কালিগঞ্জ গণহত্যা
কালিগঞ্জ গণহত্যা হলো ১৯৭১ সালের ২৭ জুন ভারতে পলায়নরত নিরস্ত্র বাঙালি হিন্দুদের ওপর নীলফামারীর জলঢাকার কালিগঞ্জ বাজারে সংঘটিত গণহত্যা। কালিগঞ্জ গণহত্যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে প্রায় ৪০০ বাঙালি হিন্দু প্রাণ হারান।[১][২] কথিত আছে, গণহত্যার পরিকল্পনা করেন কনভেনশন মুসলিম লীগ নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কাজী আব্দুল কাদের।[৩]
কালিগঞ্জ গণহত্যা | |
---|---|
স্থান | কালিগঞ্জ, রংপুর, পূর্ব পাকিস্তান |
স্থানাংক | ২৬°০৪′২৫″ উত্তর ৮৮°৫৭′২১″ পূর্ব / ২৬.০৭৩৬° উত্তর ৮৮.৯৫৫৮° পূর্ব |
তারিখ | ২৭ এপ্রিল ১৯৭১ (ইউটিসি+৬:০০) |
লক্ষ্য | বাঙালি হিন্দু |
হামলার ধরন | গণহত্যা |
ব্যবহৃত অস্ত্র | রাইফেল |
নিহত | ৪০০ |
হামলাকারী দল | পাকিস্তান সেনাবাহিনী |
প্রেক্ষাপট
সম্পাদনা১৯৭১ সালে কালিগঞ্জ বাজার বৃহত্তর রংপুর জেলার নীলফামারী মহকুমার জলঢাকা থানার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু বাজার নামে পরিচিত বাজারটি রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। বঙ্গবন্ধু বাজার জলঢাকা উপজেলা সদর থেকে ৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।[৪][৫]
হত্যাকাণ্ড
সম্পাদনা১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করলে, এই অঞ্চলের বাঙালি হিন্দুরা ভারতে পালাতে শুরু করেন। ২৭ এপ্রিল অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের সহস্রাধিক শরণার্থী কালিগঞ্জ বাজারে উপস্থিত হন। কেউ কেউ ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। আনুমানিক সকাল দশটায় বালাগ্রাম ইউনিয়নের ৩০০ জনের একটি দল কালিগঞ্জ পৌঁছায়।
সেই সময় চারটি সাজোয়া যানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সৈন্যদল কালিগঞ্জ বাজারে এসে পৌঁছায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেনাবাহিনী গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনায় বেঁচে যাওয়া অমরকৃষ্ণ অধিকারী ভাষ্যানুসারে, একজন পাকিস্তানি মেজর শরণার্থীদের দুইভাগে ভাগ করেন। একভাগকে পার্শ্ববর্তী খালের ধারে নিয়ে হত্যা করা হয় এবং অপর দলকে তৎক্ষণাৎ সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয়।[৬] ঘটনাস্থলে মৃতদের সাথে গুলিতে আহতদের জীবিত কবর দেওয়া হয়।[২]
স্মৃতিরক্ষা
সম্পাদনা১৯৯৯ সালে কালিগঞ্জ গণহত্যায় শহিদদের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "আজ জলঢাকা কালিগঞ্জ গণহত্যা দিবস"। বিডি২৪লাইভ.কম। ২৭ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "আজ জলঢাকায় গণহত্যা দিবস"। ইত্তেফাক। ঢাকা। ২৭ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪।
- ↑ "'No vote' campaign against anti-liberation elements"। দ্য ডেইলি স্টার।
- ↑ "কালিগঞ্জ গণহত্যা দিবস পালিত"। বাংলানিউজ২৪.কম। ২৭ এপ্রিল ২০১৪। ৬ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪।
- ↑ ক খ "আজ কালীগঞ্জ গণহত্যা দিবস"। যায়যায়দিন। ঢাকা। ২৭ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪।
- ↑ "আজ জলঢাকা গণহত্যা দিবস"। কালের কণ্ঠ। ঢাকা। ২৭ এপ্রিল ২০১৩। ২৪ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪।