এ. জি. কৃপাল সিং
অমৃতসর গোবিন্দসিং কৃপাল সিং (তামিল: ஏ. ஜீ. கிறிப்பால் சிங்; ; জন্ম: ৬ আগস্ট, ১৯৩৩ - মৃত্যু: ২২ জুলাই, ১৯৮৭) মাদ্রাজে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯৫০-৫১ মৌসুম থেকে ১৯৬৪-৬৫ মৌসুম পর্যন্ত তামিলনাড়ুর প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[১][২] দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন এ. জি. কৃপাল সিং।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | ৬ আগস্ট, ১৯৩৩ মাদ্রাজ, তামিলনাড়ু, ব্রিটিশ ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২২ জুলাই ১৯৮৭ চেন্নাই, তামিলনাড়ু, ভারত | (বয়স ৫৩)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ মার্চ ২০১৭ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাএক জনপ্রিয় ক্রিকেট পরিবার থেকে এসেছেন তিনি। বাবা এ.জি. রাম সিং দূর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের পক্ষে খেলার সুযোগ পাননি। তবে তার ভাই মিল্খা সিং টেস্টে খেলেছেন। দুই পুত্র ও ভাইপো - সকলেই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন।
১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে রঞ্জি ট্রফির ২১তম আসরে শিরোপী বিজয়ী তামিলনাড়ু দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ৬৩৬ রান তোলার পাশাপাশি ১৩ উইকেট নিয়ে দলের শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করেন তিনি।[৩] সেমি-ফাইনালে বাংলার বিপক্ষে ৯৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৯ রানে অল-আউট হয়ে যাওয়া দলের পক্ষে ৯৭ তোলেন। অন্য কোন খেলোয়াড়ই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে নিয়ে ৪/১৮ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। চূড়ান্ত খেলার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ছিল ও তিনি পরীক্ষাটি স্থগিত করতে সমর্থ হন। হোলকারের বিপক্ষে ৭৫ ও ৯১ তুলে এবং ৭ উইকেট নিয়ে দলকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন। মৌসুমের শুরুতে ট্রাভানকোর-কোচিনের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা ২০৮ রান তুলেন তিনি।
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলার জন্য ভারত দলের সদস্য মনোনীত হন। ১৯ নভেম্বর, ১৯৫৫ তারিখে হায়দ্রাবাদের ফতেহ ময়দানে অনুষ্ঠিত অভিষেক টেস্টেই অপরাজিত ১০০* রানের মনোজ্ঞ ইনিংস খেলেন।[৪] ঐ খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।[৫] এটিই তার একমাত্র টেস্ট শতক ছিল। এছাড়াও দুইটি অর্ধ-শতকের একটি ছিল ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। নাগপুরের চতুর্থ টেস্টে রয় গিলক্রিস্টের বলে উপর্যুপরি তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান। এরপর গিলক্রিস্টের বাউন্সারে মাথায় বল আঘাত হানলে পড়ে যান।
১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান। ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ১৭৮ রান তোলেন। এক টেস্টে অংশ নিয়েও ৪১ রান সংগ্রহ করেন। আঙ্গুলের আঘাতের কারণে খেলায় তার অংশগ্রহণ স্তিমিত হয়ে পড়ে। তাস্বত্ত্বেও দল নির্বাচকমণ্ডলীর সুনজরে ছিলেন।
ষাটের দশকে তিন টেস্টে অংশ নেন যার সবগুলোই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছিল। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে প্রথম টেস্ট উইকেট পান। এ উইকেট লাভের পূর্বে নয় ইনিংসে ৫৮৮ বল ডেলিভারি করেন। তবে, চার্লস ডেভিসের মতে, কৃপাল সিং ৬৫১ বল ডেলিভারি করে ২৩৫ রান দিয়ে তার প্রথম উইকেট পেয়েছিলেন। এরপূর্বে দশ টেস্টে অংশ নিয়েছেন। তার তুলনায় অন্য কোন বোলারই প্রথম উইকেট লাভের জন্য এতো অধিকসংখ্যক বোলিং করেননি। একই টেস্টে তিনি এক কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িয়ে পড়েন। ফলশ্রুতিতে সুভাষ গুপ্তের খেলোয়াড়ী জীবন শেষ হয়ে যায়।
১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে বেশ কয়েকজন ইংরেজ ক্রিকেটার আহত ও অসুস্থ হলে তিনি স্থায়ীভাবে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে বোলার হিসেবে নিজেকে চিত্রিত করতে থাকেন। তামিলনাড়ু দলের অধিনায়কত্ব করেন ও প্রথমবারের মতো দক্ষিণ অঞ্চলকে দিলীপ ট্রফির খেলায় নিয়ে যান।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনা১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে কৃপাল সিং এক খ্রিস্টান নারীর সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ধর্মান্তরিত হয়ে তাকে বিয়ে করেন। এছাড়াও দাঁড়ি ফেলে দেন ও চুল ছোট করে ফেলেন। তাস্বত্ত্বেও উভয় ধর্মই অনুসরণ করেছিলেন তিনি।[৬]
৫৩ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হয়ে তার দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন তিনি জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Tamil Nadu players". www.cricketarchive.com. Retrieved 7 January 2016.
- ↑ "Madras players". www.cricketarchive.com. Retrieved 7 January 2016.
- ↑ "Ranji Trophy, 1954/55 / Records / Most runs". Retrieved 23 August 2014.
- ↑ "Statistics / Statsguru / Test matches / Batting records / India test century scorers". ESPN Cricinfo.
- ↑ "New Zealand tour of India, 1st Test: India v New Zealand at Hyderabad (Deccan), Nov 19-24, 1955". ESPNCricinfo.com. Retrieved 31 March 2016.
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১০ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৭।
আরও দেখুন
সম্পাদনাগ্রন্থপঞ্জী
সম্পাদনা- V. Ramnarayan, Mosquitos and other Jolly Rovers
- Mihir Bose, A History of Indian Cricket
- Christopher Martin-Jenkins, A Complete Who's Who of Test Cricketers
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে এ. জি. কৃপাল সিং (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে এ. জি. কৃপাল সিং (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- "A most cerebral cricketer" by V Ramnarayan