অ্যাড্রেনালিন

রাসায়নিক যৌগ
(এপিনেফ্রিন থেকে পুনর্নির্দেশিত)

অ্যাডরেনালিন বা অ্যাড্রেনালিন বা এপিনেফ্রিন একটি হরমোন এবং নিউরোট্রান্সমিটার []

অ্যাড্রেনালিন
রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য
গর্ভাবস্থার শ্রেণি
প্রয়োগের
স্থান
IV, IM, endotracheal, IC, Nasal
এটিসি কোড
আইনি অবস্থা
আইনি অবস্থা
ফার্মাকোকাইনেটিক উপাত্ত
জৈবপ্রাপ্যতাNil (oral)
বিপাকadrenergic synapse (MAO and COMT)
বর্জন অর্ধ-জীবন2 minutes
রেচনUrine
শনাক্তকারী
  • (R)-4-(1-hydroxy-
    2-(methylamino)ethyl)benzene-1,2-diol
সিএএস নম্বর
পাবকেম সিআইডি
আইইউপিএইচএআর/
বিপিএস
ড্রাগব্যাংক
কেমস্পাইডার
ইউএনআইআই
কেইজিজি
সিএইচইবিআই
সিএইচইএমবিএল
কমপটক্স ড্যাশবোর্ড (আইপিএ)
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড100.000.090 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
রাসায়নিক ও ভৌত তথ্য
সংকেতC9H13NO3
মোলার ভর183.204 g/mol
থ্রিডি মডেল (জেএসমোল)
  • Oc1ccc(cc1O)[C@@H](O)CNC
  • InChI=1S/C9H13NO3/c1-10-5-9(13)6-2-3-7(11)8(12)4-6/h2-4,9-13H,5H2,1H3/t9-/m0/s1 YesY
  • Key:UCTWMZQNUQWSLP-VIFPVBQESA-N YesY

[][] নির্দিষ্ট ধরনের নিউরন ও এড্রেনাল গ্রন্থি থেকে এড্রেনাল হরমোনের উৎপত্তি হয়।[] ১৮৯৫ সালে নেপোলিয়ন সাইবুলস্কি প্রথম এড্রেনালিন পৃথকীকরণ করেন।[]

ইতিহাস

সম্পাদনা

পোল্যান্ডের চিকিৎসাবিজ্ঞানী নেপোলিয়ন সাইবুলস্কি ১৮৯৫ সালের সর্বপ্রথম এড্রেনাল গ্রন্থি থেকে এড্রেনাল হরমোন সংগ্রহ করেন।[] ১৮৯৬ সালের ২০শে এপ্রিল উইলিয়াম এইচ বেইটস চক্ষু অস্ত্রোপচারে এড্রেনাল হরমোন ব্যবহার করেন। ১৯০০ সালে জাপানের রসায়নবিদ জোকিচি তাকামিনে ও তার সহকারী স্বতন্ত্রভাবে এড্রেনালিন সংগ্রহে সক্ষম হয়েছেন।[]

অ্যাড্রেনালিন এর কাজ

সম্পাদনা

অ্যাড্রেনালিন (Adrenaline) বা এপিনেফ্রিন (Epinephrin) হরমোন অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির মেডালা অংশ থেকে নিঃসৃত হয়।

(১) এই হরমোন হৃৎস্পন্দনের গতি ও হার বাড়িয়ে দেয়।

(২) এর প্রভাবে যকৃতের গ্লাইকোজেন ভেঙে যায় ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ে।

(৩) অ্যাড্রেনালিন দেহের কোষ এবং দেহরসের মধ্যে জল ও খনিজ লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে সমতা রাখে।

(৪) রক্তের বিভিন্ন উপাদান বাড়াতে সাহায্য করে।

(৫) প্রয়োজনে হঠাৎ দেহে শিহরণ জাগাতে সাহায্য করে।

(৬) অ্যাড্রেনালিন মৌল বিপাকীয় হার (Basal Metabolic Rate or B.M.R.) বাড়াতে সাহায্য করে।

(৭) এই হরমোনের প্রভাবে ব্রঙ্কিওল (Bronchiole)-এর গহ্বর বড় হয় ফলে শ্বাসকার্যের হার বেড়ে যায়।

(৮) শ্বাসনালীর পেশীকে প্রসারিত করে শ্বাসকষ্ট দূর করে।

(৯) অ্যাড্রেনালিন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট খাদ্যের দেহমধ্যে যথাযথ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে।

(১০) উত্তেজনার সময় এই হরমোনের প্রভাবে গায়ের লোম খাড়া হয়, ঘাম ঝরতে থাকে।

(১১) রাগ, আনন্দ বা ভয়ের সময় অ্যাড্রেনালিন হরমোনটি অতিরিক্ত নিঃসৃত হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি ক্রিয়াশীল হয়। জরুরী প্রয়োজন শেষ হলে হরমোনের প্রভাব নষ্ট হয়ে যায়। সেইজন্য অ্যাড্রেনালিন হরমোনকে আপদকালীন হরমোন (Emergency Hormone) বলা হয়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. PMID 6278965 (PubMed)
    কয়েক মিনিটের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উদ্ধৃতি সম্পন্ন করা হবে। Jump the queue বা expand by hand
  2. Editorial (১৯৮২)। "Stress, hypertension, and the heart: the adrenaline triology"। Lancet2: 1440–1441। 
  3. Pearce., JMS (২০০৯)। "Links between nerves and glands: the story of adrenaline"। Advances in Clinical Neuroscience & Rehabilitation9: 22–28.। 
  4. Peet, Alisa (২০১২-০২-০১)। Marks' Basic Medical Biochemistry (ইংরেজি ভাষায়)। Lippincott Williams & Wilkins। আইএসবিএন 9781608315727 
  5. Szablewski, Leszek (২০১১-০৪-১৪)। Glucose Homeostasis and Insulin Resistance (ইংরেজি ভাষায়)। Bentham Science Publishers। আইএসবিএন 9781608051892 
  6. Yamashima, Tetsumori (মে ২০০৩)। "Jokichi Takamine (1854-1922), the samurai chemist, and his work on adrenalin"Journal of Medical Biography11 (2): 95–102। আইএসএসএন 0967-7720ডিওআই:10.1177/096777200301100211পিএমআইডি 12717538 
  7. মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান: তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী, শ্রীভূমি পাবলিশিং কোম্পানি, কলকাতা, বছর:১৯৮৬, পৃঃ ৪৮