনে মুক্তি না পেলেও প্রায় সকল সিনেমা হল, সিনেপ্লেক্সই হাউজফুল থাকে।[৬]
চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার আইনক্স মাল্টিপ্লেক্সে হয় এবং সেখানে চলচ্চিত্র জগতের তারকারা হাজির ছিল।[৭][৮] দেব নিজে সবকিছুর দেখাশোনা করেন।[৯] ২৭শে ডিসেম্বর এক বিশেষ স্ক্রিনিং-এ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরো অনেক মন্ত্রীরাই উপস্থিত ছিলেন।[১০][১১]
চাঁদের পাহাড় দেব অভিনীত প্রথম অন্যধারার চলচ্চিত্র (সাহিত্যনির্ভর অ্যাডভেঞ্চার ফিল্ম)। এর আগে তিনি শুধুমাত্রই মেলোড্রামাটিক বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রগুলোতেই অভিনয় করতেন। পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় এর আগে উড়ো চিঠি ও মেঘে ঢাকা তারা[১২] চলচ্চিত্রদ্বয়ে পরিচালনা করেছেন। ১৪ই নভেম্বরে শিশু দিবসে নিকো পার্ক বিকেল পাঁচটায় এই চলচ্চিত্রের ট্রেলার ও ফার্স্ট লুক মুক্তি দেয়া হয়। ইউটিউবে এই ছবির ট্রেলার প্রায় দুই লক্ষ বারেরও বেশি দেখা হয় (সর্বশেষ তথ্যপ্রাপ্ত), যা বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রথম।[১৩] টলিউডের অন্যতম বড় বাজেটের চলচ্চিত্র এটি।
প্রায় ১০ কোটি রূপি বাজেটের এই চলচ্চিত্রে প্রায় ৭০ জন টেকনিশিয়ান কাজ করেছেন। বলিউডের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ তরুণ আদর্শ বলেন, “আমরা মুম্বইতে বলাবলি করছি এটা বাংলার ‘কামিং অফ এজ’ ফিল্ম। শাহরুখ, হৃতিকের যে কোনও ছবির সঙ্গে তুলনা করা যায় চাঁদের পাহাড় এর। শুধু একটাই আবেদন আমার, এই ছবিটা ইন্টারন্যাশনালি ভাল করে রিলিজ করুন প্রযোজকেরা”।[১৩]
দেব বলেন, এরকম চলচ্চিত্র আর কখনই হবে না কারণ চাঁদের পাহাড়ের মত অভিযান কাহিনী বাংলায় আর দুটো নেই।[১৪][১৫] তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে দেব এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এক টাকাও নেননি।[১৬] তিনি নিজেই বলেন এই চলচ্চিত্রে তিনি নিজেকে ২০০% দিতে চেষ্টা করেছেন। তবে তিনি এটাও বলেন এই চলচ্চিত্র তাকে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা দিয়েছে যা আর কখনই তিনি পাবেন না।[১৭]
২৮শে মার্চ চলচ্চিত্রের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে উৎসব হয়।[১৮][১৯]
কাহিনী
সম্পাদনাচাঁদের পাহাড়-এর কাহিনী এক বাঙালি অভিযাত্রীকের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, যে ১৯০৯-১৯১০ সাল নাগাদ আফ্রিকা যায়। শঙ্কর রায় চৌধুরী (দেব), এই চলচ্চিত্রের নায়ক, গ্রাজ্যুয়েশন করার পর পাটকলে চাকরি পায়। কিন্তু সে রোমাঞ্চ খোঁজে। সে আফ্রিকার দুর্গম স্থানে যেতে চায়।
অবশেষে তার গ্রামের এক অধিবাসী, যে আফ্রিকায় কাজ করে, তার সহায়তায় সে আফ্রিকায় ক্লার্ক হিসেবে কাজ পায় এবং উগান্ডা রেলওয়েতে চাকরি পায়। কিন্তু সেখানে মানুষখেকো সিংহ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-এর আগের সমস্যা থাকে। ইতিমধ্যে সিংহের সাথে তার যুদ্ধ হয়। এছাড়াও এখানে ব্ল্যাক মাম্বা সাপের আক্রমণ হয়। এখানেই সে পর্তুগিজ অভিযাত্রীক ও স্বর্ণসন্ধানী ডিয়েগো আলভারেজ-এর দেখা পায়। আলভারেজ তাকে তার সময়ের ঘটনা বলে। সে এবং তার সঙ্গী জিম কার্টার পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরক খনির সন্ধান পায়। কিন্তু ভয়ংকর জন্তু বুনিপ জিমকে মেরে ফেলে এবং আলভারেজ ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
সব শুনে শঙ্কর ক্লার্কের চাকরি ছেড়ে দিয়ে আলভারেজের সাথে খনি অনুসন্ধানে বের হয়। তারা ঘন জঙ্গলে প্রবেশ করে। পথে তাদের অবর্ণনীয় অসুবিধা হয়। জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি তাদের পথে বিরাট বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে আলভারেজকেও সেই বুনিপ মেরে ফেলে। শঙ্কর একা হয়ে পড়ে।
সে সভ্যতার খোঁজে বের হয়। সে বুনিপের গুহা খুঁজে পায়। সে নিজের অজান্তেই হীরকের খনি খুঁজে পায়। সেই গুহায় সে পথ হারিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে কিছু পাথরের সহায়তায় সে গুহা থেকে বের হতে সক্ষম হয়। সে সাথে করে কিছু পাথর নিয়ে আসে। আসলে সেই পাথরগুলো আর কিছুই নয়, কাঁচা হীরা। সে ইতালীয় অভিযাত্রীক আত্তিলীয় গাত্তির নোট থেকে জানতে পারে, আসলে সে যেই গুহায় পৌছেছিল, সেই গুহায়ই বিখ্যাত হীরক খনি, যার জন্য জন ও আলভারেজ তাদের জীবন হারিয়েছে।
