ঘূর্ণিঝড় কোমেন
ঘূর্ণিঝড় কোমেন এমন একটি অস্বাভাবিক গ্রীষ্মপ্রধান ঝড় যেটি বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে উৎপন্ন হয়েছিল এবং বঙ্গোপসাগরের উত্তরে প্রবাহিত হওয়ার সময় একই দেশকে আঘাত করে চলে গিয়েছিল। ২০১৫ সালে এই তান্ডবের সময় কোমেন মায়ানমার, বাংলাদেশ ও ভারতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিল। মূলত জুলাই মাসের দিকে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের চক্রাকারে আবর্তনের দরুণ এই ঘূর্ণিঝরের সূত্রপাত ঘটে। শেষে কোমেন ঘণ্টায় ৭৫ কি.মি. বেগে বাড়তে বাড়তে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় এবং জুলাইয়ের ৩০ তারিখের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ঢুকে পরে। পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমের দিকে চলে যায় এবং ঝড়টিকে ২রা অগাস্ট ভারতের পূর্ব দিকে শেষ দেখা যায়।
ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি স্কেল) | |
---|---|
ক্রান্তীয় ঝড় (স্যাফির-সিম্পসন মাপনী) | |
গঠন | জুলাই ২৬, ২০১৫ |
বিলুপ্তি | অগাস্ট ২, ২০১৫ |
সর্বোচ্চ গতি | ৩-মিনিট স্থিতি: ৭৫ কিমি/ঘণ্টা (৪৫ mph) ১-মিনিট স্থিতি: ৮৫ কিমি/ঘণ্টা (৫০ mph) |
সর্বনিম্ন চাপ | ৯৮৬ hPa (mbar) |
হতাহত | ১৮৭–২৮০ |
ক্ষয়ক্ষতি | $2 বিলিয়ন (2015 $) |
প্রভাবিত অঞ্চল | মায়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত |
২০১৫ উত্তর ভারতী ঘূর্ণিঝড় সময়কালের অংশ |
কোমেন তার যাত্রাপথে প্রবল বৃষ্টিপাত করার মাধ্যমে অগ্রসর হয়েছিল। বিশেষত মায়ানমারের উত্তর-পশ্চিমের দিকে পালেত্ব নামক জায়গায় যেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এসছিল ৮৪০ মি.মি.। বন্যা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে এই ঝড় চক্রবৃদ্ধি হারে অগ্রসর হতে থাকে এবং শতাব্দির সবচেয়ে খারাপ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে মায়ানমারে এই ঝড় পরিচয় লাভ করে। যেহেতু বন্যার পানি ঘরের ছাদ ছুঁই-ছুঁই অবস্থায় পৌছে গিয়েছিল তাই মায়ানমারের প্রায় ১.৭ মিলিয়ন মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে হয়েছিল। প্রায় ৫,১০,০০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছিল এবং ৬,৬৬৭,২২১ একর (২,৭০,০০০ হেক্টর) ফসলি জমি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় কৃষি-প্রধান অর্থনৈতিক মানুষগুলো তাদের উপার্জনের মূল উৎস হারিয়ে বসেছিল। ঐ ঘূর্ণিঝড়ে ১৩২ জন মানুষ মারা গিয়েছিল যাদের মধ্যে ৩৯ জনই মারা গিয়েছিল সরাসরি কোমেনের আঘাতে। ২০০৮ সালের ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের পর এটি বাংলাদেশে আরেক অন্যতম ভয়াবহ দূর্যোগ ছিল যেখানে বাংলাদেশের সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যকারি সংস্থাগুলোকে আহ্বান করেছিল এই দূর্যোগ মোকাবেলায় সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এই ঝড় বাংলাদেশে ৮৮,৯০০ টি বাড়িঘর এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ফসলি জমিগুলোকে বন্যায় আবৃত করে ফেলেছিল। বাংলাদেশে কোমেনের কারণে প্রায় ৪৫ জন লোকের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে অনেক ঝড় থেকে অতিবাহিত হওয়া অন্যান্য অসুখে মারা পরে। পরবর্তীতে এই ঝড় ভারতের দক্ষিণ-পূর্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে ১০৩ জন মানুষ এবং ৪,৭৬,০৬০ টি বাড়িঘর ধ্বংস করে।
আবহাওয়া ইতিহাস
সম্পাদনাঘূর্ণিঝড় কোমেন সেই বছর বর্ষাকালের জুলাইয়ের ২৫ তারিখে বঙ্গোপসাগরের উত্তরভাগ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণের উপকূলবর্তী অঞ্চলসমূহে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। কম ঘূর্ণন কিন্তু প্রচুর গতিবেগ নিয়ে এই ঝড় খুব দ্রুতই দক্ষিণের দিকে শক্তি সঞ্চার করতে থাকে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ এই ঘূর্ণনকে আবহাওয়ার বিষন্নতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বিশদভাবে আরো উল্লেখ করেছেন যে, এই ঝড় বাংলাদেশ সময় রাত ৩টার দিকে (ইউটিসি) বাংলদেশের দক্ষিণে উপকূলবর্তী অঞ্চলে স্থিরাবস্থায় ছিল। সমুদ্রের পানির তাপমাত্র ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮৮ ফারেনহাইট) হওয়ার সত্ত্বেও, শুধুমাত্র ভূমি গঠন এবং প্রতিকূল ম্যাডেন-জুলিয়ান দোলন এই ঘূর্ণিঝড়কে আরো শক্তিশালী হওয়া থেকে আটকে দেয়।