চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি
কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি চট্টগ্রাম কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের একটি সৌধ যেটি সাধারণভাবে চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি নামে পরিচিত।[১]
কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি | |
---|---|
বিস্তারিত | |
প্রতিষ্ঠাকাল | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর (১৯৩৯-১৯৪৫) |
অবস্থান | |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২২°২১′২৬″ উত্তর ৯১°৪৯′৪৩″ পূর্ব / ২২.৩৫৭৩০° উত্তর ৯১.৮২৮৫০° পূর্ব |
প্রকার | সমাধি |
ধরন | ক্যাথলিক |
মালিকানা | কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন |
সমাধি | ৭৫৫ |
ইজারাকাল | ৯৯ বছর |
ওয়েবসাইট | cwgc |
অবস্থান
সম্পাদনাকমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি চট্টগ্রামের দামপাড়া এলাকায়, ১৯ নং বাদশা মিয়া চৌধুরী সড়কে অবস্থিত। এটি মেডিকেল কলেজের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে, চট্টেশ্বরী সড়কের চারুকলা ইনস্টিটিউটের কাছাকাছি এবং ফিনলে গেস্ট হাউসের নিকটবর্তী পাহাড়ি ঢালু আর সমতল ভূমিতে গড়ে উঠেছে।[২] এটি শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে ২২ কিমি উত্তরে এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৮ কিমি দূরে অবস্থিত।[১] সমাধি এলাকা সবুজ বৃক্ষ আর পাতাবাহারের বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা।[২] ওয়ার সিমেট্রির প্রতিষ্ঠাকালে এলাকাটি বিশাল ধানক্ষেত ছিলো, যদিও বর্তমানে এটি বেশ উন্নত এলাকা এবং শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত।[৩][৪][৫] পঞ্চাশের দশকের প্রথমার্ধে নির্মিত এ সিমেট্রির বাইরের অংশে খোলা মাঠ রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা এবং বিকেল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্যে প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত, তবে শীতকালীন মৌসুমে এ সময়সূচির কিছুটা পরিবর্তন ঘটে থাকে।[২] কোলাহলমুক্ত এই সমাধি এলাকায় দর্শনার্থীদের উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার থাকলেও এখানে বসা নিষেধ।
ইতিহাস
সম্পাদনাদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এই সমাধিসৌধ প্রতিষ্ঠা করে। সূচনালগ্নে এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈন্যদের প্রায় ৪০০টি সমাধি ছিলো। তবে বর্তমানে এখানে ৭৩১টি সমাধি বিদ্যমান যার ১৭টি অজানা ব্যক্তির। এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাতীয় বিদেশী সৈন্যদের প্রায় ২০টি (১জন ওলন্দাজ এবং ১৯জন জাপানি) সমাধি বিদ্যমান। এছাড়াও এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) চট্টগ্রাম-বোম্বের একটি স্মারক বিদ্যমান।[১]
যুদ্ধ চলাকালীন সময় সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং ১৫২ নং ব্রিটিশ জেনারেল হাসপাতালের সুবিধার কারণে চট্টগ্রামে মিত্র বাহিনী চতুর্দশ সেনাবাহিনীর এই পথিকৃৎ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। হাসপাতালটি ডিসেম্বর ১৯৪৪ থেকে অক্টোবর ১৯৪৫ পর্যন্ত সক্রিয় ছিলো। প্রাথমিকভাবে এই সমাধিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রায় ৪০০ মৃতদেহ সমাহিত করা সম্ভব হয়েছে।[৫] এছাড়াও যুদ্ধ শেষে অতিরিক্ত মৃতদেহ লুসাই, ঢাকা, খুলনা, যশোর, কক্সবাজার, ধোয়া পালং, দোহাজারি, রাঙ্গামাটি, পটিয়া এবং অন্যান্য অস্থায়ী সমাধিস্থান থেকে এই সমাধিস্থানে স্থানান্তর করা হয়।[৫]
সমাধির বিবরণ
সম্পাদনাপেশা | সংখ্যা |
---|---|
সৈনিক | ৫২৪ |
বৈমানিক | ১৯৪ |
নাবিক | ১৩[১] |
দেশ | সংখ্যা |
---|---|
যুক্তরাজ্য | ৩৭৮ |
কানাডা | ২৫ |
অস্ট্রেলিয়া | ৯ |
নিউজিল্যান্ড | ২ |
মিয়ানমার | ২ |
নেদারল্যান্ডস | ১ |
জাপান | ১৯ |
অবিভক্ত ভারত | ২১৪ |
পূর্ব আফ্রিকা | ১১ |
পশ্চিম আফ্রিকা | ৯০ |
অন্যান্য | ৪[১] |
গ্যালারি
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Commonwealth War Cemetery Chittagong"। Trace of War। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-২২।
- ↑ ক খ গ হাজার বছরের চট্টগ্রাম। দৈনিক আজাদী। নভেম্বর ১৯৯৫। পৃষ্ঠা ৩০৫।
- ↑ "Chittagong War Cemetery"। cwgc.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-২২।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৩।
- ↑ ক খ গ "চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-২২।