কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (সংক্ষেপে: সিপিআই) হচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল ও প্রযুক্তি -সম্পর্কিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি কুমিল্লা শহরের কোটবাড়ী এলাকায় অবস্থিত।[১] কারিগরি শিক্ষা প্রসারের জন্য ১৯৬২ সালে ২৬ একর জায়গায় কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি প্রথম আইসিটি বেসড পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।[২]
ধরন | সরকারি প্রকৌশল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৬২ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড |
ইআইআইএন | ১৩৩১৬০ |
অধ্যক্ষ | প্রকৌশলী মোঃ লুৎফুর রহমান |
বিভাগ | ৬ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১২০ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৮ |
শিক্ষার্থী | ৭০০০ |
ঠিকানা | কোটবাড়ি , , ৩৫০৩ , ২৩°২৬′১৩″ উত্তর ৯১°০৮′১৩″ পূর্ব / ২৩.৪৩৭০৫৭° উত্তর ৯১.১৩৬৯৮৬° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে ২৬ একর |
সংক্ষিপ্ত নাম | সিপিআই |
অধিভুক্তি | কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর |
ওয়েবসাইট | www |
প্রাতিষ্ঠানিক লোগো |
ইতিহাস
সম্পাদনাকুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
অবস্থান
সম্পাদনাকুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট লালমাই পাহাড়ের পাশে এবং কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় থেকে ৭ কি.মি পশ্চিমে কোটবাড়ীতে অবস্থিত। এটি ময়নামতী শালবন বিহার নামক স্থানে ২৬ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত। এর পাশে রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট কলেজ ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ।
প্রকৌশল বিভাগ সমূহ
সম্পাদনাছয়টি বিভাগ যথা:
শিক্ষা পদ্ধতি
সম্পাদনাবাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে বর্তমানে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছে। কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি প্রত্যেক প্রযুক্তির ছাত্র-ছাত্রীদের আবশ্যিকভাবে বিকাশের জন্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান, পরিবেশগত বিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদানের জন্য একটি অকারিগরি (NonTech) শিক্ষা বিভাগ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সকালে ও দুপুরে দুই শিফটে পাঠদান করা হয়।
পাঠদানের সময়সূচি
সম্পাদনাপ্রথম শিফট ০৮.০০টা থেকে ০১.১৫ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় শিফট ০১.৩০টা থেকে ৬.৪৫ পর্যন্ত।
ক্যাম্পাস
সম্পাদনাক্যাম্পাসে রয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট দুইটি ভবন এবং আটটি বড় ওয়ার্কশপ ভবন। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অত্যাধুনিক ল্যাব সংবলিত তিনতলা বিশিষ্ট নিজস্ব ভবন রয়েছে। মূল ভবনের সামনে রয়েছে শহীদ মিনার, সুদর্শন ফোয়ারা এবং বাম পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রয়েছে। প্রতিটি বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক আলাদা ল্যাব ওয়ার্কশপ ছাড়াও রয়েছে অফিস, গ্রন্থাগার, ল্যাবরেটরী এবং একটি ৫০০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মিলনায়তন। এছাড়াও একটি ক্যান্টিন, একটি স্কুল, একটি মসজিদ, দুইটি পুকুর এবং একটি বড় খেলার মাঠ রয়েছে।
ল্যাব/ওয়ার্কশপ
সম্পাদনাপ্রতিটি বিভাগের জন্য রয়েছে আলাদা করে প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সমৃদ্ধ অনেকগুলো ল্যাব ও ওয়ার্কশপ।
- ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার শপ
- ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং ল্যাব
- ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট ল্যাব
- হাই ভোল্টেজ ল্যাব
- অ্যাপ্লিকেশন ল্যাব
- প্রোগ্রামিং ল্যাব
- নেটওয়ার্কিং ল্যাব
- সফটওয়্যার ল্যাব
- ডাটাবেজ ল্যাব
- অডিও ভিজ্যুয়াল ল্যাব
- অ্যাডভান্স কমিউনিকেশন ল্যাব
- ডিজিটাল অ্যান্ড মাইক্রোপ্রসেসর ল্যাব
- মেশিন শপ
- ওয়েল্ডিং শপ
- টেস্টিং ল্যাব
- ফাউন্ড্রি শপ
- মেটাল শপ
- সয়েল ল্যাব
- সার্ভে শপ
- উড শপ
- প্লাম্বিং শপ
- ম্যাসন শপ
- হাইড্রোলিক ল্যাব
- অটো পাওয়ার শপ
- হিট ইঞ্জিন শপ
- বয়লার শপ
- ফিজিক্স ল্যাব
- কেমিস্ট্রি ল্যাব
- ফিজিক্যাল এডুকেশন সেন্টার
আবাসন
সম্পাদনাছাত্রাবাস
সম্পাদনাছাত্রদের জন্য দুইটি এবং ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল রয়েছে।
ছাত্র হল দুটিতে প্রায় ৩৬০ টি আসন রয়েছে। ছাত্রীদের জন্য হলে ছাড়াও প্রয়োজনে ডরমিটরি তে আসনের ব্যবস্থা করা হয়। ছাত্রী হলটি সম্পূূর্ণ নিরাপদ ও সংরক্ষিত আবাসিক এলাকায় অবস্থিত।
- শহীদুল্লাহ আবু ইউসুফ খান ছাত্রাবাস
- ময়নামতি আলমগীর ছাত্রাবাস
- ছাত্রী নিবাস
শিক্ষক ডরমিটরি
সম্পাদনাঅত্র প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে রয়েছে অধ্যক্ষের বাসভবন, উপাধ্যক্ষের বাস ভবন, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ডরমিটরি রয়েছে যা প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত। তাছাড়াও অতিথিদের জন্য রয়েছে গেস্ট হাউজ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট"। কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Comilla Polytechnic Institute | কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট"। পলিটেকনিক বাংলাদেশ (ইংরেজি ভাষায়)।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]