[১] এর পরের দিন অর্থাৎ জুলাই ২৭ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংযুক্ত তুফান সতর্কবার্তা কেন্দ্র (জে.টি.ডব্লিউ.সি) ঘূর্ণিঝড়টির উপর নজরদারি রাখতে শুরু করলো।[২] বর্ষাকালে এই ঘূর্ণিঝড়টির সূত্রপাত হলেও, এটি বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জায়গায় প্রায় দুই দিন স্থির অবস্থায় ছিল। কিন্তু জুলাই মাসের ২৮ তারিখে দিনের শেষভাগ সময়ে আমেরিকার সংযুক্ত তুফান সতর্কবার্তা কেন্দ্র (জে.টি.ডব্লিউ.সি) এই ঘূর্ণিঝড়টির বাড়ন্ত গতিবেগের পূর্বাভাস জানিয়ে দেয়।[৩]
কিন্তু জুলাইয়ের ২৮ তারিখে ঘূর্ণিঝড়টির স্থিরাবস্থায় ঘুরতে থাকে এবং কম গতি নিয়ে তা আস্তে আস্তে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ববর্তী অংশে অগ্রসর হতে থাকে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ এই ঘূর্ণিঝড়কে "বিশেষ" হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড়ের বঙ্গোপসাগরের উপর হয়ে অগ্রসর হওয়ার গতিপথের সন্ধান দেন। স্থানীয় সময় রাত ১২টা নাগাদ (ইউটিসি) ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ ঘূর্ণিঝড়টিকে বিষন্ন থেকে গভীর বিষন্ন ঘূর্নয়ন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন।[১] আর এরই তিন ঘণ্টা পরপরই মার্কিন সংযুক্ত তুফান সতর্কবার্তা কেন্দ্র (জে.টি.ডব্লিউ.সি.) চট্টগ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ১৩৫ কি.মি. দূরে অবস্থিত এই ঘূর্ণিঝড়কে "ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়" হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেন। এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ক্রান্তীয় অঞ্চলের উপরিভাগে অবস্থান করার দরুণ চারপাশের বায়ু শুষ্ক ছিল, অন্যথায় বাকি সবকিছুই অনুকূলেই ছিল।[৪] মায়ানমারের আবহাওয়ার শক্তিশালী চাপ ঘূর্ণিঝড়টিকে জুলাইয়ের ২৯ তারিখের দিন উত্তরের দিকে ঠেলে দিতে সাহায্য করে।[১] সেই দিনে ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণনটি দীর্ঘায়িত ছিল এবং পরিচলন পথ হতে এটি আরো সুস্পষ্ট হয়েছিল কিন্তু অন্যদিকে এই ঘূর্ণিঝড় থেকে সৃষ্ট বজ্রঝড় দক্ষিণের দিকে সর্পিল মেঘের সমন্বয় সৃষ্টি করে। জুলাইয়ের ২৯ তারিখে স্থানীয় সময় সন্ধ্যে ৬ টার দিকে (ইউটিসি) ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ এই ঘূর্ণিঝড়টিকে কোমেন হিসেবে আখ্যায়িত করেন যেটি ছিল উপমহাদেশে ১৯৬৫ থেকে হয়ে আসা চারটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি। সাধারণত সেই এলাকাগুলো, যেখানে নিম্নচাপ গঠনে সময় কম লেগেছিল, সেইসব এলাকা ছিল বঙ্গোপসাগরের উত্তরভাগের অংশ।[১]
জুলাইয়ের ২৯ তারিখে আমেরিকার সংযুক্ত তুফান সতর্কবার্তা কেন্দ্র (জে.টি.ডব্লিউ.সি.) উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ছবি দেখে অনুমান করে যে, ঘণ্টায় ৭৫ কি.মি. বেগে শক্তিশালী বাতাস সহ কোমেন আঘাত হানতে যাচ্ছিলো।[৫] ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় আরো প্রশস্ত ও আরো বেশি গতিবেগ নিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-ভাগে প্রবেশ করে।[৬] এছাড়া উপকূল থেকে পাওয়া রাডার চিত্রাবলী থেকে দেখা যায় ঘূর্ণিঝড়টির মাঝখানে চোখের মতো দেখতে একটি বৈশিষ্ট্য ছিল। জুলাইর ৩০ তারিখের দিকে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ ঘূর্ণিঝড়টির সর্বোচ্চ ৩ মিনিটে ঘণ্টা প্রতি ৭৫ কি.মি. গতিবেগ নির্ণয় করে। সেই দিন স্থানীয় সময় দুপুর দুইটা থেকে তিনটার (ইউটিসি) মাঝামাঝি সময়ে কোমেন চট্টগ্রামের পশ্চিমাংশের তটরেখায় আঘাত হানে[১] আর এই আঘাতের ফলে মার্কিন আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থাটির সাথে যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে।[৭] পরবর্তীতে উত্তরের তিব্বত কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হয়ে কোমেন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে এসে দূর্বল হয়ে যায়। ৩১ তারিখে এই ঘূর্ণিঝড়টি শেষে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যে দূর্বল অবস্থায় প্রবেশ করে এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যে কোমেনের সর্বশেষ দূর্বল অবস্থার গতিপথ খুঁজে পাওয়া যায়।[১]
দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি
সম্পাদনাকোমেনের অস্তিত্বের সময়কালীন, যে দেশগুলো কোমেন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেসব দেশের উপর ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ পূর্বেই সতর্কতা বার্তা জারি করেছিল। ভারতের দক্ষিণ-পূর্ববর্তী অংশে সরকারী সংস্থাগুলো জেলেদের প্রবল বৃষ্টিপাত নিয়ে আগেই সাবধান-বার্তা জানিয়ে দেয়।[১] ব্যাপক বন্যা প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে।[৮] প্রায় ১,৫৩৭ টি আশ্রকেন্দ্র খুলতে হয়, আনুমানিক ২,১৪,৩০৬ জন বাড়িঘর ছেড়ে আসা দূর্যোগকবলিত মানুষদের জন্য।[৯] সাহায্য ও ত্রান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সেই সময় তার লন্ডনে রাষ্ট্রীয় সফর বাতিল করেন।
বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে কক্সবাজার বিভাগের নিচু এলাকায় বসবাসকারি ৩,৩১,১২০ জন মানুষের জন্য ৭৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলেন।[১০]
প্রভাব
সম্পাদনাবেশ অনেক দিন ধরেই কোমেন বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশ এবং উত্তর-পশ্চিমাংশে অবস্থিত দেশসমূহ যেমনঃ মায়ানমার, বাংলাদেশ এবং অন্যদিকে ভারতের পূর্বাংশে দিকে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়। দক্ষিণ-পূর্বাংশে এতো বৃষ্টিপাত হয়েছিল যে, মায়ানমারের পালেত্ব নামক জায়গায় বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ রেকর্ড এসেছিল ৮৪০ মি.মি. (৩৩ ইঞ্চি)।[১] আর এই রেকর্ডগুলো জুলাই এবং অগাস্ট মাস সংরক্ষণ করা হয়।[১১] মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরে কোমেন ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ধরা পরেছিল ঘণ্টায় ১২৪ কি.মি. (ঘণ্টায় ৭৭ মাইল)। পার্শ্ববর্তী রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্বে শহরে বাতাসের গতিবেগ মাপা হয়েছিল ঘণ্টায় ১০৭ কি.মি. (ঘণ্টায় ৬৭ মাইল)। জুলাই মাসের ৩০ তারিখে বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলায় বাতাসের গতিবেগ পরিমাপে আসে ঘণ্টায় ১০০ কি.মি. (ঘণ্টায় ৬৫ মাইল)।[১] আর অন্যদিকে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাতের গড় রেকর্ড ধরা পরে ৮০০ মি.মি (৩১ ইঞ্চি) এবং দশ দিন ধরে কক্সবাজারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আসে ঘণ্টায় ১০০০ কি.মি. (৩৯ ইঞ্চি)।[১২] অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় কোমেন দ্বীপাঞ্চলের পশ্চিমাভিমুখে গমন করার পর ভারতের পশ্চিম বঙ্গের হরিণখোলায় বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ গড় রেকর্ড দেখা যায় ৫২০ মি.মি (২০ইঞ্চি)।[১]
বাংলাদেশে কোমেন যখন প্রথম প্রবেশ করে তখন ঝড়টি ১ থেকে ২ মি. (৩.৩ থেকে ৬.৬ ফিট) ঢেউ সহকারে চট্টগ্রামে আঘাত হানে।[১][১৩] কক্সবাজারে নৌকায় থাকা দুই জন মানুষ ঝড়ের সময় উত্তাল সমুদ্রেই মারা যায়। ঝড়ের দরুণ ভূমি-ধ্বসের কারণে পাঁচজন লোক কক্সবাজারে মৃত্যুবরণ করে এবং শহরাঞ্চলে ২ জন লোক মারা যায় বন্যার কারণে।[১২] পুরো বাংলাদেশ জুড়ে শ'খানেক জেলেদের কুঁড়েঘরসহ ঝড়টি প্রায় ৮৮, ৯০০ টি বাড়িঘর ধ্বংস করে।[১] বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ঝড়ের সময় বাড়ির উপর গাছ পরে গিয়ে দূর্ঘটনায় ৩ জন লোক মারা যায়।[১৪] এক সপ্তাহ ধরে তান্ডব চালানোর সময় কোমেন বাংলাদেশের ১,৪৫,০০০ হেক্টর (৩,৬০,০০০ একর) কৃষিজমি বন্যার পানিতে পুরোপুরি নিমজ্জিত করে ফেলে।[১৫] কোমেন ঝড়ের কারণে বাংলাদেশে ৪৫ জন লোক নিহত হয়;উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref>
ট্যাগে অবৈধ প্যারামিটার আর এই ৪৫ জনের অনেকেই ঝড় এবং বন্যার ফলে পানিবাহিত রোগেও মারা গিয়েছিল।[১৩] প্রায় ২,২০,০০০ বাড়িঘর ঝড় পরবর্তী সময়ে মেরামতের প্রয়োজন পরে এবং সাথে খাদ্য সংকটের সমস্যাও পূরণ করতে হয়।[১৬]
