গাড়োয়ালী ভাষা
গাড়োয়ালি ভাষা (गढ़वळि) ইন্দো-আর্য ভাষা পরিবারের অন্তর্গত একটি উত্তরা ইন্দো-আর্য বা পাহাড়ী ভাষাগুলির একটি৷ পঁচিশ লক্ষ জনের ভাষা এই গাড়োয়ালির সাথে পার্শ্ববর্তী কুমায়ূনী ভাষার প্রভূত সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়৷ ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের এই ভাষা দুটি একত্রে কেন্দ্রীয় পাহাড়ী ভাষাগোষ্ঠী গঠন করে৷
গাড়োয়ালী | |
---|---|
गढ़वळि (গঢ়বল়ি) | |
দেশোদ্ভব | ভারত |
অঞ্চল | গাড়োয়াল, উত্তরাখণ্ড |
জাতি | গাড়োয়ালি |
মাতৃভাষী | ২৫ লক্ষ (২০১১)[১] কিছু সংখ্যক গাড়োয়ালী ভাষী হিন্দির সঙ্গে একত্রিত |
ইন্দো-ইউরোপীয়
| |
দেবনাগরী লিপিটাকরী (ঐতিহাসিক)[২] | |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | gbm |
গ্লোটোলগ | garh1243 [৩] |
গাড়োয়ালির একাধিক স্থানীয় উপভাষা রয়েছে৷ এই ভাষার পূর্বদিকে অবস্থিত উপভাষাগুলি কুমায়ূনী সদৃশ হলেও পশ্চিমের উপভাষাগুলিতে হিমাচলি ভাষাগোষ্ঠীর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়৷
গাড়োয়ালী বিপন্ন ভাষার তালিকার অন্তর্ভুক্ত না হলেও ইউনেস্কোর আটলাস অফ দ্য ওয়ার্ল্ড'স ল্যাঙ্গুয়েজ ইন ডেঞ্জার-এর তথ্য অনুসারে এটি একটি অসুরক্ষিত ভাষা, কঠোরভাবে সংরক্ষণের প্রয়োজন।[৪] তবে এথ্নোলগ এটিকে সতেজ ভাষা বলে উল্লেখ করে থাকে৷
ভৌগোলিক বিস্তার
সম্পাদনাগাড়োয়ালী প্রাথমিকভাবে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গাড়োয়াল বিভাগের ৭ টি জেলার মধ্যে ৬ টি জেলার কথ্য ভাষা। এই জেলাগুলি হল তেহরি গাড়ওয়াল, পৌড়ী গাড়ওয়াল, উত্তরকাশী, চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ এবং দেরাদুন জেলা।[৫] এছাড়া হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ রাজ্যগুলিতে অবস্থিত পরিযায়ীরা গাড়োয়ালী ভাষাতে কথা বলেন।
বিভিন্ন সূত্র বিভিন্ন রকম ফলাফল প্রকাশ করায় মোট গাড়োয়ালী ভাষীর সংখ্যা আন্দাজ করা যথেষ্ট কঠিন। তবে ২০০১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে ভারতের মোট গাড়োয়ালী ভাষীর সংখ্যা ছিল ২২,৬৭,৩১৪ জন, যেখানে এথনোলগের ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে দেওয়া সংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেশি, ২৯,২০,০০০ জন।[৬] ২০১১ তে ভারতের জনগণনা অনুসারে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়, ২৪,৮২,০৮৯ জন।[৭]
নামকরণ
সম্পাদনাকত্যুরীরা খ্রিস্টীয় একাদশ শতাব্দীর অবধি উত্তরাখণ্ডে নিজেদের শাসনাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। সাম্রাজ্যের পতনের পরে স্থানীয় ভাবে ছোট ছোট একাধিক ক্ষেত্রে তাদের অস্তিত্ব বজায় ছিল। মোট ৫২ টি পৃথক জমিদারিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে গাড়োয়াল। ছোট ছোট রাজত্বের মাঝেই চাঁদপুর গড়ীর পারমার রাজা নিজের প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হন।[৮] কনক পাল ছিলেন এই রাজবংশের পূর্বপুরুষ। তার উত্তরসূরি রাজা অজয় পাল এই ছোট ছোট রাজ্যকে একত্রিত করে নিজের রাজত্বের অংশীভূত করেছিলেন।[৮] রাজা অজয় পালের এই সফল অভিযানের পর, একাধিক গড়ের রাজাদের অধীশ্বর হওয়ার দরুন রাজ্যটির নাম হয় গাড়োয়াল, বা গড়-বাল। খুব সম্ভবত এই ছোট ছোট রাজ্যগুলির সংযুক্ত করার ফলে তিনি গড়োয়ালা (অর্থাৎ দুর্গের অধিপতি) নামে পরিচিত ছিলেন। সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে তার রাজ্য গাড়োয়াল নামে পরিচিত হয়।[৮]
