কে আমি
কে আমি এটি ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।[২] ছবিটি পরিচালনা করেছেন ওয়াকিল আহমেদ। ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিয়াজ এবং তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন পূর্ণিমা। এছাড়াও কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ড্যানি সিডাক, প্রবীর মিত্র ও আলীরাজ। একটি আইটেম গানে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস।
কে আমি | |
---|---|
পরিচালক | ওয়াকিল আহমেদ |
প্রযোজক | স্বপ্নীল কথাচিত্র |
রচয়িতা | মোহাম্মদ গোলাম হোসেন |
শ্রেষ্ঠাংশে | রিয়াজ পূর্ণিমা ইলিয়াস কাঞ্চন ড্যানি সিডাক প্রবীর মিত্র আলীরাজ |
চিত্রগ্রাহক | মজিবুল হক ভুঞা |
সম্পাদক | আমজাদ হোসেন |
পরিবেশক | স্বপ্নীল কথাচিত্র |
মুক্তি | ৯ জানুয়ারী, ২০০৯[১] |
স্থিতিকাল | ১৩৯ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
কাহিনী সংক্ষেপ
সম্পাদনাঅপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাহাদুরপুর। উঁচু নিচু পাহাড়, সবুজ সমতল মাটি আর নীল আকাশ। গরুর খামার করার জন্য আদর্শ জায়গা। এখানেই বসবাস করে তিন বন্ধু জাকারিয়া (আলীরাজ) এবং হাবিব খান (সুভ্রত) গরুর খামারী। এ টি এম হায়দার পেশায় উকিল। জাকারিয়ার ছোট মেয়ে নীলিমা ও আর হাবিব খানের ছোট ছেলে হামিদের খুব ভাব। হাবিব খান বাহাদুরপুরে দ্বীপ কাকাতুয়া নামে এক বিশাল জায়গা সরকারের কাছে বরাদ্দ নেয়। ব্যাপারটা একদমই পছন্দ করেন না স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি নাসির বাট (ড্যানি সিডাক)। নাসির বাট'র পূর্ব পুরুষেরা ছিলেন বাহাদুরপুর অঞ্চলের ডাকসাইটে জমিদার। যাদের হুঙ্কার আর অত্যাচারে পুরো জনপদ কাঁপত সর্বদাই ভীত শসস্ত্র। নাসির বাট হাবিব খানের ছোট ছেলে হামিদের সামনেই মিথ্যা গরু চোরের অববাদ দিয়ে হাবিব খানের সমস্ত সম্পদ নিজের নামে সাক্ষর করিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে। হামিদকেও হত্যা করার হুকুম দেয় কিন্তু নাসির বাটের সহচর হেদায়েতের দয়ায় সে প্রাণে রক্ষা পায়। রাতের অন্ধকারে বাহাদুরপুর ছেড়ে ছোট হামিদ পালিয়ে যায় আমিরাবাদ শহরে। সেখানে রহিম রহমান নামে এক লোকের কাছে আশ্রয় পায়।
সময়ের পরিক্রমায় কেটে যায় বারটি বছর। তারপরও হাবিব খানের অকাল মৃত্যুর কথা ভুলতে পারেনা জাকারিয়া চৌধুরী। এবার নাসির বাটের চোখ পরে তার মেয়ে নীলিমা ও তার সম্পদের দিকে। রাজকন্যা ও রাজত্ব দুটোই একসাথে পেতে সে মরিয়া হয়ে উঠে। জাকারিয়া নিজের মেয়ে ও সম্পদ রক্ষার জন্য আরেক বন্ধু এ টি এম হায়দারের সঙ্গে যুক্তি করে সি এই ডি পুলিশ অফিসার শফিক আহমেদকে (ইলিয়াস কাঞ্চন) ম্যানেজারের দায়িত্ব দেয়। এবং এক সময় নিজে গুম হওয়ার নাটক সাজায়। এরই মধ্যে ছোট হামিদ বড় হয়ে বাহাদুরপুর ফিরে আসে আকাশ (রিয়াজ) নাম দারণ করে। কাজ নেয় নিলিমাদের গরুর ফার্ম হাউজে। নীলিমা (পূর্নিমা) এক সময় আবিষ্কার করে হামিদ (আকাশ) তার ছোট বেলার বন্ধু। সিআইডি পুলিশ অফিসার শফিক আহমেদ অত্যাচারী খুনি নাসির বাটের ভদ্রতার আড়ালে থাকা সয়তানের মুখোশ একদিন উন্মোচন করে। হামিদ (আকাশ) তার পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নেয়।
---মানুষের গড়া আইনকে নাসির বাট ফাঁকি দিতে পারলেও বিধির বিধান অনুযায়ী তার শাস্তি নির্ধারিত হয়।
শ্রেষ্ঠাংশে
সম্পাদনা- রিয়াজ - আকাশ/হামিদ খান
- পূর্ণিমা - নীলিমা
- ইলিয়াস কাঞ্চন - শফিক আহমেদ
- ড্যানি সিডাক - নাসির ভাট
- আলীরাজ - জাকারিয়া চৌধুরী
- সুব্রত - হাবিব খান
- প্রবীর মিত্র - হায়দার
- কাবিলা - গিয়াস
- টেলি সামাদ - হাশেম
- ইলিয়াস কোবরা - মোর্তজা
- শিবা শানু - নাসির ভাটের বন্ধু
- ফেরদৌস - বিশেষ অতিথি (গানে)
সংগীত
সম্পাদনাকে আমি ছবির সংগীত পরিচালনা করেন ইমন সাহা।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ঢালিউডের সফল একটি বছর[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সেন্সরের অপেক্ষায় রিয়াজ ও পূর্ণিমার কে আমি"। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১১।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে কে আমি (ইংরেজি) - এ