পূর্বের বন্যাগুলো থেকে কোমেন ভারতে চক্রবৃদ্ধি হারে প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল; প্রবল বৃষ্টিপাতের দরুণ ভারতে নদী এবং ডোবাগুলো জলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।[১৭] ভারতের পূর্বাংশে মণিপুর রাজ্যে এই ঝড়ের ফলে ভূমিস্থলনে ২০ জন লোক মারা যায়।[১২] ভারতের পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যে প্রবেশ করলে কোমেন মিলিয়নের বেশি মানুষের বাড়িঘর ক্ষতি করার পাশাপাশি ১০,০৮৮ লোকের প্রাণহানি ঘটায়। কোমেন ভারতে ৩,৬৮,২৩৮ টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত এবং ১,০৭,৮০৮ টি বাড়িঘর ধ্বংস করে ফেলে। পুরো পশ্চিম বঙ্গ জুড়ে কোমেনের কারণে ৮৩ জন লোক মারা যায়[১] যাদের অনেকেরই বজ্রপাতে এবং সাপের কামড়ের কারণে প্রাণহানী ঘটে।[১২] বন্যার পানি এতোটাই বেশি ছিল যে, তা পার্শ্ববর্তী ওড়িশা রাজ্যের ৬০ নং জাতীয় সড়ক-কে ঢেকে ফেলে। ভারত সরকার বন্যাকবলিত মানুষদের উদ্ধারের জন্য ১২১ টি উদ্ধাকারী নৌকা ব্যবহার করে।[১৮]
মায়ানমার
সম্পাদনামায়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাংশের জায়গাগুলো জুড়ে কোমেনের দরুণ প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ বর্ষাকালীন বন্যা সৃষ্টি করে।[১৯] ১৫০ মি.মি (৫.৯ ইঞ্চি) সম্পন্ন মূষলধারার বৃষ্টি মায়ানমারে ভূমিস্থলন এবং বন্যার মতো অবস্থার সৃষ্টি করে। মায়ানমারের চীন রাজ্য এবং তনঝাং রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় কোমেন তিনটি ভূমিস্থলন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে; যার মধ্যে একটি ছিল ৩৯৫ মিলিয়ন টন বিশিষ্ট একটি পর্বত ঢাল যা ঘণ্টায় ১৮০ কি.মি. বেগে (ঘণ্টাপ্রতি ১১২ মাইল) বেগে ভূমিতে ধ্বসে পরেছিল। এছাড়া ভূমিস্থলনটির দৈর্ঘ্য ছিল ৫.৯ কি.মি. (৩.৬ মি.) যা ছিল দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিস্থলন যা ভূমিকম্পেও দেখা যায় না এবং এর গতিবেগও ছিল স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি।[২০] ২০০৮ সালের ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের পর কোমেনই ছিল মায়ানমারে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়[২১] এবং মায়ানমার সরকারের পরিসংখ্যান রিপোর্ট অনুযায়ী কোমেনের ফলে সৃষ্ট বন্যা ছিল শতাব্দির সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মধ্যে একটি।[২২] যার কারণে ১.৭ মিলিয়ন মানুষ গৃহহীন হয়ে পরেছিল।[২৩]
এই ঝড়ের ফলে যে বন্যা হয় তাতে বন্যার পানির উচ্চতা উচু-দালান অব্দি পৌছে যায়;[২৪] যার কারণে অনেক মানুষকে তাদের আবাসস্থল ছাড়তে হয় এবং যাতায়াতের জন্য নৌকা এবং হেলিকপ্টারের সাহায্য নিতে হয়।[২৪][২৫] কোমেনের ফলে সৃষ্ট বন্যার কারণে মায়ানমারে অনেক বাড়িঘর এবং রাস্তাঘাট বিপর্যস্ত হয়।[২৬] বন্যার পানি বিশেষ করে নদী-বিধৌত অঞ্চলগুলোতে ফসলী জমিতে কাঁদা এবং পলি দ্বারা পরিপূর্ণ করে ফেলেছিল। জুলাই মাসের শেষের দিকে এই বন্যা মায়ানমারের ১,৪০০,০০০ একর (৫,৭০,০০০ হেক্টর) কৃষিজমি বন্যার পানিতে ঢেকে দেয়; farmlands were inundated যার মধ্যে ৬,৬৭,২২১ একর (২,৭০,০০০ হেক্টর) ছিল ফসলী জমি যেগুলোর বেশির ভাগই ছিল ধানের ফসলী জমি।[২৭] খামারে প্রায় ২,৩৬,০০০ মুরগী মারা যায়। কিন্তু এতোসব ক্ষতি হলেও প্রাণহানি তুলনামূলকভাবে কম ঘটে।[১১] কোমেন ঝড়ে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্বে-তে ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় যখন সেখানে ঝড়ের সময় প্রায় ১,০০,০০০ লোক অবস্থান করছিল।[২৮][২৯] অন্যান্য এলাকাগুলোতে কিছু আশ্রয়স্থল টিকে থাকলেও শৌচাগার ও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থিত বাচ্চাদের পড়াশোনার জায়গা ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।[৩০] মায়ানমারের কালাই শহর বন্যার কারণে এতোটাই বিচ্চিন্ন হয়ে গিয়েছিল যে, সেখানে আকাশপথ ছাড়া যাতায়াতের আর কোন পথ অবশিষ্ট ছিল না।[২৮]