ইতিহাস
সম্পাদনাপৌরণিক সময়কালে বহু প্রাচীন পুস্তক প্রণয়নকারী মুনি ঋষি ও পন্ডিতদের নিকট গাড়োয়াল হিমালয় ছিল অত্যন্ত প্রিয় স্থান। গাড়োয়ালের ঐতিহাসিক নাম ছিল উত্তরখণ্ড। বিভিন্ন গুহালেখ এবং শিলালেখ থেকে বোঝা যায় যে এটি কোন একসময় মৌর্য সাম্রাজ্যের অংশ ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
গাড়োয়াল সম্পর্কিত প্রথম বিবরণ এবং গরিমার কথা রয়েছে স্কন্দপুরাণ এবং মহাভারতের বাণপর্বে। স্কন্দপুরাণ এই অঞ্চলের সীমানা এবং পুণ্যত্ব বিচার করে।[৮] খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে হিউয়েন সাঙের ভ্রমণ বৃত্তান্তে গাড়োয়ালের উল্লেখ পাওয়া যায়। আদি শঙ্করাচার্যের সঙ্গে এই অঞ্চলের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে তিনি গাড়োয়াল ভ্রমণে আসেন এবং তুষারাবৃত এই পর্বতময় অঞ্চলে তিনি যোশীমঠ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও হিন্দু ধর্মের অন্যতম পবিত্র দুটি স্থান কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথের সংস্কার করান।
খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে রাজা অজয় পাল গাড়োয়াল অঞ্চলের ৫২ টি গড় রাজধানী যুক্ত পৃথক জমিদারিকে একত্রিত করে একটি রাজ্য পত্তন ঘটালে গাড়োয়ালের একত্রিত ইতিহাস পর্ব শুরু হয়। পরবর্তী ৩০০ বছর ধরে গাড়োয়াল একটিই রাজ্য ছিল এবং এটি রাজধানী ছিল অলকানন্দা নদীর বামতীরে অবস্থিত শ্রীনগরে। তিনি এবং তাঁর উত্তরসূরীরা ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে গাড়োয়াল এবং পার্শ্ববর্তী তেহরি গাড়োয়ালে রাজত্ব করতেন। পরে গোর্খারা এই অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে যথেচ্ছাচার শুরু করলে গাড়োয়ালী রাজারা পাহাড় ছেড়ে তরাই অঞ্চলের পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। পরবর্তী ১২ বছর ধরে গোর্খারা এই দেশ শাসন করেন এবং ব্রিটিশদের ধারাবাহিক অভিযানে ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে গোর্খা যুদ্ধের দ্বারা এই শাসনব্যবস্থার পরিসমাপ্তি ঘটে। অভিযান শেষে গাড়োয়াল এবং কুমায়ূন উভয়ই ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত দুটি ব্রিটিশ জেলায় পরিণত হয় এবং তেহরির জমিদারিত্ব তার পূর্বতন শাসকের উত্তরাধিকারীরা ফেরত পান।
ব্রিটিশ গাড়োয়াল জেলা ছিল পূর্বতন কুমায়ূন বিভাগের অন্তর্গত, যা ছিল যুক্তপ্রদেশের একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এটি ৫,৬২৯ মা২ (১৪,৫৮০ কিমি২) অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছিল। বৃটিশ-ভারতীয় সংযুক্তির পর গাড়োয়াল উৎপাদন গত ভাবে পূর্বের তুলনায় অধিক উন্নত হয়ে ওঠে। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে এর জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪৩৯,৯০০ জন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর (৩৯তম গাড়োয়াল রাইফেলস) দুজন ব্যাটেলিয়ানকে এই জেলায় নিযুক্ত থাকতো, যারা জেলার লান্সডাউনে অবস্থিত সেনানিবাস টিরুপুর তদারকি করতো। এখান থেকে খাদ্যশস্য এবং মোটা কাপড় রপ্তানী করা হতো এবং আমদানি করা হতো লবণ বোরাক্স উল এবং বিভিন্ন পশুজাত সম্পদ। জেলার প্রশাসনিক দপ্তর ছিল পৌড়ী শহরে, যদিও শ্রীনগর ছিল এই জেলার বৃহত্তম শহর। কোটদ্বারের মতো এখানেও অযোধ্যা-রোহিলখন্ড রেললাইনের নাজিবাবাদ রেলওয়ে স্টেশন থেকে নিকটে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার ছিল।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে গোর্খারা গাড়োয়াল আক্রমণ করলে গাড়োয়ালের শাসক হৃষীকেশ, হরিদ্বার এবং দেরাদুনের মত সমতল অঞ্চলগুলিতে পলায়ন করেন। খরবুরার যুদ্ধে প্রদ্যুম্ন শাহ নিহত হন। এরপর গাড়োয়ালের শাসকরা রাজ্য পুনরুদ্ধারে ব্রিটিশদের সাহায্য প্রার্থী হন। ৬০% রাজ্য সম্পত্তি ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেওয়ার শর্তে ব্রিটিশরা গাড়োয়াল থেকে গোর্খা বিতাড়নে তাদের সাহায্য করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাজা নরেন্দ্র শাহ ব্রিটিশদের নিজের সৈন্য এবং বিমানপোত সহ আকাশযান দান করে তাদের সাহায্য করেন। তার এই সাহায্যের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে মহারাজা উপাধি দেয় এবং তাকে অর্ডার অব দ্যা স্টার অব ইন্ডিয়াতে নাইট কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ করেন। সর্বসম্মতিতে তিনি স্যার মহারাজা নরেন্দ্র শাহ নাইট কমান্ডার স্টেট অফব ইন্ডিয়া নামে সম্মানিত হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
উপভাষা
সম্পাদনা- শ্রীনগরিয়া – এটিই পণ্ডিতবর্গ দ্বারা মান্যতা প্রাপ্ত প্রমিত গাড়োয়ালি৷ এটি গাড়োয়ালের রাজার ভাষাও বলা যেতে পারে৷[৯]
- চাঁদপুরিয়া - চামোলি জেলার দুধতোলি পর্বতশ্রেণী৷
- তেহরিয়ালি - পুরাতন তেহরি শহর৷
- গাংপাড়িয়া – প্রতাপনগর ও ভাগীরথীর উচ্চ উপত্যকা
- বধাণী - চামোলি জেলার গোয়ালদাম৷
- দসৌলিয়া - গোপেশ্বর অঞ্চল৷
- লোহব্যা - চামোলির লোহবা অঞ্চল৷
- নাগপুরিয়া - রুদ্রপ্রয়াগ জেলা৷
- রাঠি - পৌড়ী গাড়োয়ালের রাঠ অঞ্চল৷
- সলাণী - পৌড়ীর তল্ল, মল্ল ও গঙ্গ সলাণ অঞ্চল৷
- রংওয়াল্টি - উত্তরকাশী জেলার রংওয়াই ও যমুনা উপত্যকা৷
- বঙ্গাণী - উত্তরকাশীর বঙ্গাণ অঞ্চল৷
- পর্বতী – উত্তরকাশী জেলার মোরী ব্লক৷
- জৌনপুরী - তেহরি গাড়োয়ালের জৌনপুর অঞ্চল৷
- গঙ্গাড়ী - উত্তরকাশীর ভাগীরথী উপত্যকা৷
- চৌঁদকোটি - পৌড়ী গাড়োয়ালের একেশ্বর ব্লক ও তৎ সংলগ্ন৷
কিছু বিশেষ বৈশিষ্টের জন্য বঙ্গাণী উপভাষা ভাষাবিদদের কাছে গূরুত্বপূর্ণ৷[১০][১১][১২][১৩][১৪]
জেলা অনুযায়ী পরিসংখ্যান
সম্পাদনা- রুদ্রপ্রয়াগ জেলা - ২,২৮,৯১৬ (৯৪.৪৮%)
- তেহরি গাড়োয়াল জেলা - ৫,৬০,০২০ (৯০.৪৮%)
- চামোলি জেলা - ৩,৫০,৬৬৭ (৮৯.৫৫%)
- পৌড়ী গাড়োয়াল জেলা - ৫,৭২,৭৯২ (৮৩.৩৪%)
