ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস
ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস বাংলাদেশের কুমিল্লা সেনানিবাসে অবস্থিত এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস | |
---|---|
অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক | ২৩°২৬′১৮″ উত্তর ৯১°০৭′৫১″ পূর্ব / ২৩.৪৩৮৪২৭° উত্তর ৯১.১৩০৯৭০° পূর্ব |
তথ্য | |
নীতিবাক্য | জ্ঞানই আলো |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২০০২ |
অধ্যক্ষ | কবির উদ্দিন খান |
হাউজ | ৩ |
ওয়েবসাইট | ccc |
অবস্থান ও প্রতিবেশ
সম্পাদনাবাংলাদেশে অবস্থিত একটি সামরিক কলেজ। কলেজটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ২০০২ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা শহর থেকে ১০ কি.মি.দূরে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশে কোটবাড়িতে অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনাসেনানিবাস কর্তৃপক্ষ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় একটি ইন্টারমেডিয়েট কলেজ স্থাপনের প্রয়োজনিয়তা অনুভব করে। সে লক্ষে তৎকালীন মাননীয় জি ও সি মেজর জেনারেল জামিল ডি আহসান, বিপি, পিএসসি-এর উদ্যোগে তৎকালীন স্টেশন কমান্ডার কর্ণেল মিয়া মশিউজ্জামান, পিএসসি-এর প্রচেষ্টায় এবং সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরের পরিচালক মহোদয়ের সহযোগিতায় ২০০২ সালে বিদ্যমান ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলায় ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০০২-২০০৩ শিক্ষা বর্ষ থেকে একাদশ শ্রেণীতে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায শিক্ষা) ১৫ টি বিষয়ে পাঠ দানের অনুমতি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ছাড় পত্র যথাসময়ে পাওয়া যায়নি বিধায় ২০০২-২০০৩ শিক্ষা বর্ষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা সম্ভব হয়নি। ১১ জানুয়ারী ২০০৩, তৎকালীন এরিয়া কমান্ডার মহোদয় কলেজ ভবন উদ্বোধন করেন। ২০০৩-২০০৪ শিক্ষা বর্ষ থেকে একাদশ শ্রেণীর বিভিন্ন শাখায় ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করার লক্ষে সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরের পরিচালক মহোদয় যথাসময় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেন।প্রাক্তন স্টেশন কমান্ডার কর্ণেল লিয়াকত আলী খান নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থেকে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রাক্তন জি ও সি মেজর জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধূরী, পিএসসি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৩, কলেজের শ্রেণী কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেণ।
শিক্ষা ব্যবস্থা
সম্পাদনাউচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ সমূহ চালু আছে।
একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি
সম্পাদনামাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী একাদশ শ্রেণীতে প্রতি বছর বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করানো হয়। সরকারী বিধি মোতাবেক অনলাইনে শুধুমাত্র টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে পারে। ভর্তির ফলাফল প্রার্থীর ব্যবহৃত নম্বরে (মনোনীতদের) এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
আসন সংখ্যাঃ
- বিজ্ঞানঃ ২০০
- মানবিকঃ ১৫০
- ব্যবসায় শিক্ষাঃ ১৫০
পাঠ্যক্রম বর্হিভূত কার্যক্রম
সম্পাদনাপাঠ্যক্রম অধ্যয়নের পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক, সংগীত ইত্যাদি চর্চা করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা অনুশীলন সহ প্রতিবছর বার্ষিক খেলাধুলাও অনুষ্ঠিত হয়।[১]
সহশিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাপড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাতে ও অনেক শুনাম রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য কলেজে গেমস ক্লাব, সাধারণ জ্ঞান ক্লাব, আর্ট এন্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব, গণিত ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব ও ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব রয়েছে। এছাড়াও অন্তঃ কলেজ এর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বার্ষিক ক্রিয়াপ্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের সর্বমোট ৩টি হাউজ এ ভাগ করা হয়।
হাউজ
হাউজ এর নাম | প্রতীকিয় রং | যাদের নামে নাম | হাউস নীতিবাক্য |
---|---|---|---|
শেরেবাংলা | নীল | শেরেবাংলা একে ফজলুল হক | |
জসিম উদ্দিন | সবুজ | জসিম উদ্দিন | |
সলিমুল্লাহ্ | লাল | সলিমুল্লাহ খান |
গ্রন্থাগার
সম্পাদনাএ কলেজে সুসজ্জিত গ্রন্থাগার আছে। লাইব্রেরী কার্ড জমাদান সাপেক্ষে যে কেউ প্রয়োজনীয় বই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইস্যু করে নিতে পারে। লাইব্রেরিতে দৈনিক, সাপ্তাহিক পত্রিকার ব্যবস্থা রয়েছে। লাইব্রেরিতে পৃথক পৃথক টেবিলে বসে পুস্তক এবং পত্র পত্রিকা পাঠ করা যায়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
সম্পাদনাসৃজনশীলতা ও ত্যাগী মনোভাব অর্জনের জন্য বিএনসিসি (সেনাবাহিনী), রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড চালু আছে।
পরিচালনা পর্ষদ
সম্পাদনাবাংলাদেশ সেনাবাহিনী এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা১.কলেজ এর ওয়েবসাইট [১]