কোমেনের ফলে বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ হয়েছিল মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে[৩১] যেখানে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে দূষিত হয়ে গিয়েছিল[৩২] এবং উক্ত রাজ্যের শহরগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।[৩৩] অগাস্টের ৪ তারিখে বন্যার পানি অপসৃত হতে শুরু করে;[৩১] যার ফলে সেপ্টেম্বরের দিকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থিত শরণার্থীরা তাদের ঘরে ফিরে যেতে সক্ষম হয়।[২৩][৩৪] তীব্র বাতাসের গতিবেগের দরুণ মায়ানমারের চীন রাজ্যের লাইলেনপি নামক জায়গায় একটি স্কুল ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নির্মিত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[৩৫] এই ঝড়ের ফলে মায়ানমারের শুধু চারটি বিদ্যালয়ই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।[১] প্রবল ঝড় এবং ভয়াবহ বন্যা ৪,৯০,০০০ টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২১,০০০ টি ঘড়বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ফেলে[৩৬] এবং এই ঝড়ের ফলে ১৩২ জন মানুষের প্রাণহানীও ঘটে;[৩৭] যার মধ্যে ৫৫ জনই ছিল শুধু রাখাইন রাজ্যের।[৩৮] সরাসরি শুধু ৩৯ জনই কোমেনের ফলশ্রুতিতে মৃত্যবরণ করে।[৩৯]
ফলাফল
সম্পাদনাজুলাই মাসের ৩১ তারিখ মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সিন রাখাইন এবং চিন রাজ্যের সাগাইংগ এবং মাগবে জেলাকে দূর্যোগপ্রবল এলাকা হিসেবে ঘোষণা দেন।[২৮] অগাস্টের ৪ তারিখে মায়ানমারের সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।[৪০] আহ্বানের সাড়া হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ৩ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার[৪১] এবং মার্কিন সংস্থা ইউ. এস. এইড ৬,০০,০০০ মার্কিন ডলার প্রেরণ করেন।[৪২] পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ ৮,০০,০০০ মার্কিন ডলার মূল্যের ঔষুধ, পানি এবং অন্যান্য সাহায্য সরবরাহ করে। এছাড়াও বৃটেন ৭,৭৫,০০০ মার্কিন ডলার, পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ড ১,৪২,২০২ মার্কিন ডলার, সিঙ্গাপুরের রেডক্রস ১,০০,০০০ মার্কিন ডলার এবং চীন ৩,০০,০০০ মার্কিন ডলারের সাহায্য প্রেরণ করে।[১৩]
ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের সময় দূর্যোগ মোকাবেলায় মায়ানমার সরকার ব্যর্থ হওয়ায় বাকি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তাই দ্রুতই মায়ানমারের সাহায্য প্রার্থনায় সাড়া দেয়।[২৪] ত্রাণ-সরবরাহকারি হেলিকপ্টার পানিবন্দি রাখাইন রাজ্যের এলাকাগুলোতে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের উপর থেকে ত্রাণ-পণ্যসমূহ ফেলে তাদের সাহায্য করে।[৩১] মায়ানমারের সরকার কৃষকদের জন্য প্রায় ১.২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেন যাতে করে তারা ধান উৎপাদনে তাদের যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কাটিয়ে উঠে যেন আবার উৎপাদন কাজ শুরু করতে পারে।[৪৩] এছাড়া সেই বছর ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের প্রায় অর্ধেক পুনরায় রোপন করা হয়।[২৩] বন্যা কবলিত সমস্যায় জর্জরিত হলেও, মায়ানমারের অধিকাংশ জমিই কিন্তু পরবর্তী উৎপাদনের জন্য উর্বর থেকে যায়।[১১] মায়ানমারের স্থানীয় ব্যবসায় সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় সরবরাহকারী পণ্য কেনার জন্য ২.০৬ বিলিয়ন বার্মিজ টাকা[৪৪] এবং বার্মার খ্যাতনামা ব্যবসায়ী অং কো উইন ৩.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান হিসেবে প্রদান করেন।[৪৫] এছাড়াও মায়ানমারের রেড ক্রস সংস্থা যেটি বন্যাকালীন সময়ে দূর্যোগ-পীড়িত মানুষদের সাহায্য করে আসছিল, অতিরিক্ত আরো সরবরাহ ও সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে বন্যাকবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।[৩৪] আন্তর্জাতিক রেড ক্রস সংস্থা চাল এবং কম্বল বিতরণ করার মাধ্যমে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।[৩০] এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকরা ঘুমানোর জন্য মাদুড় ও চাটাই, মশারী, ঔষুধ এবং জলরোধী সাহায্যসামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেছিল।[৪৬] জাতিসংঘের অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ঘূর্ণিঝড় কোমেনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পুনঃনির্মাণে সহায়তা প্রদান করে।[২৫] পুরো একমাসে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সংস্থা ৪,৫০,০০০ মানুষদের জন্য অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা করে।