স্বাদুপানির মাছ
স্বাদুপানির মাছ বা মিঠা পানির মাছ (ইংরেজি: Freshwater fish) হচ্ছে সেই ধরনের মাছ যাদের জীবনের কিছু বা সব সময় স্বাদু পানি যেমন, নদী বা হ্রদে বাস করে যেগুলোর লবণাক্ততা ১.০৫% এর কম। এই পরিবেশ, নানাভাবে সামুদ্রিক অবস্থার থেকে পৃথক, সবচেয়ে সুস্পষ্ট পার্থক্য হচ্ছে লবণাক্ততার মাত্রার মধ্যে পার্থক্য। স্বাদু জলে বেঁচে থাকার জন্য, মাছ শারীরবৃত্তীয় অভিযোজনের একটি পরিসীমা প্রয়োজন।
সব পরিচিত মাছের প্রজাতির ৪১.২৪% স্বাদুপানিতে পাওয়া যায়। এটি প্রাথমিকভাবে সম্ভব হয় বিক্ষিপ্ত আবাসস্থলের দ্রুত প্রজাত্যায়নের কারণে। যখন পুকুর ও হ্রদের সঙ্গে কাজের প্রয়োজন পড়ে, দ্বীপ জৈব-ভূগোল অধ্যয়নরত হিসাবে প্রজাত্যায়নের একই মৌলিক মডেল ব্যবহার করা হতে পারে।[১]
বাংলাদেশ
সম্পাদনাজাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রকাশিত বিশ্বের সামগ্রিক মৎস্যসম্পদবিষয়ক প্রতিবেদন ২০২২ অনুযায়ী বিশ্বে সামগ্রিকভাবে স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। প্রথম ভারত, দ্বিতীয় চীন। বিশ্বে স্বাদুপানির মাছের ১১ শতাংশ বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে, যার মোট পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ টন। স্বাদুপানির পাখনাযুক্ত মাছ (ফিনফিশ) উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। এসব মাছের মধ্যে ইলিশও রয়েছে। ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে। পাখনাযুক্ত অন্য প্রধান সাতটি মাছ হচ্ছে রুই, কাতলা, পাঙাশ, তেলাপিয়া, গ্রাসকার্প ও সিলভার কার্প। বিশ্বজুড়ে চাষের ক্ষেত্রে এই সাত মাছকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। দেশে ২৬০ প্রজাতির স্বাদুপানির মাছ রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩০টি প্রজাতির চাষ বেশি হচ্ছে। [২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Wan Marlin Rohalin, Nadzifah Yaakub and Najwa Mohd Fazdil. "Level of Zinc and Lead in Freshwater Fishes in Balok River, Pahang, Malaysia", United International Journal for Research & Technology 1.1 (2019): 44-48.
- ↑ মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে শীর্ষ চার দেশের একটি বাংলাদেশ, প্রথম আলো, ৩ জুলাই ২০২২