চাঁদিপুর, ওড়িশা
চাঁদিপুর (ইংরেজি: Chandipur) ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বালেশ্বর জেলার একটি সমুদ্রতট। এটি বঙ্গোপসাগরের কাছে ও বালেশ্বর রেল স্টেশন থেকে প্রায় ১৬ কিমি দূরে অবস্থিত। এই সমুদ্রতটের একটি বিশেষত্ব হল ভাটার টানে জল প্রায় ৫ কিমি দূরে চলে যায়। এই বিশেষ বৈশিষ্ট সেখানকার জীববৈচিত্র্যকে সাহায্য করে। মির্জাপুরের কাছে সমুদ্রতটে এক বিপন্ন প্রজাতি লিমুলাসও দেখতে পাওয়া যায়।
চাঁদিপুর Chandipur | |
---|---|
শহর | |
ভারতের ওড়িশায় অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২১°২৮′ উত্তর ৮৭°০১′ পূর্ব / ২১.৪৭° উত্তর ৮৭.০২° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | ওড়িশা |
জেলা | বালেশ্বর |
আয়তন | |
• মোট | ০.২০৭৭৩ বর্গকিমি (০.০৮০২১ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৩ মিটার (১০ ফুট) |
ভাষাগুলো | |
• সরকারি | ওড়িয়া |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | ওডি |
ওয়েবসাইট | odisha |
ভৌগোলিক পরিবেশ
সম্পাদনাচাঁদিপুরের অক্ষাংশ ২১.৪৭° উত্তর ও দ্রাঘিমা ৮৭.০২° পূর্ব। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৩মি (৯.৮ ফুট)। শহরটি ৫১.৩৩০ একর (০.২০৭৭৩বর্গকিমি) ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট।[১]
জলবায়ু
সম্পাদনাগ্রীষ্মকালে এখানকার তাপমাত্রা ২৫°-৪০° সেন্টিগ্রেড, কিন্তু শীতকালে এখানকার তাপমাত্রা ১৭°-২৬° সেন্টিগ্রেড। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময় এখানে পর্যটনের জন্য আদর্শ।
সেনাবাহিনীদের জন্য
সম্পাদনাচাঁদিপুর সমুদ্রতট ভারতীয় সেনাবাহিনীদের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা আব্দুল কালাম দ্বীপে অবস্থিত। ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ-এর অনেকগুলি ক্ষেপণাস্ত্র (আকাশ, সূর্য[২], অগ্নি, পৃথ্বী ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র) চাঁদিপুর সমুদ্রতট থেকে উৎক্ষেপিত হয়েছে। সম্প্রতি বরাক-৮ নামে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপিত হয়েছে।[৩] চাঁদিপুর একটি অনন্য সৈকত কারণ এটি এখন যেখানে আছে প্রবল জোয়ারের কারণে পরে সেখানে নাও থাকতে পারে।
পরিবহন
সম্পাদনাচাঁদিপুরের নিকটবর্তী রেল স্টেশন হল বালেশ্বর। উড়িষ্যার বিভিন্ন শহর ও কলকাতার সাথে রেলপথ বা সড়কপথে বালেশ্বর সুসংযুক্ত। বালেশ্বর শহর থেকে বাস, অটো কিংবা ট্যাক্সি করে চাঁদিপুর যাওয়া যায়। জাতীয় সড়কপথ-১৬ এর মাধ্যমেও চাঁদিপুর পৌঁছানো যায়। চাঁদিপুর সমুদ্রতট বলেশ্বর রেল স্টেশন থেকে ১৬ কিমি দূরে অবস্থিত।[৪] এছাড়া স্থানীয় গাইড ও ট্রেকার সার্ভিসের মাধ্যমে পঞ্চলিঙ্গেশ্বর, দেবকুন্ড জলপ্রপাত, নীলগিরি জগন্নাথ মন্দির, ইমামী জগন্নাথ মন্দির, খিরাচরা গোপীনাথ মন্দির, বুড়িবালাম নদীর মোহনা, চাঁদিপুর সমুদ্রতট ও অন্যান্য জায়গায় যাওয়া যায়।
খাদ্য ও পর্যটন
সম্পাদনাবিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক খাবার এখানকার হোটেল ও রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায়। মৎস জাতীয় খাবার এখানে খুবই সস্তা। এখানে ওড়িয়া ও বাঙালি খাবারও পাওয়া যায়। সমুদ্রসৈকত সুন্দর হওয়ার কারণে এখানে পর্যটনকেন্দ্র ও একাধিক হোটেল গড়ে উঠেছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Subalaya Town Area Chart (archive)
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "Barak-8 missile test-fired from Chandipur"। ২৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১২ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৭।