[৪৭] বন্যার এক সপ্তাহের মধ্যেই খাদ্যদ্রব্য এবং তেলের ক্রয়মূল্য অ-স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়[৪৮] এবং সেই বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে চালের দাম রেকর্ড সংখ্যক হারে বৃদ্ধি পায়। চালের এই দাম ধীরে ধীরে কমে পরবর্তী সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান উৎপাতিত হলে।[১১] অন্যদিকে বেকার কৃষকদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য বিল এবং মেলিন্ডা গেইটস সংস্থা কৃষকদের বাঁধ নির্মাণ এবং পরিষ্কার পানি ব্যবস্থার প্রত্যার্পণ করার জন্য একটি আর্থিক অনুদান কর্মসূচি গ্রহণ করেন।[৪৯] জাতিসংঘ, বিশ্ব ব্যাংক এবং মায়ানমার সরকারের নিজস্ব পরিসংখ্যানে এই ফলাফল পাওয়া যায় যে, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর ও অপর্যাপ্ত খাদ্যের কারণে এই ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মায়ানমারের নারী এবং শিশুরা।[৫০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ Cyclonic Storm (CS) Komen over the Bay of Bengal (26 July-02 August 2015) (PDF) (প্রতিবেদন)। India Meteorological Department। আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬।
- ↑ "Significant Tropical Weather Advisory"। Joint Typhoon Warning Center। জুলাই ২৭, ২০১৫। ২৭ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬।
- ↑ "Tropical Cyclone Formation Alert"। Joint Typhoon Warning Center। জুলাই ২৮, ২০১৫। ৩০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬।
- ↑ "Tropical Cyclone 02B (Two) Warning NR 001"। Joint Typhoon Warning Center। জুলাই ২৯, ২০১৫। ৩০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬।
- ↑ "Tropical Cyclone 02B (Two) Warning NR 004"। Joint Typhoon Warning Center। জুলাই ২৯, ২০১৫। ৩০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬।
- ↑ "Tropical Cyclone 02B (Two) Warning NR 005"। Joint Typhoon Warning Center। জুলাই ৩০, ২০১৫। ৩০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬।
- ↑ "Tropical Cyclone 02B (Two) Warning NR 006"। Joint Typhoon Warning Center। জুলাই ৩০, ২০১৫। ৩০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬।
- ↑ "Myanmar admits 'weak' flood response as disaster spreads"। ReliefWeb। Agence France-Presse। আগস্ট ৪, ২০১৫। এপ্রিল ৫, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০১৬।
- ↑ "Heavy rains trigger floods in Gujarat, Rajasthan, West Bengal, Odisha; 81 dead"। Press Trust of India। আগস্ট ২, ২০১৫। মার্চ ১৪, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৫, ২০১৬।
- ↑ DMIC Situation Report on Cyclonic Storm (Komen) situation, Friday, July 31, 2015। Government of Bangladesh (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। জুলাই ৩১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ FAO/WFP Crop and Food Security Assessment Mission to Myanmar (PDF)। Food and Agriculture Organization (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। মার্চ ১৬, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ Nick Wiltgen (আগস্ট ৫, ২০১৫)। "Floods, Landslides in Myanmar, India and Other Asian Countries Leave At Least 493 Dead"। Weather.com। এপ্রিল ১৯, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৫, ২০১৬।
- ↑ ক খ গ Love thy neighbor: Bangladesh donates US$800,000 for flood effort। Mizzima News (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৬।
- ↑ "Thousands evacuated as cyclone set to hit Bangladesh"। ReliefWeb। Agence France-Presse। জুলাই ৩০, ২০১৫। এপ্রিল ৫, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬।
- ↑ Bangladesh and Myanmar/Burma - Floods (ECHO, Government of Bangladesh, Government of Myanmar) (ECHO Daily Flash of 7 August 2015) (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। European Commission Humanitarian Aid Office। আগস্ট ৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৬।
