কমলার বনবাস (১৯৯৮-এর চলচ্চিত্র)
কমলার বনবাস ১৯৯৮ সালের একটি ভারতীয় বাংলা ভাষার নাট্য চলচ্চিত্র । এটি পরিচালনা করেছেন স্বপন সাহা। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শতাব্দী রায় ও তাপস পাল। সুরকার দিয়েছেন অশোক ভদ্র। যা ২৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[১]
কমলার বনবাস | |
---|---|
পরিচালক | স্বপন সাহা |
প্রযোজক | নারায়ণচন্দ্র ঘোষ |
শ্রেষ্ঠাংশে | শতাব্দী রায় তাপস পাল |
সুরকার | অশোক ভদ্র |
চিত্রগ্রাহক | শঙ্কর গুহ |
পরিবেশক | অ্যাঞ্জেল সিনেমা |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৩৮ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
১৯৯৭ সালে একই শিরোনামে ফিরোজ আল মামুন পরিচালিত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ২০২৪ মার্কিন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের ভরাডুবিকে প্রতীকীভাবে ‘কমলার বনবাস’–এর সঙ্গে তুলনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলচ্চিত্র দুটি ব্যাপক আলোচনায় আসে।[২][৩][৪]
সংক্ষিপ্ত কাহিনি
সম্পাদনাকমলা হচ্ছে রাজা সাঁচি ও তাঁর স্ত্রী চিত্রার একমাত্র কন্যা। কলমা একদিন সখিদের সাথে প্রমোদভ্রমণে বের হয়, সেখানে কমলাকে দেখে রাজপুত্র কাঞ্চন কুমারের ভালো লেগে যায়। এরপর কমলা ও কাঞ্চন কুমার দুজনেই প্রেমে পড়েন। দুই পরিবারের সম্মতিতে কাঞ্চন ও কমলার বিয়ে হয়। বাসর রাতে একজন তপস্বী চামুণ্ডা তান্ত্রিক কাঞ্চন কুমারের সামনে প্রকট হন। তিনি তাকে নীল সরবরের কাছ থেকে নীল পদ্ম আনতে বলেন যা তার পিতা ভগবান ভোলানাথের কাছে মানত করেছিলেন। কাঞ্চন কুমার তার পিতার প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে বাসর রাতেই নীল পদ্মার সন্ধানে রওনা হন। যাত্রাপথেই কাঞ্চন কুমার অস্বস্তি বোধ করেন এবং তার স্ত্রীর সাথে দেখা করতে চান। এবার তপস্বী অলৌকিকভাবে তাকে স্ত্রীর সাথে দেখা করতে সাহায্য করলেন। সকালে কাঞ্চনের মা তার পুত্রবধূর অবস্থা দেখে বুঝতে পারেন রাতে তার ঘরে কোনও পুরুষ ছিল। কমলাকে তার আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু জল্লাদের দয়ায় কমলা প্রাণে বেঁচে বনে পালিয়ে যান। কিছুদিন পরেই তিনি বুঝতে পারেন যে, তিনি গর্ভবতী। তিনি মানিক কুমার নামে একটি পুত্রের জন্ম দেন। কিন্তু তার ছেলে অন্য এক মহিলার সাথে বিনিময় করে যে একটি মৃত সন্তানের জন্ম দেয়। একদিন কমলা তার ছেলেকে খুঁজে পান, তিনি তার ছেলেকে ফেরত পাওয়া দাবি করলেন। অবশেষে কমলা তার ছেলেকে ফিরে পেলেন; অন্যদিকে কাঞ্চন কুমার "নীল পদ্ম" নিয়ে তার সাম্রাজ্যে ফিরে আসেন এবং জানতে পারেন, যে তার স্ত্রী আর প্রাসাদে নেই। তিনি তৎক্ষণাৎ স্ত্রীর খোঁজে বের হন এবং অনেক দিন ধরে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে স্ত্রী ও সন্তানের সন্ধান পান। সবাই আবার একত্রিত হয়ে তাদের প্রাসাদে ফিরে আসেন।
অভিনয়শিল্পী
সম্পাদনা- শতাব্দী রায় মূল চরিত্র কমলার ভূমিকায়
- তাপস পাল রাজকুমার কাঞ্চন কুমার
- লাবণী সরকার কাঞ্চন কুমারের মা
- শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় কমলার বাবার ভূমিকায়
- কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "'কমলার বনবাস' যে কারণে হয়েছিল বাংলাদেশ ও কলকাতায়"। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ প্রতিবেদক, বিনোদন (২০২৪-১১-০৬)। "কেউ বলছেন 'কমলার বনবাস' কেউ বলছেন 'কমলা খারিজ'"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০৮।
- ↑ "হঠাৎ আলোচনায় 'কমলার বনবাস' সিনেমা"। আরটিভি অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ ডেস্ক, বিনোদন (২০২৪-১১-০৬)। "'কমলার বনবাস' সিনেমাটি হঠাৎ আলোচনায়"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০৯।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে কমলার বনবাস (ইংরেজি)