গাইবান্ধা-১

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের একটি নির্বাচনী এলাকা

গাইবান্ধা-১ হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি গাইবান্ধা জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ২৯নং আসন এবং এর বর্তমান সাংসদ হলেন আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার

গাইবান্ধা-১
জাতীয় সংসদ-এর
নির্বাচনী এলাকা
জেলাগাইবান্ধা জেলা
বিভাগরংপুর বিভাগ
মোট ভোটার
  • ৩,৯৩,০৪৬ (ডিসেম্বর ২০২৩)[]
  • পুরুষ ভোটার: ১,৯৩,৯৫২
  • নারী ভোটার: ১,৯৯,০৯৩
  • হিজড়া ভোটার: ১
বর্তমান নির্বাচনী এলাকা
সৃষ্ট১৯৮৪

সীমানা

সম্পাদনা

গাইবান্ধা-১ আসনটি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত।[][]

ইতিহাস

সম্পাদনা

গাইবান্ধা-১ আসনটি ১৯৮৪ সালে গঠিত হয়, যখন বৃহত্তর রংপুর জেলাকে ভেঙে পাঁচটি জেলায় (নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম) ভাগ করা হয়েছিল।

৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ আসনের ১০৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫৪ কেন্দ্রে সহিংসতার কারণে নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছিল। পরবর্তীতে ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সালে এ কেন্দ্রসমুহে পুনরায় ভোটগ্রহণ করে।[]

নির্বাচিত সাংসদ

সম্পাদনা
নির্বাচন সাংসদ রাজনৈতিক দল
১৯৮৬ হাফিজুর রহমান প্রামাণিক জাতীয় পার্টি[]
১৯৮৮
১৯৯১
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ শূন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
জুন ১৯৯৬ ওয়াহিদুজ্জামান সরকার জাতীয় পার্টি (এরশাদ)
২০০১ আবদুল আজিজ মিয়া জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ
২০০৮ আব্দুল কাদের খান জাতীয় পার্টি
২০১৪ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন[] বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২০১৭ উপ-নির্বাচন গোলাম মোস্তফা আহমেদ
২০১৮ উপ-নির্বাচন শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় পার্টি (এরশাদ)
২০১৮
২০২৪ আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার স্বতন্ত্র

নির্বাচনী ফলাফল

সম্পাদনা

২০১০-এর দশকে

সম্পাদনা

গোলাম মোস্তফা আহমেদ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর মার্চ ২০১৮ সালে পুনরায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বিজয়ী হন।

গাইবান্ধা-১ উপনির্বাচন মার্চ ২০১৮[]
দল প্রার্থী ভোট % ±%
জাতীয় পার্টি শামীম হায়দার পাটোয়ারী ৭৮,৯২৬ ৫৩.০
আওয়ামী লীগ আফরোজা বারী ৬৮,৯১৩ ৪৬.৩
গণ ফ্রন্ট শরিফুল ইসলাম ৬৭৬ ০.৫
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি জিয়া জামান খান ৩৯৯ ০.৩
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১০,০১৩ ৬.৭
ভোটার উপস্থিতি ১,৪৮,৯১৪ ৪৪.০
আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় পার্টি অর্জন করে

গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে নিহত হলে আসনটি শুন্য হয়। ২০১৭ সালের ২২ মার্চ উপনির্বাচনে গোলাম মোস্তফা আহমেদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনে মোস্তফা ৯০ হাজার ১৭১ ভোট এবং জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ৬০ হাজার ১০০ ভোট পেয়েছে। এছাড়াও জাতীয় পার্টি (মঞ্জু)র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান সহ আরও চারজন প্রার্থী ছিল।