- উত্তরকাশী জেলা - ২,৬৬,৬২১ (৮০.৭৭%)
- দেরাদুন জেলা - ২,৮৫,৫৬৩ (১৬.৮৩%)
- আলমোড়া জেলা - ১৭,৯৩৯ (২.৮৮%)
- নৈনিতাল জেলা - ১৫,৩৪৮ (১.৬১%)
- হরিদ্বার জেলা - ১৪,৬৩৮ (০.৭৭%)
- বাগেশ্বর জেলা - ১,৮৬৭ (০.৭২%)
ব্যাকরণ
সম্পাদনাইন্দো আর্য ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে গাড়োয়ালীর সাথে অন্যান্য ইন্দো আর্য ভাষা যথা হিন্দি, কুমায়ূনী, কাশ্মীরি, পশ্চিমা পাহাড়ী এবং নেপালি ভাষার মিল পাওয়া যায়৷ কেন্দ্রীয় পাহাড়ী কুমায়ূনী ভাষা ও পূর্ব পাহাড়ী (মতান্তরে কেন্দ্রীয়) ডোটেলী ভাষা ও পশ্চিমা পাহাড়ী জৌনসারি ভাষার সাথে বিশেষ সাদৃশ্য পাওয়া যায়৷
বাহ্লিক ভাষী খশ জাতি ছিলো পার্বত্য অঞ্চলে আগত প্রথম জাতি৷ পরবর্তীকালে তাদের ভাষা অবলুপ্ত হয়ে পড়লেও তারই প্রভাবে পাহাড়ী ভাষাগুলির ব্যাকরণ মোটামুটিভাবে একই৷ গাড়োয়ালী ভাষায় ক্রিয়াপদের স্বতন্ত্র রূপ একটি মূল ক্রিয়ার থেকে বিবর্তিত হয়ে আসে যা কাশ্মীরি ভাষার ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করা যায়।
ক্রিয়া বিভক্তি
সম্পাদনা"লটোণ" ও "দেখ" ক্রিয়ার কাল, বচন ও পুরুষভেদে ক্রিয়ার ধাতুরূপ বদল৷
বর্তমান কাল
সম্পাদনা- একবচন
গাড়োয়ালী | প্রতিবর্ণী | বাংলা |
---|---|---|
मि दॆखि | মি দেখি | আমি দেখি |
ति दॆखि | তি দেখি | তুমি দেখো |
तॆ दॆखि | তে দেখি | এটা দেখে (পুং ও স্ত্রী) |
तॊ दॆखि | তো দেখি | সে দেখে (পুং ও স্ত্রী) |
- বহুবচন
গাড়োয়ালী | প্রতিবর্ণী | বাংলা |
---|---|---|
हमल द्याख | হমল দ্যাখ | আমরা দেখি |
तिल द्याख/तुम्ल द्याख | তিল দ্যাখ/তুম্ল দ্যাখ | তোমরা দেখো |
हूँल द्याख | হূঁল দ্যাখ | তারা দেখে |
অতীত কাল
সম্পাদনা- একবচন
গাড়োয়ালী | প্রতিবর্ণী | বাংলা |
---|---|---|
मि दॆखि | মি দেখি | আমি দেখেছিলাম |
ति दॆखि | তি দেখি | তুমি দেখেছিলে |
तॆ दॆखि | তে দেখি | এটা দেখেছিলো (পুং ও স্ত্রী) |
ऎ दॆखि | এ দেখি | এইটা দেখেছিলো |
तॊ दॆखि | তো দেখি | তারা দেখেছিলো (পুং ও স্ত্রী) |
ऒ दॆखि | ও দেখি | ওটা দেখেছিলো |
- বহুবচন
গাড়োয়ালী | প্রতিবর্ণী | বাংলা |
---|---|---|
आमील लटोलि | আমীল লটোলি | আমরা লিখেছিলাম |
तीमील लटोलि | তীমীল লটোলি | তোমরা লিখেছিলে |
तौंल लटोलि | তৌঁল লটোলি | তারা লিখেছিলো |
ভবিষ্যত কাল
সম্পাদনা- একবচন
গাড়োয়ালী | প্রতিবর্ণী | বাংলা |
---|---|---|
मी लटोएंछु | মী লটোএঁছু | আমি দেখবো |
तु लटोएंछै | তু লটোএঁছৈ | তুমি দেখবে |
सु लटोएंछन् | সু লটোএঁছন্ | সে দেখবে |
- বহুবচন
গাড়োয়ালী | প্রতিবর্ণী | বাংলা |
---|---|---|
आमी लटोएंछौं | আমী লটোএঁছৌঁ | আমরা দেখবো |
तीमी लटोएंछौं | তীমী লটোএঁছৌঁ | তোমরা দেখবে |
तौ लटोएंछन् | তৌ লটোএঁছন্ | তারা দেখবে |
সরকারী পদমর্যাদা
সম্পাদনাভারতের মর্যাদাপ্রাপ্ত ভাষাগুলির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে কুমায়ূনী ও গাড়োয়ালী ভাষাকে ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিলভুক্ত করার জন্য বহু দিন দাবী প্রকাশ করা হচ্ছে৷ ২০১০ খ্রিস্টাব্দে একটি বেসরকারী সদস্য বিল উপস্থাপন করা হয় লোকসভায় গাড়োয়ালী ও কুমায়ূনী ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার কথা আলোচনার জন্য রাজ্য লোকসভায় সোচ্চার হওয়ার জন্য৷[১৫][১৬]
জনজাতির কথ্য ভাষা সংরক্ষণ ও জন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ডিসেম্বর মাসে উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকার গাড়োয়াল বিভাগে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা ক্ষেত্রে গাড়োয়ালী ভাষার বই প্রকাশিত করেন৷[১৭] গাড়োয়ালী বিশ্ববিদ্যালয়টি রয়েছে দেরাদুন শহরে৷
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ টেমপ্লেট:E21
- ↑ "https://m.hindustantimes.com/punjab/ancient-delight-heritage-enthusiasts-develop-fonts-for-fading-takri-script/story-2wyd1I4EMraq3C1NNSeeaP.html"
- ↑ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Garhwali"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- ↑ "UNESCO Interactive Atlas of the World's Languages in Danger"। UNESCO। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ Claus-Peter Zoller (মার্চ ১৯৯৭)। "Garhwali. A language of India"। Ethnologue। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১০।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;:3
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Census of Languages 2011" (পিডিএফ)।
- ↑ ক খ গ ঘ Rawat, Ajay S. (২০ নভেম্বর ২০০২)। Garhwal Himalayas: A Study in Historical Perspective। Indus Publishing। আইএসবিএন 9788173871368। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০২০ – Google Books-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Garhwali"। Ethnologue।
- ↑ "Religion and Global empire"। The Newsletter Issue 54। International Institute for Asian Studies (IIAS)। ১৯ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১০।
- ↑ "The van Driem Enigma Or: In search of instant facts"। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১০।
- ↑ "?"। ২৮ মে ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Hans Henrich Hock & Elena Bashir, 2016, The Languages and Linguistics of South Asia: A Comprehensive Guide, Berlin/Boston, Walter de Gruyter GmbH & Co KG, p. 9n.
- ↑ Koenraad Elst, 2007, Asterisk in Bhāropīyasthān: Minor Writings on the Aryan Invasion Debate, Delhi, Voice of India, p. 31.
- ↑ "Members want inclusion of Kumaoni, Garhwali in 8th schedule"। ২০১২-০৩-২৭। ২০১২-০৩-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১১।
- ↑ Saxena, Shivani (২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Postcards demand official language status for Kumaoni, Garhwali"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১২।
- ↑ "CM releases Kumaoni books for school students - Times of India"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১১।