কেরোগলেন মালভূমি
কেরোগলেন মালভূমি ( /ˈkɜːrɡələn/, /kərˈɡeɪlən/),[১] যা কেরোগেলেন–হিয়ার্ড মালভূমি নামেও পরিচিত,[২] হচ্ছে একটি মহাসাগরীয় মালভূমি এবং দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের অ্যান্টার্কটিক পাতটিতে অবস্থিত একটি বৃহত আগ্নেয় ভূমি (Large Igneous Province (LIP)।[৩] এটি অস্ট্রেলিয়ার ৩,০০০ কিমি (১,৯০০ মা) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এবং ক্যালিফোর্নিয়ার চেয়ে আকারের প্রায় তিনগুণ বড়। মালভূমিটি উত্তর-পূর্ব – দক্ষিণ-পূর্ব বরাবর ২,২০০ কিমি (১,৪০০ মা) -এর বেশি প্রসারিত এবং গভীর জলে নিমজ্জিত রয়েছে। প্রায় ১৩০ মিলিয়ন বছর পূর্বে গন্ডোয়ানা ভাঙা শুরু হওয়ার সময় বা তার ঠিক পর পরই কেরোগলেন উষ্ণস্থল হতে উত্পত্তি লাভ করে। মালভূমিটির একটি ছোট্ট অংশ সমুদ্রের সমতল থেকে উত্থিত হয়ে কেরোগলেন দ্বীপ (একটি ফরাসী বৈদেশিক অঞ্চল) এবং হেয়ার্ড এবং ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জ (একটি অস্ট্রেলিয়ান বাহ্যিক অঞ্চল) গঠন করেছে। হিয়ার্ড এবং ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জে সবিরাম আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুত্পাত চলে প্রায়শই।
মহাদেশীয় খন্ড
সম্পাদনাকেরোগলেন মহাদেশীয় খন্ডটি সম্ভবতঃ মধ্য-ক্রিটাসিয়াস যুগে মোচাকৃতির ঘন বন দ্বারা আচ্ছাদিত ছিলো।[৪]
অবশেষে, ২০ মিলিয়ন বছর পূর্বে, এটি ডুবে যায় এবং বর্তমানে এটি সমুদ্র-সমতল হতে ১,০০০–২,০০০ মিটার নিম্নে নিমজ্জিত রয়েছে।[৫]
জীব বৈচিত্র
সম্পাদনাগ্রীষ্মকালে কেরোগলেন মালভূমির দক্ষিণ প্রান্ত এবং সংলগ্ন রাজকুমারী এলিজাবেথ খাতের উত্তর অংশে স্পার্ম তিমি, মিন্ক তিমি এবং হ্যাম্পব্যাক তিমি সহ নানান প্রজাতির প্রচুর পরিযায়ী তিমির আগমন ঘটে। এই তিমিগুলি এখানে অবস্থান নেয়ার মূল কারণ হলো অ্যান্টার্টিকার চক্রাকার স্রোত এখানকার কেরোগলেন মালভূমির দক্ষিণ প্রান্তে এসে বাধা পেয়ে বেকে যায়। ফলে এখানে নিচ হতে ওপরে প্রচুর পুষ্টি উপাদানের সমারোহ ঘটে। অধিকন্তু, এর পূর্বাংশ সহ দক্ষিণ দিকে বরফাচ্ছাদিত কুয়াশার পারদুর্ভাব ঘটে।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাটীকা
সম্পাদনা- ↑ Oxford English Dictionary
- ↑ Munschy, Marc; Schlich, Roland (জানুয়ারি ১৯৮৭)। "Structure and evolution of the Kerguelen-Heard Plateau (Indian Ocean) deduced from seismic stratigraphy studies"। Marine Geology। 76: 131–152। ডিওআই:10.1016/0025-3227(87)90022-3। বিবকোড:1987MGeol..76..131M।
- ↑ UT Austin 1999
- ↑ Mohr, Wähnert এবং Lazarus 2002, Abstract
- ↑ https://news.utexas.edu/1999/05/28/ut-austin-scientist-plays-major-role-in-study-of-underwater-micro-continent/
- ↑ Tynan 1997, Introduction, p. 2793
উত্স
সম্পাদনা- Bénard, F.; Callot, J. P.; Vially, R.; Schmitz, J.; Roest, W.; Patriat, M.; Loubrieu, B.; The ExtraPlac Team (২০১০)। "The Kerguelen plateau: Records from a long-living/composite microcontinent"। Marine and Petroleum Geology। 27 (3): 633–649। ডিওআই:10.1016/j.marpetgeo.2009.08.011। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫।
