ইসলামি জাদুঘর, জেরুসালেম

মধ্যপ্রাচ্যের জেরুসালেম নগরীর একটি জাদুঘর

ইসলামী জাদুঘর (আরবি: متحف الآثار الإسلامية, অনুবাদ'ইসলামি পুরাকীর্তি জাদুঘর') জেরুসালেমের পুরনো শহরের হারাম আল-শরিফের একটি জাদুঘর। বেশ কয়েকটি মুসলিম অঞ্চলকে ঘিরে ইসলামী ইতিহাসের দশ সময়কাল ধরে প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হচ্ছে। আল-আকসা মসজিদ সংলগ্ন জাদুঘরটি অবস্থিত।

ইসলামী জাদুঘর, জেরুসালেম
ISR-2013-Jerusalem-Temple Mount-Islamic Museum
ইসলামী জাদুঘরের প্রবেশদ্বার
মানচিত্র
স্থাপিত১৯২৩
অবস্থানজেরুসালেম
ধরনইসলামিক ঐতিহাসিক জাদুঘর
সংগ্রহ
  • কুরআনের পাণ্ডুলিপি
  • ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্র
  • কামান
  • ইসলামী ইতিহাস ও সভ্যতা
  • গাছের কাণ্ড
  • বিশ্ব সভ্যতা
প্রতিষ্ঠাতাসুপ্রিম মুসলিম কাউন্সিল
তত্ত্বাবধায়কসর্বপ্রথম খাদের সালামেহ
ইসলামী জাদুঘরের প্রবেশদ্বার
আল-আকসা মসজিদের পশ্চিম প্রাচীরের সম্মুখভাগে একটি করিন্থীয় কলাম সহ মন্দির মাউন্টের ইসলামিক জাদুঘরের উঠোন।

ইতিহাস

সম্পাদনা

ভবনটি মূলত নাইটস টেম্পলার দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। যা মূলত প্রাচীন আল-আকসা মসজিদের জন্য তাদের সদর দফতর হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। জেরুসালেম মুসলিমদের দ্বারা পুনরুদ্ধারের পরে, মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল ১১৯৪ খ্রিস্টাব্দে।[] বিল্ডিংটি ফখরুদ্দীন মুহাম্মদ বিদ্যালয়ের একটি অ্যাসেম্বলি হল হিসেবে পরিবেশন করেছিল, যা মামলুক যুগে আল-মনসুর কালাওয়ুন দ্বারা নির্মিত একটি মাদরাসা ছিল। [] সুপ্রিম মুসলিম কাউন্সিল ১৯২৩ সালে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। শাদিয়া ইউসুফ তৌকান জাদুঘরের প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন। খাদের সালামেহ ছিলেন যাদুঘরের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক। []

চিত্র প্রদর্শনী

সম্পাদনা

ইসলামী জাদুঘরে হাসেকি সুলতান ইমারতে ব্যবহৃত একটি স্যুপ রান্নাঘরের বিশাল তামার স্যুপ ক্যাটলগুলি প্রদর্শিত হয়, যা প্রথম সুলায়মান স্ত্রী হুররাম সুলতানের অনুদানে নির্মিত হয়েছিল। ১৬ শতাব্দীর কাঁচের জানালা, দাগযুক্ত কাঠের প্যানেলগুলি প্রদর্শন করা হয় যা প্রথম সুলায়মানের রাজত্বকালে ব্যবহৃত হয়েছিল। এছাড়াও প্রদর্শনীতে রমাজনের রোজা ভাঙ্গার ঘোষণা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি কামান, অনেক ধরনের অস্র, একটি বিশাল আকারের মোম গাছের কাণ্ড, ১১৭০ এর দশকে নূরউদ্দিন জঙ্গী দ্বারা নির্মিত একটি কাঠের মিম্বরের অংশবিশেষ যা ১৯৬৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান পর্যটক দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল, এবং ১৯৯০ সালে মসজিদুল আকসায় দাঙ্গায় ১৭ ফিলিস্তিনি নিহতদের রক্তের দাগ প্রদর্শন করা হয়। []

কুরআন পাণ্ডুলিপি

সম্পাদনা

উমাইয়া, আব্বাসীয়, ফাতিমীয়, আইয়ুবী, মামলুক, উসমানীয় যুগে খলিফা, সুলতান, আমির, উলামা ও বেসরকারী ব্যক্তিদের সময়ে আল-আকসা মসজিদে দান করা এই জাদুঘরে কুরআনের ৬০০টি কপি রয়েছে। প্রতিটির আকার, ক্যালিগ্রাফি এবং অলঙ্কার পৃথক পৃথক। একটি হস্তলিখিত কুরআন আছে যার প্রতিলিপি মুহাম্মদ-এর মহান নাতির মাধ্যমে করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। অন্য আরেকটি কুরআন রয়েছে যা ৮ম-৯ম শতাব্দীর কুফিক লিপিতে রচিত। ৩০অংশ বিশিষ্ট মরোক্কোর রাবা সুলতান আবুল হাসানের আল-মারিনি দ্বারা দানকৃত কুরআন রয়েছে, যার শুধুমাত্র তিনটি পাণ্ডুলিপি ইসলামের তিন পবিত্র শহরের মসজিদ মক্কা, মদিনা এবং জেরুসালেমে পাঠিয়েছিলেন। এছাড়াও, ১০০ বাই ৯০ সেন্টিমিটার (৩.৩ ফু × ৩.০ ফু) পরিমাপের ১৪ শতাব্দীর একটি খুব বড় কুরআন রয়েছে। []

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Museum With No Frontiers (MWNF) (ইংরেজি ভাষায়)
  2. Al-Aqsa Library and Islamic Museum ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ আগস্ট ২০১১ তারিখে আর্চনেট ডিজিটাল লাইব্রেরি (ইংরেজি ভাষায়)
  3. The Islamic Museum ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ মে ২০০৮ তারিখে Jerusalemites

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা