ঋষিকুল্য নদী

ভারতের নদী

ঋষিকুল্য নদী হল ওড়িশা রাজ্যের অন্যতম প্রধান একটি নদী এবং এর অববাহিকা কন্ধমাল এবং গঞ্জাম জেলার পুরো অঞ্চল জুড়ে রয়েছে। ঋষিকুল্য পূর্বঘাট পর্বতমালার দারিংবাড়ি পাহাড়ের প্রায় ১০০০ মিটার উচ্চতায় উৎপন্ন হয়েছে। নদীটি যে জায়গা থেকে উৎপন্ন হয়েছে, সেই দারিংবাড়ি জায়গাটিকে 'ওড়িশার কাশ্মীর' বলা হয়ে থাকে। নদটি ১৯°০৭' উত্তর থেকে ২০°১৯' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৪°০১' পুুুর্ব থেকে ৮৫°০৬' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের ভৌগোলিক স্থানাঙ্কের মধ্যে অবস্থিত। এটি গঞ্জামের পুরুনা বাঁধায় বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে। এর উপনদীগুলি হল বাঘুয়া, ধনেই, বদনাদি ইত্যাদি। এটির মোহানায় তেমন কোন ব-দ্বীপ নেই।

ঋষিকুল্য নদী
ঋষিকুল্য নদী
ব্যুৎপত্তিFrom Odia
স্থানীয় নামଋଷିକୁଲ୍ୟା ନଦୀ {{স্থানীয় নামের পরীক্ষক}} ত্রুটি: প্যারামিটারের মান ত্রুটিপূর্ণ (সাহায্য)
অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যওড়িশা
প্রশাসনিক
অঞ্চল
কান্ধামল, গঞ্জাম
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
উৎস 
 • অবস্থানদারিংবাড়ি, কন্ধমাল, ওড়িশা, ভারত
 • স্থানাঙ্ক১৯°০৪′ উত্তর ৮৪°০১′ পূর্ব / ১৯.০৭° উত্তর ৮৪.০১° পূর্ব / 19.07; 84.01
মোহনাপুরুনা বাঁধা, বঙ্গোপসাগর
 • অবস্থান
ছত্রপুর, গঞ্জাম, ওড়িশা, ভারত
 • উচ্চতা
০ মি (০ ফু)
দৈর্ঘ্য১৬৫ কিমি (১০৩ মা)
অববাহিকার আকার৭৭০০ বর্গ কিমি
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য
উপনদী 
 • বামেবাঘুয়া, ধনেই, বদনাদি
 • ডানেঘোড়াহাদা

নদীর যাত্রাপথ

সম্পাদনা

নদীটি কন্ধমাল জেলার দারিংবাড়ি পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গঞ্জাম জেলায় এটি সুরডা, ধরকোট, আশিকা, পিতলা, পুরুষোত্তমপুর, তারাতারিনী, প্রতাপপুর, আল্লাদিগাম, ব্রহ্মপুর, গঞ্জম এবং ছত্রপুর ব্লকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, এবং এর অববাহিকা অঞ্চলটি ৭৭০০ কিমি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।

জলপাইরঙা সাগর কাছিমের (অলিভ রিডলি টার্টল) সমীক্ষা

সম্পাদনা

১৯৯৩ সালে, ওড়িশা বন বিভাগ এবং ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার জীববিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছিলেন যে ঋষিকুল্য নদীর মুখের কাছে জলপাইরঙা সাগর কাছিমের দল প্রচুর সংখ্যায় এসে বাসা বাঁধছে। এই অঞ্চলটি ভারতের জলপাইরঙা সাগর কাছিমের বৃহত্তম বাসা নির্মাণ করা (আরিবাদা) স্থানের একটি।[] নদীমুখের নিকটবর্তী গ্রামগুলি হল পালি বাঁধা, পুরুনা বাঁধা, গোখরা কুদা এবং কান্তিয়া পাড়া, যেখানে জলপাইরঙা সাগর কাছিমের বাসা দেখতে পাওয়া যায়। এইগুলি হলো জেলেদের গ্রাম।

নগর কেন্দ্র

সম্পাদনা
 
গঞ্জাম দুর্গ থেকে ঋষিকুল্য নদীর দৃশ্য

ব্রহ্মপুর শহরটি এই নদীর অববাহিকায় অবস্থিত এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি হল ছত্রপুর, গঞ্জাম, আসকা, ভাঞ্জানগর, বেল্লাগুন্থা এবং সুরডা

নদীর অববাহিকা অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শিল্প স্থাপিত হয়েছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে গ্রাসিম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-গঞ্জাম রাসায়নিক বিভাগ (পূর্বে জয়শ্রী রাসায়নিক লিমিটেড), আসকা (আশিকা) কো-অপারেটিভ সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নুয়াগাম, আসকা স্পিনিং মিলস, মনোরমা কেমিক্যাল ওয়ার্কস লিমিটেড, ওড়িশা টিউবস প্রাইভেট লিমিটেড ইত্যাদি। এখানে প্রায় ৩৩৬০ সংখ্যক বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে। এগুলির মধ্যে প্রধান খাদ্য ও তার সহযোগী শিল্প, বন ও কাঠ ভিত্তিক শিল্প, রাবার এবং প্লাস্টিক পণ্য এবং গ্লাস এবং সিরামিক শিল্প। এখানে বনভিত্তিক শিল্প স্থাপনের পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। অববাহিকা অঞ্চলটি খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। প্রধান অর্থনৈতিক খনিজগুলি হল কাদামাটি, চুনাপাথর, ম্যাঙ্গানিজ, বালির অভ্রক, কালো বালি এবং পেষক পদার্থ (গ্রাইন্ডিং মেটেরিয়াল)।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

টেমপ্লেট:Hydrography of Odisha