ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর বাংলাদেশের নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীন এই প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি একাধিকবার জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সেরা ফলাফলের কৃতিত্ব ধারণ করে।
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর | |
---|---|
অবস্থান | |
, ৫৩১০ | |
তথ্য | |
বিদ্যালয়ের ধরন | বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
নীতিবাক্য | শেখার জন্য এসো, সেবার জন্য যাও |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৯ |
অবস্থা | সক্রিয় |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর |
বিদ্যালয় জেলা | নীলফামারী |
সেশন | জানুয়ারি- ডিসেম্বর |
বিদ্যালয় কোড | ১২৫২৪৮ |
ইআইআইএন | ১২৫২৪৮ |
অধ্যক্ষ | লে.কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন,পিএসসি,সিগস |
শিক্ষকমণ্ডলী | ১০০+ |
শ্রেণি | নার্সারী - দ্বাদশ |
লিঙ্গ | ছেলে, মেয়ে |
বয়সসীমা | ০৬-১৮ |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ২৫০০ জন |
ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
সময়সূচির ধরন | মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
সময়সূচি | সকাল ৮ঃ০০ মিনিট - বিকাল ২ঃ১৫ মিনিট |
বিদ্যালয়ের কার্যসময় | ৬ ঘণ্টা |
শ্রেণিকক্ষ | ১২০+ টি |
ক্যাম্পাসসমূহ | ১টি |
ক্যাম্পাসের ধরন | উপশহর |
রং | নেভি ব্লু এবং সাদা |
ক্রীড়া | ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল |
ডাকনাম | CPSCS |
যোগাযোগ | ০৫৫২৬-৭২৩১৯,০১৭২০৪৩৭৫৮৬ (সিভিল); ৯৬৭-৩১৭০ (মিলিটারি) |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনাবিবর্তনের ইতিহাসে উন্নয়ন আধুনিক যুগের এক অন্যতম শব্দবন্ধ। নগরায়ন ও শিল্পায়নের বহুল বিস্তারে সর্বত্র আজ উন্নয়নের ছোঁয়া। এরই ধারাবাহিকতায় চলে এসেছে উত্তর জনপদের একটি ঐতিহ্যবাহী শহর সৈয়দপুর,যার সাথে জড়িয়ে আছে সেনানিবাস,রেলওয়ে কারখানা,বিসিক শিল্পনগরী,উত্তরা ইপিজেড। কিন্তু শিক্ষাদীক্ষায় পশ্চাৎপদতার কারণে জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ছিলো পিছিয়ে। ফলে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আধুনিক ও উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার উদ্যোগ গৃৃৃহীত হয়,যার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন স্টেশন কমান্ডার কর্ণেল এস. এম সামসুজ্জামান। ১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল বুধবার তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল এইচ এম এরশাদ প্রতিষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন করেন। ১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জায়গায় নতুন করে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। উন্নয়নের এই ধারায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক সংখ্যা ১৩৪ জন এবং শিক্ষার্থী প্রায় ৪২০০ জন। প্রতিষ্ঠানটিতে কলেজ শাখার যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৪ সালে এবং ইংরেজি ভার্সন স্কুল কলেজের যাত্রা শুরু হয় যথাাক্রমে ১৯৯৮ ও ২০১৭ সালে। ভালো ফলের জন্য প্রতিষ্ঠানটি একাধিকবার জাতীয় পর্যায়ে "শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান" নির্বাচিত হয়। ৪০ বছরের পথচলায় দুুুুু'বার শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়ে "সেনাপ্রধান ট্রফি" লাভ করে এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি।
ক্যাম্পাসের বর্ণনা
সম্পাদনাএর অবস্থান পার্বতীপুর মহাসড়কের পাশে এবং সৈয়দপুর শহর হতে আধা কিলোমিটার দূরে। এটি সৈয়দপুর সেনানিবাস এর উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত।[১]
অবকাঠামো
সম্পাদনাএ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে উন্নত ও আধুনিক অবকাঠামোগত সুবিধাদি। প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার একটি এবং স্কুল শাখায় দুইটি ভবন রয়েছে। উভয় শাখাতেই রয়েছে পৃথক পৃথক লাইব্রেরি এবং পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যা, কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ভিত্তিক গবেষণাগার।[২]
সুযোগ-সুবিধা
সম্পাদনাছাত্র-ছাত্রী পরিবহনের জন্য রয়েছে ১টি বাস, আবাসিকের জন্য রয়েছে একটি ছাত্রাবাস। এছাড়াও রয়েছে অভিভাবকদের জন্য বিশ্রামাগার, সুবিশাল খেলার মাঠ, বাস্কেট বল গ্রাউন্ড, নার্সারির শিশুদের জন্য পার্ক প্রভৃতি। ছাত্র-ছাত্রীদের চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠানে একজন চিকিৎসক নিয়োজিত আছেন। স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আছে একটি ক্যান্টিন।
ভর্তি
সম্পাদনা- স্কুল
স্কুল শাখায় নার্সারী এবং ষষ্ঠ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।[৩]
- কলেজ
কলেজ শাখায় বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
সহশিক্ষা
সম্পাদনাএই প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়ম-শৃঙ্খলার চর্চা ও খেলাধুলাসহ অন্যান্য সহপাঠ কার্যক্রমের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়। অভিভাবকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের জন্য আছে অভিভাবক দিবসের ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টির লক্ষ্যে সকল শিক্ষার্থীকে চারটি হাউজে বিন্যস্ত করে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আন্তঃ হাউজ প্রতিযোগিতা; যেমন – বিতর্ক, আবৃত্তি, সঙ্গীত, খেলাধুলা, চিত্রাংকন, দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ প্রভৃতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিএনসিসি, স্কাউটস, গার্ল গাইডস, রেড ক্রিসেন্ট প্রভৃতি সংগঠনের শাখা রয়েছে।[২]
ফলাফল
সম্পাদনা২০১৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে অবস্থান ছিলো ৯ম।[৪] ১৪৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ অর্জন করায় এই প্রতিষ্ঠানটি নীলফামারী জেলার মধ্যে ২য় অবস্থান পায়।[৫] ২০১৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে অবস্থান ছিলো ১০ম।[৬][৭] ২০১৬ সালে মোট জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩০০ জন শিক্ষার্থী।[৮]
লাইব্রেরি
সম্পাদনাএই প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিতে প্রায় ১২০০০ বই রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নার্সারী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল শ্রেণীর পাঠ্যবই, অভিধান, সাধারণ জ্ঞান, ম্যাগাজিন, উপন্যাস প্রভৃতি।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ বিদ্যালয় হতে প্রাকাশিত ম্যাগাজিন,২০১২
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ http://birganjpratidin.com/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%80/
- ↑ http://www.dailysangram.com/post/146710-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B2%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ http://www.bhorerkagoj.net/print-edition/2015/05/31/34954.php[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ http://www.bssnews.net/bangla/newsDetails.php?cat=6&id=290038&date=2015-05-30[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ http://www.thedailysangbad.com/country/2016/08/20/81064[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]