এবিএম নুরুল ইসলাম
এবিএম নুরুল ইসলাম (৬ জুলাই ১৯৩৭-১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০) বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, আওয়ামী লীগের পূর্ব পাকিস্তানের প্রাক্তন এমএনএ। তিনি জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন।[১][২]
এবিএম নুরুল ইসলাম | |
---|---|
পাকিস্তানের এমএনএ | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৯৬৫ ও ১৯৭০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৬ জুলাই ১৯৩৭ রাজবাড়ী, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পপুলার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাএবিএম নুরুল ইসলাম ৬ জুলাই ১৯৩৭ সালে রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলায় মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তিনি ১৯৫০ সালে ফরিদপুর মহেজ উদ্দিন হাই মাদ্রাসা থেকে এসএসসি এবং ১৯৫২ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে আইএ পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে বিএ ডিগ্রী এবং ১৯৫৮ সালে এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
সম্পাদনাএবিএম নুরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হকের ভিপি, ডাকসুর ভারপ্রাপ্ত সহসভাপতি, বৃহত্তর ফরিদপুর আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতিসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯৫৮ সালে ডিসেম্বরে তিনি হাই কোর্টে যোগদান করেন এবং ১৯৬১ সালে তিনি বার কাউন্সিল অব পাকিস্তানের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তিনি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জ আসন থেকে ১৯৬৫ ও ১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য মনোনীত হন।[১][২][৩]
মৃত্যু
সম্পাদনাএবিএম নুরুল ইসলাম ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে ঢাকার কলাবাগানের পপুলার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ পুত্র ও ২ কন্যা রেখে গেছেন।[৪][৫]
সমালোচনা
সম্পাদনাএবিএম নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ এবিএম নুরুল ইসলাম নাজেহাল"। সংগ্রামের নোটবুক। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ "৩০ মে ১৯৭১ এবিএম নুরুল ইসলাম"। সংগ্রামের নোটবুক। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ "জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম নুরুল ইসলাম"। প্রিয়.কম। ১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম নুরুল ইসলামের ইন্তেকাল"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "রাজবাড়ীর প্রাক্তন গণপরিষদ সদস্য জাতীয় পার্টির নেতা এডঃ এবিএম নূরুল ইসলামের ইন্তেকাল"। দৈনিক মাতৃকণ্ঠ। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "সংসদে আইনমন্ত্রীর দেওয়া তালিকায় তোফায়েলের সংশোধনী"। বাংলানিউজ২৪.কম। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]