কিন্তু সে ততক্ষণে কালাহারি মরুভূমিতে পথ হারিয়েছে। নিজের প্রাণ বাঁচানোই তখন দুষ্কর। মরুভূমিতে সে জলের অভাবে প্রায় মৃত্যুবরণ করেছিল। তার মাথার উপর শকুনেরা ঘোরাফেরা শুরু করে। পথে সিংহের সাথে তার যুদ্ধ হয়। অবশেষে এক সার্ভে টিম তাকে খুঁজে পায় এবং মুমূর্ষু শঙ্করকে শৈলেশবাড়ি, রোডেশিয়ায় নিয়ে বাঁচায়।
শঙ্কর বইয়ের শেষে বলে যে সে আবার বড় দল নিয়ে এসে এই হীরক খনীর সন্ধান করবে, যার জন্য আলভারেজ, কার্টার ও আত্তিলীয় জীবন দিয়েছে।[২০][২১]
অভিনয়ে
সম্পাদনা- শঙ্কর চরিত্রে দেব, প্রধান চরিত্র
- ডিয়েগো আলভারেজ চরিত্রে জেরার্ড রুডলফ
- জিম কার্টার চরিত্রে মার্টিন সিটো ওটো
- শঙ্করের মা চরিত্রে লাবণী সরকার
ব্যবসা ও রেকর্ড
সম্পাদনাএখন পর্যন্ত প্রথম সপ্তাহে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড ২ কোটি টাকা। কিন্তু চাঁদের পাহাড় শুধুমাত্র রবিবারেই ৯০ লাখ টাকা আয় করে। প্রথমে এই চলচ্চিত্রের বিরাট বাজেটের টাকা উঠে আসবে কিনা সন্দেহ থাকলে এই সন্দেহ ক্রমেই দূরীভূত হচ্ছে। এক দিনে মাল্টিপ্লেক্সে (আইনক্স সাউথ সিটি) সব থেকে বেশি আয় করে ছবিটি (প্রায় ৪ লাখ ৯৮ হাজার রুপি) এবং এক দিনে সিঙ্গল স্ক্রিনে (প্রিয়া, চারটে শো) সব থেকে বেশি আয় করে (প্রায় ২ লাখ ৯৭ হাজার রুপি)।[২২] চলচ্চিত্রের পর দেব এই চলচ্চিত্রের বিরাট সাফল্যের জন্য ও তার জন্মদিন উপলক্ষে পার্টি করেন, যেখানে চলচ্চিত্র জগতের তারকারা উপস্থিত ছিলেন।[২৩] চলচ্চিত্রটি ২০১৩-এর মাইলফলকেও স্থান করে নেয়।[২৪] এই প্রথম কোন চলচ্চিত্র পশ্চিম বাংলার বাইরে মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ সহ সর্বত্র হাউজফুল হয়।[২৫]
রিভিউ
সম্পাদনাদ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া এই চলচ্চিত্রকে ৩.৫/৫ দিয়েছে[২৬] এবং বলেছে এই ছবিটি দেখার সময় অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র লাইফ অফ পাই-এর মত রোমাঞ্চ অনুভূত হয়।[২৭] তারা বলে, এই চলচ্চিত্রটি একটি নতুন উচ্চতা সৃষ্টি করে দিয়েছে।[২৫] আনন্দবাজার পত্রিকা চলচ্চিত্রকে বাংলা ছবির শোলে আখ্যায়িত করেছে এবং ৮.৫/১০ দিয়েছে।[২৮] ছবিটি এবেলা পত্রিকায় রিভিউ ৮/১০ পেয়েছে।[২৯] একইদিনে মুক্তিপ্রাপ্ত ধুম থ্রি একই স্থানে রিভিউতে ৬.৫/১০ পায়।[৩০] জি নিউজ একে ১/২ পয়েন্ট দিয়েছে।[৩১] গোমোলো ডট কম একে ৪/৫ এবং ফ্রেন্ডস এফ.এম. ৮/১০ দিয়েছে। দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকা বলেছে, স্বভাবতই কাহিনীর অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে, কিন্তু পরিচালক সেটাকে যথাযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য করেছেন।[৩২] টলিউড ধামাকা একে ৮/১০ দিয়েছে।[৩৩] এই সময় রিভিউতে ভাল লেগেছে গ্রেড দিয়েছে এবং লিখেছে, "সব থেকে বড় কথা (বই আর ছবি আলাদা মাধ্যম হলেও) কল্পনার শঙ্কর বাস্তবে ধাক্কা খায় না। চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় নিপুণ হাতে সঞ্চার করেন তাদের মধ্যে।"[৩৪] উত্তরবঙ্গ সংবাদ পরিচালককে একটি খোলা চিঠিতে ভূয়সী প্রশংসা করে।[৩৫] শঙ্কর চরিত্রে দেবের অভিনয় আজকাল সহ সকল পত্রিকা দ্বারা প্রশংসিত হয়।[৩৬] বক্স অফিস ইন্ডিয়া[৩৭], দ্য ডেইলী স্টার[৩৮] প্রমুখ পত্রিকাও এই চলচ্চিত্রকে নতুন সীমানা সৃষ্টি করেছে বলে আখ্যায়িত করেছে।
প্রযোজনা
সম্পাদনাশুরু
সম্পাদনা২০১২ সালের ২৪শে অক্টোবর এই চলচ্চিত্রের কথা পরিচালক এই চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহ্তাকে বলেন। এরপর থেকেই এই চলচ্চিত্রকে নিয়ে ইন্ড্রাস্ট্রিতে আলোচনা শুরু হয়।[১৩]
পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় চাঁদের পাহাড় চলচ্চিত্রকে তার ড্রিম প্রজেক্ট বলে অভিহিত করেছেন।[৩৯] একে তিনি দুদিকেই ধার সম্পন্ন তলোয়াড়ও বলেছেন। কারণ তিনি আফ্রিকায় এক মাস ধরে শ্যুটিং স্থান খুঁজতে গিয়ে অনুভব করেছেন, কাজটা কত দুরুহ।[৪০] শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস এর প্রযোজনায় এগিয়ে আসে এবং তারা দেবকেই এই চলচ্চিত্রের জন্য উপযুক্ত মনে করে। তিনি বলেন, তিনি ২০০৯ তাঁর মার সাথে নিউ এম্পায়ার হল-এ গিয়ে আফ্রিকান সাফারি দেখেছিলেন এবং সেদিনই চাঁদের পাহাড় বানানোর কথা ভেবেছিলেন।[৪১]