- "UT Austin scientist plays major role in study of underwater "micro-continent""। University of Texas at Austin। মে ২৮, ১৯৯৯। সেপ্টেম্বর ১৮, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৯, ২০১২।
- Frey, F. A.; Coffin, M. F.; Wallace, P. J; Weis, D. (২০০৩)। Frey, F. A.; Coffin, M. F.; Wallace, P. J.; ও অন্যান্য, সম্পাদকগণ। "Leg 183 Summary: Kerguelen Plateau-Broken Ridge—A Large Igneous Province" (পিডিএফ)। Proceedings of the Ocean Drilling Program। 183: 1–48। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩০, ২০১৫।
- Ingle, S.; Scoates, J. S.; Weis, D.; Brügmann, G.; Kent, R. W. (২০০৪)। "Origin of Cretaceous continental tholeiites in southwestern Australia and eastern India: insights from Hf and Os isotopes"। Chemical Geology। 209 (1–2): 83–106। ডিওআই:10.1016/j.chemgeo.2004.04.023। বিবকোড:2004ChGeo.209...83I। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫।
- Mohr, B. A. R.; Wähnert, V.; Lazarus, D. (২০০২)। Frey, F. A.; Coffin, M. F.; Wallace, P. J.; ও অন্যান্য, সম্পাদকগণ। "Mid-Cretaceous paleobotany and palynology of the central Kerguelen Plateau, southern Indian Ocean (ODP Leg 183, Site 1138)"। Proc. ODP, Sci. Results। Proceedings of the Ocean Drilling Program। 183। ডিওআই:10.2973/odp.proc.sr.183.008.2002।
- Müller, R. D.; Gaina, C.; Clark, S. (২০০০)। "Seafloor spreading around Australia"। Billion-year earth history of Australia and neighbours in Gondwanaland। North Ryde, N.S.W.: Gemoc Press। পৃষ্ঠা 18–28। আইএসবিএন 978-1876315047। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৭, ২০১৫।
- Schlich, R.; Delteil, J. R.; Moulin, J.; Patriat, P.; Guillaume, R. (১৯৭১)। "Mise en évidence d'une sédimentation de marge continentale sur le plateau de Kerguelen-Heard"। Comptes Rendus de l'Académie des Sciences, Série D (ফরাসি ভাষায়)। 272 (16): 2060–2063। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫।
- Tynan, C. T. (১৯৯৭)। "Cetacean distributions and oceanographic features near the Kerguelen Plateau"। Geophysical Research Letters। 24 (22): 2793–2796। ডিওআই:10.1029/97GL02860 । বিবকোড:1997GeoRL..24.2793T।
- Wallace, P. J.; Frey, F. A.; Weis, D.; Coffin, M. F. (২০০২)। "Origin and Evolution of the Kerguelen Plateau, Broken Ridge and Kerguelen Archipelago: Editorial"। Journal of Petrology। 43 (7): 1105–1108। ডিওআই:10.1093/petrology/43.7.1105 ।
- Whittaker, J. M.; Williams, S. E.; Müller, R. D. (২০১৩)। "Revised tectonic evolution of the Eastern Indian Ocean"। Geochemistry, Geophysics, Geosystems। 14 (6): 1891–1909। ডিওআই:10.1002/ggge.20120 । বিবকোড:2013GGG....14.1891W।
- Weis, D; Frey, F.A. (১৯৯৭)। "Kerguelen plateau—broken ridge: a major lip related to the Kerguelen plume" (পিডিএফ)। Seventh Annual V. M. Goldschmidt Conference।