এ. কে. ব্রোহি
আল্লাহ বুখশ করিম বুখশ ব্রোহি (উর্দু: الله بخش کریم بخش بروہی; সিন্ধি: الھ بخش ڪريم بخش بروھي; ১৯১৫ – ১৯৮৭) যিনি এ কে ব্রোহি নামে পরিচিত ছিলেন একজন বিশিষ্ট পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। তিনি সিন্ধুর শিকারপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বিখ্যাত ভারতীয় আইনজীবী রাম জেঠমলানীর প্রথম অংশীদার ও পরামর্শদাতা যা তার অনুমোদিত জীবনীতে স্বীকৃত।[২]
আল্লাহ বুখশ করিম বুখশ ব্রোহি | |
---|---|
জন্ম | ১৯১৫[১] |
মৃত্যু | সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ (৭২ বছর বয়সে)[১] |
অন্যান্য নাম | এ কে ব্রোহি |
দাম্পত্য সঙ্গী | খুশলুম ব্রোহি |
সন্তান | ৩ কন্যা |
আত্মীয় | সৈয়দ কাইম আলী শাহ (শ্যালক) |
তিনি ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০ থেকে ৩১ মার্চ ১৯৬১ পর্যন্ত ভারতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাএ কে ব্রোহি সামরিক শাসক জিয়া-উল-হকের ঘনিষ্ঠ ও রাজনৈতিক মার্কা ছিলেন যাকে "জেনারেলের পিছনের বুদ্ধিজীবী" বলা হয়।
তিনি একজন পণ্ডিত ও লেখক ছিলেন যিনি অধিবিদ্যা ঐতিহ্যবাদী বিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত ছিলেন (আরো সঠিকভাবে রনে গেনো, ফ্রিটজফ শুয়ন ও মার্টিন লিংগস)।[৩]
ব্রোহি পাকিস্তানের অ্যাটর্নি-জেনারেল হিসেবে শরিফউদ্দিন পীরজাদার সাথে সংক্ষিপ্তভাবে দায়িত্ব পালন করেন যিনি জেনারেল জিয়া-উল-হকের শাসনামলের বেশিরভাগ সময়ে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন (১৯৭৭ – ১৯৮৮)।[৪]
এ কে ব্রোহি ১৯৭০-এর দশকের শেষদিকে জেনারেল জিয়া-উল-হকের শাসনামলে আইন ও বিচার মন্ত্রী হিসেবেও কিছুদিনের জন্য দায়িত্ব পালন করেন।[৫][৬]
ব্রোহি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস. কে. মালিকের অর্থাৎ মালিক উল-খান) দ্য কুরানিক কনসেপ্ট অফ ওয়্যার (১৯৭৯) বইয়ের জন্য একটি দীর্ঘ ভূমিকা লিখেন, বইটি প্রারম্ভিক ইসলামি যুগের সামরিক কৌশল সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ারের চিন্তাধারার একটি নির্দেশিকা যা পাকিস্তান ও ভারতে পুনর্মুদ্রিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
পরিবার
সম্পাদনাতার ছোট ভাই আলী আহমদ ব্রোহি তার মতো বিশেষ করে সিন্ধি সংস্কৃতির উপর একজন লেখক ও পণ্ডিত ছিলেন যিনি ২০০৩ সালে মারা যান।[৭]
তার বোন হুসন আফরোজ প্রবীণ রাজনীতিবিদ সৈয়দ কাইম আলী শাহকে বিয়ে করেন কিন্তু ১৯৭৭ সালে স্তন ক্যান্সারে মারা যান।[৮]
প্রকাশনা
সম্পাদনাবই
সম্পাদনা- ইসলাম ইন দ্য মডার্ন ওয়ার্ল্ড
- অ্যা ফেইথ টু লিভ বাই
- টেস্টামেন্ট অফ ফেইথ
- অ্যাডভেঞ্চার অফ সেল্ফ-এক্সপ্রেশন
পুস্তিকা
সম্পাদনা- দ্য কুরআন অ্যান্ড ইটস ইম্প্যাক্ট অন হিউম্যান হিস্টোরি
- দ্য পোয়েট্রি অফ শাহ আব্দুল লতিফের
- রেলিজিয়াস ওয়ে অফ লাইফ
প্রবন্ধ
সম্পাদনা- ইকবাল অ্যান্ড দ্য কনসেপ্ট অফ ইসলামি সোশ্যায়ালিজম ইন আল-ইলম, v40 n11 (সেপ্টেম্বর ১৯৯১):৩৮-৪৭
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
সম্পাদনা- তিনি পাকিস্তান অ্যাকাডেমি অফ লেটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম। পাকিস্তানি ভাষা ও সাহিত্যে (বিশেষ করে দর্শন) তার সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কারে মনোনীত করা হয়।[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Profile of A.K. Brohi on Center For Islamic Sciences (Canada) website ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে Retrieved 20 May 2018
- ↑ Haider Nizamani (২৬ মে ২০১২)। "Manto and Sindh"। Dawn। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮।
- ↑ Seyyed Hossein Nasr, Knowledge and the Sacred : Revisioning Academic Accountability, SUNY Press (1989), p. 126
- ↑ CEC has no power to fix date for polls, Lahore High Court told Dawn (newspaper), Published 8 October 2002, Retrieved 21 May 2018
- ↑ Ghulam Nabi Kazi (১০ আগস্ট ২০০৭)। "A.K. Brohi: Insights into a Legal Mind"। All Things Pakistan website। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৮।
- ↑ From the past pages of Dawn: 1965: Fifty years ago: 'Alien influence' Dawn (newspaper), Published 27 February 2015, Retrieved 21 May 2018
- ↑ "KARACHI: A. A. Brohi passes away (A.K. Brohi's younger brother)"। Dawn News। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Forever Qaim (Qaim Ali Shah)"। The Express Tribune (newspaper)। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৮।
- ↑ Rauf Parekh (১৮ জুলাই ২০১৬)। "LITERARY NOTES: Pakistan Academy of Letters promoting country's literature and languages"। Dawn। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- A.K. Brohi: Insights Into a Legal Mind (ইংরেজি ভাষায়)