পরিচালক এই ছবির ক্ষেত্রে একটি মাসাই প্রবাদ ব্যবহার করেছেন, †(তুমি যদি কোণায় না বসবাস কর, তারমানে তুমি অনেক জায়গা নিয়ে নিচ্ছ)[৪২]। তিনি এও বলেছেন, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক চাঁদের পাহাড় লেখায় তিনি কৃতজ্ঞ, কারণ লেখক এত দুর্দান্তভাবে লিখেছেন, যে পুরো দৃশ্য চোখের সামনে যেন ভেসে ওঠে[৪০]। দেব বলেছেন, এটা তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট।[৪৩]
অভিনেতা নির্বাচন
সম্পাদনাপ্রথমে দেব এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে এই দুইজনের একজনকে চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রের জন্য নির্বাচন করা হবে বলে ঠিক হয়েছিল[৪২]। পরে পরিচালক ও প্রযোজক বলেছেন, প্রথম থেকেই তাদের ইচ্ছা ছিল দেবকে নেবার। কারণ দৃশ্যায়ণের জন্য এরকম স্পোর্টি দেহই তাদের চাই। উপন্যাসে আছে, শঙ্কর সাঁতার, পাহাড় চড়া, ঘোড়ায় চড়তে জানে। তাই তাকেই এই চরিত্রে নির্বাচন করা হয়। শঙ্করকে এছাড়াও সিংহের সাথে যুদ্ধ করতে হবে। তাই দেবকে অনেক ওজন কমাতে হবে, কারণ শেষদিকে শঙ্কর মরুভূমিতে প্রায় উপোস করেই ছিল।[৪৪]
যেহেতু কাহিনীর প্রেক্ষাপট আফ্রিকায়, তাই অনেক আফ্রিকানকে অভিনয়ের জন্য নিতে হয়েছে। ডিয়েগো আলভারেজ চরিত্রে কে থাকবেন এই নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনার শেষে জেরার্ড রুডলফকেই নেয়া হয়। একপর্যায়ে সে শঙ্করকে বলে, "ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন"। পরিচালক বলেন, রুডলফকে তিনি চিত্রনাট্য পাঠানোর আগেই তারা ইন্টারনেট থেকে বইটি পড়ে ফেলে, তারা এতটাই পেশাজীবি।[৪০]
বাজার
সম্পাদনাফার্স্ট লুক ও ট্রেলার
সম্পাদনাএই ছবির ফার্স্ট লুক ১৪ই নভেম্বর কলকাতার নিকো পার্কে দেখানো হয়।[৪৫][৪৬] এর জন্য একটি প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছিল। এর ট্রেলার ইউটিউবে ছাড়ার প্রথম দিনেই ৩২, ০০০+ জন এটা দেখে।[৪৭] এছাড়া ৩ দিনের মধ্যেই এক লক্ষেরও বেশি মানুষ এই ট্রেলার ইউটিউবে দেখে, যা বাংলা চলচ্চিত্র জগতে একটি রেকর্ড।[৪৮]
এছাড়া শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস এই চলচ্চিত্রের প্রোমোশনের জন্য তাদের ইউটিউব চ্যানেলে একের পর এক চাঁদের পাহাড় ডায়েরি নামে শ্যুটিং এবং অন্যান্য কিছু অংশ ছাড়ছে।
পর্ব নং | নাম | মুক্তির তারিখ | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|
১ | রক ক্লাইম্বিং (পাহাড়ে আরোহণ) | ২৮শে নভেম্বর, ২০১৩ | [৪৯] |
২ | লায়ন দ্য কিং পার্ট ১ (সিংহরাজ পর্ব ১) | ২৯শে নভেম্বর, ২০১৩ | [৫০] |
৩ | কলম্বাস ভার্সেস শঙ্কর পার্ট ১ (কলম্বাস বনাম শঙ্কর পর্ব ১) | ৩০শে নভেম্বর, ২০১৩ | [৫১] |
৪ | কলম্বাস ভার্সেস শঙ্কর পার্ট ২ (কলম্বাস বনাম শঙ্কর পর্ব ২) | ২রা ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৫২] |
৫ | আফ্রিকান ফুড সাফারি (আফ্রীয় খাদ্য সাফারি) | ৩রা ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৫৩] |
৬ | দ্য ট্রাইবস - জুলু এন্ড মাসাই (উপজাতি-জুলু ও মাসাই) | ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৫৪] |
৭ | দ্য ট্রাইবস - জুলু এন্ড মাসাই (উপজাতি-জুলু ও মাসাই) | ৫ই ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৫৫] |
৮ | দ্য ব্ল্যাক ম্যাম্বা (ব্লাক ম্যাম্বা) | ৬ই ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৫৬] |
৯ | আফ্রিকান এলিফ্যান্টস পার্ট ১ (আফ্রীয় হাতি পর্ব ১) | ৭ই ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৫৭] |
১০ | আফ্রিকান এলিফ্যান্টস পার্ট ২ (আফ্রীয় হাতি পর্ব ২) | ৯ই ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৫৮] |
১১ | লোকেশনস্ পার্ট ১ (দৃশ্য পর্ব ১) | ১০ই ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৫৯] |
১২ | লোকেশনস্ পার্ট ২ (দৃশ্য পর্ব ২) | ১১ই ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৬০] |
১৩ | দেব এজ শঙ্কর (শঙ্কর হিসেবে দেব) | ১৬ই ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৬১] |
