কাঞ্চন পুঁটি
কাঞ্চন পুঁটি বা টাকা পুঁটি বা ময়না পুঁটি (বৈজ্ঞানিক নাম: Puntius conchonius) হচ্ছে সিপ্রিনিডি (Cyprinidae) পরিবারের পানটিয়াস (Puntius) গণের একটি স্বাদুপানির মাছ।
কাঞ্চন পুঁটি | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | কর্ডাটা (Chordata) |
শ্রেণি: | অ্যাক্টিনোটেরিগি (Actinopterygii) |
বর্গ: | সিপ্রিনিফর্মেস (Cypriniformes) |
পরিবার: | সিপ্রিনিডি (Cyprinidae) |
উপপরিবার: | স্মিলিওগাস্ট্রিনি (Smiliogastrinae) |
গণ: | পেথিয়া (Pethia) (F. Hamilton, 1822) |
প্রজাতি: | P. conchonius |
দ্বিপদী নাম | |
Pethia conchonius (F. Hamilton, 1822) | |
প্রতিশব্দ | |
|
বর্ণনা
সম্পাদনাকাঞ্চন পুঁটির দেহ লম্বা, রুপালি বর্ণের, পিঠে কালো। অন্যান্য পুঁটির চেয়ে পুরু ও চওড়া। এই প্রজাতির দৈর্ঘ্যে ৬ ইঞ্চি (১৪ সেমি) পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। গভীরভাবে কাঁটাযুক্ত লেজ থাকে, যা তাদের শরীরের অনুপাতে বড় হয়। সঙ্গমের সময় তাদের রঙ আরও গাঢ় হয়। পুরুষদের রঙ বেশি স্পন্দনশীল এবং মেয়ে মাছ রঙ কিছুটা মোটা। এছাড়াও মনে রাখবেন যে পুরুষদের ক্ষেত্রে মেয়ে মাছের পাখনায় কোন কালো রঙ থাকে না। তাদের ওজন ৩৪০ গ্রাম (১২ আউন্স) পর্যন্ত হতে পারে যখন সম্পূর্ণভাবে বড় হয় কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালে তাদের ওজন অনেক কম হতে পারে। তারা ৬৩.৫ মিমি (২.৫ ইঞ্চি) এ পরিপক্ক হয়।
বিস্তৃতি
সম্পাদনাবাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান অঞ্চলে এ মাছ পাওয়া যায়। এ মাছ পৃথিবীব্যাপী পরিচিত।
খাদ্যাভ্যাস
সম্পাদনাতারা সর্বভুক। খাদ্য হিসাবে কেঁচো, পোকামাকড়, ক্রাস্টেসিয়ান এবং উদ্ভিদকণা খায়। তাদের জীবনকাল ৫ বছর পর্যন্ত।
বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ
সম্পাদনাআইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি বাংলাদেশে হুমকির সম্মুখীন নয়।[২]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Dahanukar, N. 2010. Pethia conchonius. In: IUCN 2012. IUCN Red List of Threatened Species. Version 2012.2. <www.iucnredlist.org>. Downloaded on 3 May 2013.
- ↑ রোকনুজ্জামান, মোঃ (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৯৫–৯৬।