সাধারণ নির্বাচন ২০১৪: গাইবান্ধা-১[][]
দল প্রার্থী ভোট % ±%
আওয়ামী লীগ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ১,১৮,১৫২ ৮৮.৬ N/A
জাতীয় পার্টি আব্দুল কাদের খান ১৩,০৪৪ ৯.৮ -৫৮.৬
জাতীয় পার্টি মোছাম্মত রেজিয়া বেগম ১,০২৩ ০.৮ N/A
স্বতন্ত্র সোহেল রানা সোনা ৬৫১ ০.৫ N/A
স্বতন্ত্র সৈয়দা খুরশীদ জাহান ৪৮৪ ০.৪ N/A
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১,০৫,১০৮ ৭৮.৮ +৪১.২
ভোটার উপস্থিতি ১,৩৩,৩৫৪ ৪৪.০ −৪৩.৩
জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগ অর্জন করে

২০০০-এর দশকে

সম্পাদনা
সাধারণ নির্বাচন ২০০৮: গাইবান্ধা-১[১০]
দল প্রার্থী ভোট % ±%
জাতীয় পার্টি আব্দুল কাদের খান ১,৬০,০০৮ ৬৮.৪ N/A
জামায়াতে ইসলামী আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ৭২,০৯৩ ৩০.৮ -১০.১
জাসদ (রব) বিরেন চন্দ্র শীল ১,৪১৬ ০.৬ N/A
কেএসজেএল আব্দুল মজিদ ৩৬৯ ০.২ +০.১
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৮৭,৯১৫ ৩৭.৬ +২৭.৬
ভোটার উপস্থিতি ২,৩৩,৮৮৬ ৮৭.৩ +১৬.৪
জামায়াতে ইসলামী থেকে জাতীয় পার্টি অর্জন করে
সাধারণ নির্বাচন ২০০১: গাইবান্ধা-১[১১]
দল প্রার্থী ভোট % ±%
জামায়াতে ইসলামী আব্দুল আজিজ ৭৫,৪৭৮ ৪০.৯ +১১.৫
ইসলামী জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান সরকার ৫৭,০৪৮ ৩০.৯ N/A
আওয়ামী লীগ সৈয়দ আবুল হোসেন (খাজা) ৪৬,০৮৯ ২৫.০ +৩.১
জাতীয় পার্টি হাফিজুর রহমান প্রামাণিক ৩,৩২৩ ১.৮ প্র/ন
জাসদ মোঃ আহসান হাবিব মাসুদ ৭৯৯ ০.৪ প্র/ন
কমিউনিস্ট পার্টি বীরেন সরকার ৬১০ ০.৩ -০.১
ওয়ার্কার্স পার্টি সাদেকুল ইসলাম দুলাল ৩৬৫ ০.২ ০.০
বিকেএ মোঃ হাফিজুর রহমান সরদার ২১৯ ০.১ ০.০
কেএসজেএল আব্দুল মজিদ ১৬৯ ০.১ প্র/ন
স্বতন্ত্র মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন খান ১৩০ ০.১ -০.৩
গণতন্ত্রী পার্টি এবিএম শরীয়তুল্লাহ ৮২ ০.০ প্র/ন
স্বতন্ত্র মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ২৩ ০.০ প্র/ন
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১৮,৪৩০ ১০.০ −৪.৮
ভোটার উপস্থিতি ১,৮৪,৩৩৫ ৭০.৯ +৩.৫
জাতীয় পার্টি থেকে জামায়াতে ইসলামী অর্জন করে

১৯৯০-এর দশকে

সম্পাদনা
সাধারণ নির্বাচন, জুন ১৯৯৬: গাইবান্ধা-১[১১]
দল প্রার্থী ভোট % ±%
জাতীয় পার্টি ওয়াহেদুজ্জামান সরকার ৫৭,৩১৮ ৪৪.২ +১৬.৭
জামায়াতে ইসলামী আব্দুল আজিজ ৩৮,১৪৫ ২৯.৪ +৭.৭
আওয়ামী লীগ মোসলেম আলী মিয়া ২৮,৩৭৪ ২১.৯ +৩.১
বিএনপি জাকারিয়া হোসেন খন্দকার ২,৯১৪ ২.২ -২.২
ইসলামী ঐক্য জোট কাজী মোসলেম আলী ৭০০ ০.৫ -২.১
স্বতন্ত্র মোসাদ্দেক হোসেন খান ৫৪৩ ০.৪ -২.৪
কমিউনিস্ট পার্টি নুর ই আলম মানিক ৫০৭ ০.৪ N/A
গণফোরাম আবুল কাশেম ৪৬০ ০.৪ N/A
জাকের পার্টি আব্দুল আওয়াল মিয়া ২৮৬ ০.২ -০.৫
ওয়ার্কার্স পার্টি সাদেকুল ইসলাম দুলাল ২০৮ ০.২ -০.৪
বিকেএ হাফিজুর রহমান ১০৯ ০.১ N/A
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১৯,১৭৩ ১৪.৮ +৯.০
ভোটার উপস্থিতি ১,২৯,৫৬৪ ৬৭.৪ +২১.১
জাতীয় পার্টি নির্বাচনী এলাকা ধরে রাখে
সাধারণ নির্বাচন ১৯৯১: গাইবান্ধা-১[১১]
দল প্রার্থী ভোট % ±%
জাতীয় পার্টি হাফিজুর রহমান প্রামাণিক ২৮,৭৭৬ ২৭.৫
জামায়াতে ইসলামী আব্দুল আজিজ ২২,৭৩২ ২১.৭
আওয়ামী লীগ গোলাম মোস্তফা আহমেদ ১৯,৬৬০ ১৮.৮
জাতীয় জনতা পার্টি ও গণতান্ত্রিক ঐক্য জোট সৈয়দ আবুল হোসেন খাজা ১০,১২৮ ৯.৭
স্বতন্ত্র আব্দুস সাত্তার সরকার ৫,৪৬৬ ৫.২
বিএনপি জাহাঙ্গীর আলম ৪,৬১৬ ৪.৪
বাংলাদেশ জনতা পার্টি আব্দুল হাই মন্ডল ৪,৪৩৯ ৪.২
স্বতন্ত্র মোসাদ্দেক হোসেন খান ২,৯৬৭ ২.৮
ইসলামী ঐক্য জোট কাজী মোসলেম আলী ২,৭১৪ ২.৬
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (কাদের) মশিহর রহমান ১,৬২৫ ১.৬
জাকের পার্টি এমএ আওয়াল ৭২৭ ০.৭
ওয়ার্কার্স পার্টি সাদেকুল ইসলাম দুলাল ৬২৭ ০.৬
স্বতন্ত্র আজগার আলী খান ২৫০ ০.২
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৬,০৪৪ ৫.৮
ভোটার উপস্থিতি ১,০৪,৭২৭ ৪৬.৩
জাতীয় পার্টি নির্বাচনী এলাকা ধরে রাখে

আরও দেখুন

সম্পাদনা
  1. "গাইবান্ধা-১ কেন্দ্র সংক্রান্ত গেজেট" (পিডিএফ)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  2. "জাতীয় সংসদীয় আসনপূর্ণবিন্যাস (২০১৮) গেজেট" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ৩০ এপ্রিল ২০১৮। ৭ মে ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৮ 
  3. "জাতীয় সংসদীয় আসনবিন্যাস (২০১৩) গেজেট" (পিডিএফ)। নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ। ২৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৫ 
  4. "৭ আসনে ভোট শুরু ৮টায়"বাংলানিউজ২৪। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-১৬ 
  5. "List of 3rd Parliament Members" (পিডিএফ)Bangladesh Parliament। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪ 
  6. "নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। ২০১৯-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  7. "By election: AL wins in Nasirnagar, JP in Sundarganj"RTV। ১৩ মার্চ ২০১৮। ১৭ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৮ 
  8. "Gaibandha-1"Bangladesh Election Result 2014। Dhaka Tribune। ১৭ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  9. "Electoral Area Result Statistics: Gaibandha-1"AmarMP। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৮ 
  10. "Nomination submission List"Bangladesh Election Commission। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  11. "Parliament Election Result of 1991,1996,2001 Bangladesh Election Information and Statistics"Vote Monitor Networks। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "1988results" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

|}