ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ চট্টগ্রাম সেনানিবাসে অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ-এর নিকটে অবস্থিত।
স্থাপিত | ১৯৯৮ |
---|---|
ইআইআইএন | ১৩৪১৩৩ |
অবস্থান | চট্টগ্রাম , , ২২°২৩′৪৭″ উত্তর ৯১°৪৯′০৪″ পূর্ব / ২২.৩৯৬৪৪৮২° উত্তর ৯১.৮১৭৬৬৩৯° পূর্ব |
ওয়েবসাইট | cesc |
ইতিহাস
সম্পাদনাএই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮ সালে তার যাত্রা শুরু করে। এর শুরুর নাম ছিল ক্যান্টনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। ২০০৫ সালে, এটি ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুলের (সিইএস) সাথে একত্রীত হয়। শুরু হওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়টি ধীরে ধীরে বিকশিত হতে থাকে। ২০১০ সালে এটিকে এইচএসসি স্তরে উন্নীত হয় এবং এটি ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ (সিইএসসি) নামে নামকরণ করা হয়।
সহ-শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাবিদ্যালয়টি প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এর পাশাপাশি শিক্ষা সফর আয়োজন করে এবং বিভিন্ন ক্লাব কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ২০১৮ সালে রোমানিয়ার ক্লুজ-নাপোকা শহরে অনুষ্ঠিত ৫৯ তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডেে এই বিদ্যালয়ের ছাত্র আহমাদ জাওয়াদ চৌধুরী স্বর্ণ পদক লাভ করেন। এটি ছিল আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণ পদক।[১]
স্কুলের ছাত্ররা ২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
যদিও বেশিরভাগ সময় স্কুলের বিভাগটি শারীরিকভাবে অংশ নিতে পারেনি, তবুও ছাত্ররা এই আন্দোলন নিয়ে আলোচনা এবং তথ্য প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা চট্টগ্রামের আন্দোলনের নেতা ও সমন্বয়কারীদের সঙ্গে মাঠে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় করেছে। তারা চট্টগ্রামের ভেতরে ও বাইরে অনলাইনে উল্লেখযোগ্য সমর্থন সংগ্রহ করেছে এবং সেখানকার আন্দোলনের সাফল্য ও অগ্রগতি সম্পর্কে দেশকে জানিয়েছে। শিক্ষকরাও অনলাইন আন্দোলন এবং শারীরিক বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন, যার ফলে স্কুলটি আদমজী ক্যান্টনমেন্টের মতো অন্যান্য ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের সঙ্গে একত্রে এই আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ মুনির হাসান (১২ জুলাই ২০১৮)। "আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণপদক জয়"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৮।