১৪ | ইন্টারন্যাশনাল কাস্ট এন্ড ক্রু পার্ট ১ (আন্তর্জাতিক কলা-কুশলী পর্ব ১) | ১৮ই ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৬২] |
১৫ | ইন্টারন্যাশনাল কাস্ট এন্ড ক্রু পার্ট ১ (আন্তর্জাতিক কলা-কুশলী পর্ব ২) | ২০শে ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৬৩] |
১৬ | মেকিং অফ দ্য সং (সংগীত নির্মাণ) | ২১শে ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৬৪] |
১৭ | শঙ্কর ভার্সেস কলম্বাস (শঙ্কর বনাম কলম্বাস) | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০১৩ | [৬৫] |
বাজেট
সম্পাদনাব্যয়ের বিষয় | ব্যয় (ভারতীয় রুপি)[৬৬] |
---|---|
প্রি-প্রোডাকশন | ৫০ লক্ষ |
আফ্রিকায় ৪৫ দিন দৃশ্যায়ণ | ৮ কোটি |
কর্মকর্তাদের সম্মানী | ১ কোটি |
কম্পিউটার সংযোজন | ২.৫ কোটি |
পোস্ট-প্রোডাকশনস | ২ কোটি |
প্রিন্ট ও প্রচারণা | ১ কোটি |
এখন পর্যন্ত যত বাংলা চলচ্চিত্র হয়েছে, তাদের সকলের মধ্যে চাঁদের পাহাড়-এর বাজেট সর্বোচ্চ।[৬৬] প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস এই ছবির প্রযোজনা করছে এবং চলচ্চিত্রটি শ্যুটিং করা হয়েছে আফ্রিকায়। প্রায় ১৫ কোটি টাকা বাজেটের ছবি হবে এটি। এর এফেক্ট হলিউড ও বলিউড মাপের হবে[৬৭] । দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া বলেছে, এই ছবির বাজেট এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্স আগে কোন বাংলা ছবিতে দেখা যায়নি। এই ছবির আগ্নেয়গিরির স্থানটি কম্পিউটার গ্রাফিক্সে দেখাতে খরচ হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা। পুরো কম্পিউটার গ্রাফিক্সের পিছনে আনুমানিক ২ (বা তারও বেশি) কোটি টাকা খরচ হয়েছে।[১৩]
ডিভিডির মুক্তি
সম্পাদনা৩রা জুন, ২০১৪ সালে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস হোম ভিডিও থেকে এই চলচ্চিত্রের ডিভিডি বের করে। প্রথমদিকে এরা বিশেষ অফারে এই চলচ্চিত্রের ডিভিডির সাথে বই দেবারও ব্যবস্থা করবে।[৬৮]
ওয়ার্ল্ড টেলিভিশন প্রিমিয়ার
সম্পাদনা২০১৪ সালের ৮ই জুন স্টার জলসা চ্যানেলে চলচ্চিত্রের ওয়ার্ল্ড টেলিভিশন প্রিমিয়ার করা হয়।
শ্যুটিং
সম্পাদনাআমার জীবনের সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ‘চাঁদের পাহাড়’। তবে ভয় পাচ্ছি না। ভয় পেলে আর শ্যুটিং করতে হবে না।[৬৯][৭০]
— দেব, চাঁদের পাহাড়ের বিপজ্জনক অংশ শ্যুটিংয়ের অনুভূতি সবার সাথে ভাগ করে নেবার সময় বলেন।
এই ছবিতে বেশকিছু বিপজ্জনক অংশ রয়েছে। উপন্যাসের মতই এখানে তা অপরিবর্তিত রয়েছে। পরিচালক নিজেও কিছু কিছু স্থানে দেবকে নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন।[৭১] পরিচালক মজা করে বলেন এই চলচ্চিত্রে দেবের নায়িকা হল সাপ, হাতি, সিংহ।[৭২] এই চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণের জন্য শেষের স্থানটিই আগে বেছে নেয়া হয়েছিল।[৭৩] দেব এই বিষয়ে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে ওঠে, যে চলচ্চিত্রটি মুক্তির আগের দিন সে আলিপুর চিড়িয়াখানা গিয়ে পুরোনো অনুভূতিকে পুনরায় জাগিয়ে তোলে।[৭৪] এই চলচ্চিত্রের বন্যপ্রাণিদের সাথে করা প্রতিটি দৃশ্যায়ণই এক-একেকটি চ্যালেঞ্জ ছিল, দেব বলেন।[৭৫] এছাড়াও এই চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ণ অতি সাহসীকতার সাথে সৌমিক হালদার করেছেন। তাই আফ্রিকার প্রতিটি দৃশ্য বাস্তবভাবে ফুটে উঠেছে।[৭৬]
সিনেমায় একটা সিকোয়েন্স থাকবে যেখানে আফ্রিকান সিংহ দেবকে তাড়া করবে। অনেকগুলো সিনে রিস্ক থাকলেও এই সিনটা নিয়েই সব চেয়ে বেশি চিন্তিত সবাই। দেবকেও এই শট নিয়েই বেশি চিন্তিত হতে দেখা গিয়েছে।[৭৩] একটি অ্যানিম্যাল ফার্মে তিন দিনের শ্যুটিং হবে এই সিকোয়েন্সটার। জানা গেল, সিনেমাটোগ্রাফার ও পরিচালক থাকবেন তিন দিক বন্ধ এক দিক খোলা একটি খাঁচার মধ্যে। দেব আর সিংহগুলোর মধ্যে দূরত্ব মাপবে সিংহগুলোর ট্রেনার। খাঁচার ভেতর থেকে সিংহগুলোকে প্রলোভন দেখাতে মাংস ঝুলিয়ে রাখা হবে। পরিচালক অ্যাকশন বলার সঙ্গে সঙ্গে দেবকে ছুটতে হবে। পিছনে ছ’টি আফ্রিকান সিংহ। আর সিংহগুলোকে ৩দিন না খাইয়ে রাখা হবে। কারণ পেট ভরা থাকলে তারা দৌড়ায় না।[৬৯] সিংহের সাথে দুই দিনের শ্যুটিংয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা[১৩]।