- ↑ Asia and the Pacific: Weekly Regional Humanitarian Snapshot (18-24 August 2015)। United Nations Office for the Coordination of Humanitarian Affairs (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ২৯, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২১, ২০১৬।
- ↑ "At least 180 dead, a million displaced in India floods"। ReliefWeb। Agence France-Presse। আগস্ট ৪, ২০১৫। এপ্রিল ৫, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬।
- ↑ Tim Marcin (আগস্ট ২, ২০১৫)। "Floods In India Leave At Least 81 Dead Following Cyclone Komen: Report"। International Business Times। এপ্রিল ৪, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৩, ২০১৬।
- ↑ Cyclone Komen weakens, heavy rainfall continues across Myanmar। New Light of Myanmar (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। জুলাই ৩১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬।
- ↑ Adam Voiland (নভেম্বর ৮, ২০১৫)। "Satellite Spots Massive Tonzang Landslide"। NASA Earth Observatory। মে ৩১, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।
- ↑ Myanmar floods: Families lose everything। CARE (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ১৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৬।
- ↑ Caritas provides aid to victims of worst floods in Myanmar। Caritas (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৬।
- ↑ ক খ গ Revised Flood Response Plan For Myanmar (August to December 2015) (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। United Nations Office for the Coordination of Humanitarian Affairs। নভেম্বর ৪, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।
- ↑ ক খ গ "Hundreds dead, millions displaced as monsoon rains heap misery on Asia"। ReliefWeb। Agence France-Presse। আগস্ট ৩, ২০১৫। এপ্রিল ২৩, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬।
- ↑ ক খ UNHCR assists flood victims in Myanmar's Rakhine and Kachin states। United Nations High Commission for Refugees (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৪, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০১৬।
- ↑ Humanitarian Implementation Plan (HIP) South East Asia and the Pacific (ECHO/-XA/BUD/2015/91000) Last update: 06/08/2015 Version: 2। European Commission Humanitarian Aid Office (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৬।
- ↑ Asia Pacific Food Price and Policy Monitor, August 2015 - Issue 24। Food and Agriculture Organization (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৩১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২১, ২০১৬।
- ↑ ক খ গ OCHA Flash Update No 1: Myanmar Floods Emergency, 01 August 2015। United Nations Office for the Coordination of Humanitarian Affairs (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬।
- ↑ UNHCR assists flood victims in Myanmar's Rakhine and Kachin states। United Nations High Commissioner for Refugees (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৪, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬।
- ↑ ক খ Myanmar floods: ICRC joins relief efforts in Rakhine। International Committee of the Red Cross (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৫, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০১৬।
- ↑ ক খ গ Flood-hit Burma appeals for international aid। Democratic Voice of Burma (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৪, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬।
- ↑ Kelly MacNamara (আগস্ট ৬, ২০১৫)। "Myanmar villagers fight floods with just sand bags and hope"। ReliefWeb। Agence France-Presse। জুন ৩, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০১৬।