ব্ল্যাক মাম্বার সাথে
সম্পাদনাশঙ্করের সঙ্গে আফ্রিকার সব চেয়ে বিষাক্ত সাপ ব্ল্যাক মাম্বার একটি অংশ রয়েছে। ওখানের এলাকাবাসী বলেছে, ব্ল্যাক মাম্বার সাথে শ্যুটিংয়ের সময় ৮০% ক্ষেত্রেই অভিনেতাদের সাপ কামড়ে দেয়। এই সাপের কামড়কে মৃত্যুচুম্বন (The kiss of Death) বলা হয়। দশ মিনিটের মধ্যে কিছু করা না হলে আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যায়। আর এই সাপের বিষ বের করা যায় না। এই শ্যুটিং-এর সময় সব চেয়ে রিস্ক থাকে চিত্রগ্রাহকের। পরিচালক বলেছেন, "চিত্রগ্রাহককেই সব চেয়ে কাছে যেতে হবে সাপটার। সেটাই সব থেকে ভয়ের।" এই ছবির চিত্রগ্রাহক সৌমিক হালদার। তাদের মধ্যে একটি গ্লাস থাকবে। সময়মত সেটিকে ফেলে দেয়া হবে।[৬৯]
এই চলচ্চিত্রের এক পর্যায়ে পাইথনের সাথে দেবকে অভিনয় করতে হয়েছে। পাইথন তার গায়ের উপর চলেছে, চেটেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের সময় কমানোর জন্য দৃশ্যটি চলচ্চিত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।[৭৩] দেব এতে অত্যন্ত দুঃখিত হয়।[৩৭][৭৬]
একটা চেজ সিকোয়েন্স থাকবে ছবিতে আফ্রিকান হাতির সঙ্গে। পরিচালক বলেন, "ওখানকার স্থানীয় লোকজন আমাদের পইপই করে বলেছে সিংহ, ব্ল্যাক মাম্বার থেকেও শ্যুটিংয়ে সব চেয়ে বেশি যে ভয় তা হল হাতির সঙ্গে চেজ সিকোয়েন্সের। হাতির যদি মাথা খারাপ হয় সেদিন তা হলে কেউ বেঁচে ফিরবে না। এবং হাতির চেজ সিকোয়েন্সে শুধু একটি নয়, ছ’টি হাতি ব্যবহার কর হবে। আফ্রিকান হাতির সব চেয়ে প্রিয় হল কমলালেবু। যখন শ্যুটিং হবে তখন দূর থেকে ঝুড়ি ঝুড়ি কমলালেবু আকাশে ছোড়া হবে হাতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। ওই কমলালেবুর লোভেই যখন ওরা ছুটতে শুরু করবে তখন দেবকে ওদের সামনে দৌড়তে হবে।[৬৯] হাতির সাথে শ্যুটিংয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা[১৩]। এক পর্যায়ে হাতিগুলো খুব খেপে যায়। সবাই ধারণা করে হাতিরা এখন ছুটাছুটি শুরু করতে পারে এবং সেক্ষেত্রে পুরো ইউনিটকে হাতি পিষে দিতে পারে। কিন্তু শেষে সেরকম কিছুই হয় না।[৭৭]
দেবকে ঘোড়ায় চড়া শিখতে হয়েছে শুধুমাত্র এই চলচ্চিত্রের জন্য। কিন্তু আফ্রিকায় ঘোড়ায় চড়ার সময় কোন কারণে ঘোড়াটি দেবকে পিঠ থেকে ফেলে দেয়। দেব আহত হলেও দমে যায়না।[৭৭][৭৮]
অন্যান্য বিপদ
সম্পাদনাপাহাড়ের খুব ধারে আমি দাঁড়াচ্ছি, নিচে গভীর খাদ। আমি নিজে দাঁড়ালে ভয় করছে না। অন্য কেউ দাঁড়ালে মনে হয়েছে, ও যদি পড়ে যায়! এই ব্যাপারটা বারবার হয়েছে। রক ক্লাইম্বিং, হাতি, সিংহ, ব্ল্যাক ম্যাম্বার সাথে সিকোয়েন্সগুলো দেব নিজে করছিল। আমি খুবই ভয় পেয়ে যাচ্ছিলাম। একটা সময় খুব রেগেও গিয়েছিলাম। বেশ মন কষাকষিও হয়ে গিয়েছিল। আমি ওকে বলতাম, রিয়েলিজমের জন্য নিজে স্টান্ট করাটা ভাল। তোমার পিছনে হাতি দৌড়চ্ছে। আমরা তোমাকে বাহবা দিচ্ছি। কিন্তু যদি তোমার কিছু হয়, তাহলে বাংলার মানুষ আমার পিছনে ছুটবে। আর বাহবা যে পাব না সেটা বলাই বাহুল্য![৭১]
— কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, চাঁদের পাহাড়ের বিপজ্জনক অংশের শ্যুটিংয়ে দেবের বিষয়ে কথা বলার সময়।
এছাড়া এই ছবিতে পাহাড়ে চড়তে হবে। কোনক্রমে পড়ে গেলে ৫০০ফুট নিচে পড়তে হবে। আর নায়ক দেব কোন বডি ডাবল ব্যবহার করেন না।[৬৯][৭৯]
স্থান
সম্পাদনাএই ছবির জন্য বেশকিছু আকর্ষণীয় স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকাসহ উগান্ডায়ও এর শ্যুটিং করা হয়েছে। এছাড়া কালাহারি মরুভূমিতে শ্যুটিং করা হয়েছে। এখানে দিনের বেলা তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রী সেলসিয়াস হয়। এছাড়া হোটেল থেকে এই জায়গার দূরত্ব প্রায় ৪০০ কিলোমিটার।[৮০] তাই সবাইকেই তাড়াতাড়ি শ্যুটিং করতে হয়। এছাড়া রাতে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে তাপমাত্রা নেমে আসে। তাই তাড়াতাড়ি হোটেলে ফিরতেও হয়।[৪০]
উপজাতি
সম্পাদনাআফ্রিকার বিভিন্ন উপজাতি এই চলচ্চিত্রে দেখানো হবে, যেমনঃ সোয়াহিলী, সোমালি, মাসাই, মেটাবেলিস ও জুলু সম্প্রদায়।[৪০]
কম্পিউটার সংযোজন
সম্পাদনাএই ছবিতে বেশকিছু অংশ কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হবে। বিশেষত আগ্নেয়গিরি ও বুনিপ স্থানে অনেক সংযোজনার প্রয়োজন হবে।[৪০][৮১]
সংগীত
সম্পাদনা"কমলেশ্বর আমাকে এই ছবির সংগীত করতে বলে। আমি সত্যিই এখনও জানি না সমস্যাটি কি কারণ সে এখন দক্ষিণ আফ্রিকায়। এ তো নয় যে ঋতুপর্ণ ঘোষের সত্যান্বেষী শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের সাথে আমার প্রথম কাজ। আমি তাদের বহুদিন ধরে চিনি। অদ্ভুতভাবে, পরিচালক বা প্রযোজক কেউই আমাকে কোন ব্যাখ্যা দেয়নি। ব্যাকগ্রাউন্ড সংগীতের কাজ শেষ এবং আমি কিছু গানও ভেবেছি।"[৮২]
—দেবজ্যোতি মিশ্র, চাঁদের পাহাড়-এর সংগীত পরিচালক হিসেবে বাতিল করা সম্পর্কে একটি সাক্ষাৎকারে।
কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এর আগের দুইটি চলচ্চিত্র উড়ো চিঠি এবং মেঘে ঢাকা তারাতে সংগীত পরিচালক ছিলেন দেবজ্যোতি মিশ্র। চাঁদের পাহাড়-এও তিনিই সংগীত পরিচালক ছিলেন। কিন্তু চলচ্চিত্র মুক্তির মাত্র কয়েকদিন আগে তার স্থানে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তকে দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহ্তা বলেন, তার (দেবজ্যোতি) করা সংগীত এই চলচ্চিত্রে ঠিক মানাচ্ছিল না। তাই এই পরিবর্তন।[৮২]
ইন্দ্রদীপ বলেন, তাকে প্রযোজক জিজ্ঞেস করে চলচ্চিত্রের জন্য গান তৈরী করতে তার কতদিন সময় লাগবে। তিনি উত্তর করেন মাত্র ৪ দিন। তখনই তাকে এই চলচ্চিত্রের সংগীত করার দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, মিশর রহস্য একটি বড় চলচ্চিত্র ছিল, কিন্তু চাঁদের পাহাড় আরো বড় চলচ্চিত্র। তাই এটি একটি বিশাল দায়িত্ব।[৮২]
গান
সম্পাদনাগানের শিরোনাম | কণ্ঠশিল্পী | লেখক | সুর |
---|---|---|---|
চাঁদের পাহাড় | অরিজিৎ সিং | শ্রীজাত | ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত |
পুরস্কার ও মনোনয়ন
সম্পাদনাপুরস্কারের নাম | বিভাগ | ফলাফল |
---|---|---|
টলিউড ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড | সেরা চলচ্চিত্র | বিজয়ী |
টলিউড ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড | সমালোচকদের দৃষ্টিতে সেরা চলচ্চিত্র | বিজয়ী |
টলিউড ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড | সেরা অভিনেতা: দেব | বিজয়ী |
স্টার জলসা এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাওয়ার্ড | বর্ষসেরা চলচ্চিত্র | বিজয়ী |
স্টার জলসা এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাওয়ার্ড | সেরা অভিনেতা: দেব | বিজয়ী |
জি বাংলা গৌরব সম্মান | বছরের বিগেস্ট সুপারহিট চলচ্চিত্র | বিজয়ী |
জি বাংলা গৌরব সম্মান | বছরের বিগেস্ট সুপারহিট চলচ্চিত্র | বিজয়ী |
জি বাংলা গৌরব সম্মান | সেরা পরিচালক: কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় | বিজয়ী |
কলাকার অ্যাওয়ার্ড | সেরা অভিনেতা: দেব | বিজয়ী |
কলাকার অ্যাওয়ার্ড | সেরা চলচ্চিত্র | বিজয়ী |
কলাকার অ্যাওয়ার্ড | সেরা পরিচালক: কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় | বিজয়ী |
ভিভেল ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ইস্ট | সেরা চলচ্চিত্র | বিজয়ী |
ভিভেল ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ইস্ট | সেরা পরিচালক: কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় | মনোনীত |
ভিভেল ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ইস্ট | সেরা অভিনেতা | মনোনীত |
গ্লোবাল ইস্ট ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ইস্ট | পিপলস্ চয়েস: দেব | বিজয়ী |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Press Trust of India (ডিসেম্বর ১৭, ২০১৪)। "Tollywood delivers only five-six hits a year"। The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "বক্স অফিসের নতুন চুড়োয় চাঁদের পাহাড়"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। line feed character in
|শিরোনাম=