- ↑ IHH sends emergency aid to flood stricken Arakan (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। Internationale Humanitäre Hilfsorganisation e.V.। আগস্ট ১০, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২১, ২০১৬।
- ↑ ক খ Red Cross responds to Myanmar flood emergency (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। Australian Red Cross। আগস্ট ৪, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০১৬।
- ↑ Flooding Crisis in Burma (Myanmar): An urgent appeal from Dr Sasa। HART (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৬, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৬।
- ↑ Myanmar/Burma - Floods - ECHO Daily Map 11/9/2015 (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। European Commission Humanitarian Aid Office। সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২১, ২০১৬।
- ↑ Update on Myanmar Flood Response - 15 November 2015 (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। International Committee of the Red Cross। নভেম্বর ১৫, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।
- ↑ At Least 55 Dead From Floods in Western Myanmar (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। Radio Free Asia। আগস্ট ৬, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৬।
- ↑ Disasters in Asia and the Pacific: 2015 Year in Review (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। United Nations Economic and Social Commission for Asia and the Pacific। মার্চ ১০, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।
- ↑ Flood-hit Burma appeals for international aid। Democratic Voice of Burma (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৪, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০১৬।
- ↑ Additional humanitarian assistance to Myanmar। Government of Australia (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৬।
- ↑ USAID announces humanitarian assistance for flood-affected people in Burma। United States Agency for International Development (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৬, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৬।
- ↑ "Farm debt rises as Myanmar floodwaters recede"। ReliefWeb। IRIN। আগস্ট ১৯, ২০১৫। এপ্রিল ২৫, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২১, ২০১৬।
- ↑ President pledges livelihood assistance for Rakhine flood victims। New Light of Myanmar (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৬, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৬।
- ↑ Aung Ko Win’s KBZ Charity Tops $3.6m in Flood Aid। Irrawaddy (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ৯, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৬।
- ↑ Myanmar: Recovery work begins to support flood-affected communities। International Committee of the Red Cross (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০১৬।
- ↑ What's Happening in Myanmar One Month Onward। World Food Programme (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২১, ২০১৬।
- ↑ Prices of commodities shoot up in Maungdaw। Kaladan Press Network (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। আগস্ট ১২, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১৬।
- ↑ LIFT, and the Bill and Melinda Gates Foundation alleviate livelihood loss in Rakhine State। International Rescue Committee (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। অক্টোবর ১৩, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২১, ২০১৬।
- ↑ Post-disaster assessment in Myanmar highlights disproportionate impact on women। UN Women (প্রতিবেদন)। ReliefWeb। ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২২, ২০১৬।