at position 17 (সাহায্য) - ↑ "Out of Africa"। Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "The Ultimate Result"। The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "চাঁদের পাহাড় দেখতে দর্শকের উপচে পড়া ভিড়"। Anandabazar Patrika। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Premiere of Chander Pahar At Inox"। Ebela। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Premiere of Chander Pahar"। Telegraph India। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Dev takes Bengal to the Mountain of the Moon"। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Mamata Banerjee spent Friday evening with Shankar in Africa"। Telegraph India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে"। Ebela। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Kamleshwar Mukherjee biography"। Wikipedia। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "পনেরো কোটির পাহাড়"। সংগ্রহের তারিখ 08 December 2013। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Dev in an interview"। Uttarbangasambad। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Dev in Sangbad Pratidin"। Sangbad Pratidin। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "চাঁদের পাহাড়ের জন্য এক পয়সাও নেইনি"। My Anandabazar। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "দেব যখন মানব"। Aajkal। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "From Dev to the snake, everybody is a hero!"। The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "'Chander Pahar' completes 100 days"। Business Standard। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "Chander Pahar story"। Wikipedia। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Another milestone in Bengali Cinema.. Listed in NEW YORK TIMES"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "বহু রেকর্ড চূর্ণ করে ১৫ কোটির পাহাড় জয়ের পথে শঙ্কর"। Anandabazar Patrika। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "জোড়া সেলিব্রেশন"। Ebela। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "২০১৩-এর মাইলফলক"। Sangbad Pratidin। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "Chander Pahar Scales New Height"। The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Movie Review"। The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar revives thrills of watching Pi"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "বাংলা ছবির শোলে"। Anandabazar Patirika। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "এবেলা রিভিউঃ চাঁদের পাহাড়"। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "এবেলা রিভিউঃ ধুম থ্রি"। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "বাংলা ছবির প্রথম সফল চন্দ্রাভিযান, সন্ধান নতুন জ্ঞানের"। Zee News India। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Review: Chander pahar"। Telegraph India। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Tollywood Dhamaka gives 8/10"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বাংলা ছবির শৃঙ্গজয়"। Ei Samay। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "বিস্মিত হলাম, বিস্ময় ভাঙল চাঁদের পাহাড় দেখে" (পিডিএফ)। Uttarbanga Sambad। ২০১৪-০১-২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "স্বপ্নের অভিযান"। Aajkal। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "Over The Moon"। ৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar creates a buzz"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "অর্ধেক ভরা অর্ধেক খালি"। Ebela। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Chander Pahar crew at South Africa"। The Times of India। ১৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "পর্দা ভেদ করে ছুটে আসছিল সিংহ"। Anandabazar Patrika। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ ক খ "Kamaleshwar Mukherjee on the filming of Chander Pahar"। The Times of India। ৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Dev on Chander Pahar"। ২৯ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Kamaleshwar Mukherjee at South Africa"। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Team Chander Pahar reveals it's first look on children's day"। Tollywood Dhamaka। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Exclusive first look and trailer launch of film Chander Pahar held on Children's Day"। Washington Bangla Radio on Internet। ২৯ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Venkatesh Films November 15, 2013 status update"। Twitter। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Dev November 18, 2013 status update"। Twitter। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 01"। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 02"। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 03"। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 04"। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 05"। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 06"। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 07"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 08"। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 09"। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 10"। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 11"। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 12"। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 13"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 14"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 15"। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 16"। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Chander Pahar Diaries: Episode 17"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ ক খ "Costilest Tolly Films"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Movie adaptation of Chander Pahar"। Wikipedia। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "শঙ্করের সফর জারি"। Ebela। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Chander Pahar facts"। Anandabazar Patrika। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Dev lives a dream role"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "দেবকে নিয়ে ভয় পেয়েছি"। ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Daredevil Dev"। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ ক খ গ "দেবের রোজনামচা তৃতীয় পর্ব"। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Deve visited Alipoor Zoo to relive some of those feelings"। Telegraph India। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Dev: "I always wanted Shankar to win, not Dev!""। Tollywood Dhamaka। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "Call of the WILD"। Screen India। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 20-26 December 2013। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ "ফুরা ইয়া খুজাকিউয়া"। Anandabazar Patrika। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "A Not-so-sweet surprise"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "দেব নয় দেখুন শঙ্করকে"। ২০ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "দেবের রোজনামচা প্রথম পর্ব"। ৯ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে accessdate=06 December 2013 মূল
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩। - ↑ "COMPUTER GRAPHICS MADE AFRICA COME ALIVE"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ ক খ গ "Indraadip replaces Debojyoti as composer days before release of Chander Pahar"। The Times of India। ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৩।