ইউসুফ বাঙ্গালী
মুফতি ইউসুফ বাঙ্গালী ষোড়শ শতকের শত্তারী তরীকার একজন পীর ছিলেন।[১] ফারুকী ও মোগল বাদশাহ আকবরের শাসনামলে তিনি একজন বিশিষ্ট ওস্তাদ ছিলেন।[২]
ইউসুফ বাঙ্গালী | |
---|---|
অন্য নাম | ইঊসুফ |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ইউসুফ |
সমাধিস্থল | বুরহানপুর, ভারত |
ধর্ম | ইসলাম |
উদ্ভব | ১৬শ শতাব্দী |
সন্তান | আব্দুল্লাহ আব্দুর রহমান |
আখ্যা | সুন্নি |
অন্য নাম | ইঊসুফ |
ক্রম | শত্তারী তরীকা |
মুসলিম নেতা | |
শিক্ষক | ওজীহুদ্দীন আলবী |
ভিত্তিক | আহমদাবাদ |
শিক্ষার্থী | |
যার দ্বারা প্রভাবিত |
পটভূমি
সম্পাদনাইউসুফ, বাঙ্গালী বংশোদ্ভূত। তিনি আরও ইসলামী তালীমের জন্য বর-ই-সগীর জুড়ে সফর করেছিলেন, শেষে ওজীহুদ্দীন আলবীর শাগরেদ ও মুরীদ হয়েছিলেন।[৩]
কর্মজীবন
সম্পাদনাআলবী সাহেবের এজাজত নিয়ে, তিনি বুরহানপুরে বসতি স্থাপন করেন ও সেখানে তিনি একটি খানকা এবং একটি মাদ্রাসা পরিচালনা শুরু করেন।[৪][২]
ইউসুফ সাহেব শত্তারী তরীকার একজন বিশিষ্ট বাঙ্গালী বংশোদ্ভূত আলেমদের মধ্যে ছিলেন, অন্যান্য বাঙ্গালী বংশোদ্ভূত শত্তারী পীর হলেন শ্রীহট্টের আলী শের এবং লখনৌতির শাহ মনঝন।[২] ঈসা বুরহানপুরী ও পীর মুহম্মদ বিন আব্দুল হলীম ইউসুফের অধীনে পড়াশোনা করেন। মুফতি ইউসুফ সাহেব মুসলিম শিশুদের খৎনাও করাতেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সাকা জী বুরহানপুরী, যিনি পরবর্তীতে বুরহানপুরের অন্যতম বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন হয়ে ওঠেন। যদিও ইউসুফের অনেক শাগরেদ ছিল, তবুও তিনি কাউকে তাঁর মুরীদ হতে কবুল করেননি এবং পরিবর্তে তাঁর শাগরেদদের তাঁর সমসাময়িক তাহির ইউসুফ সিন্ধির কাছে নির্দেশ দেন। তার দুই ছেলে আবদুল্লাহ ও আব্দুর-রহমান, যারা উভয়েই সিন্ধি সাহেবের মুরীদ হয়েছিলেন, তাদেরও একই মানসিকতা ছিল।[৩]
আরও দেখুন
সম্পাদনা- আলা বখশ, আরেকজন ষোড়শ শতাব্দীর বাঙ্গালী আলিমে দ্বীন
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ গাজী, সাঈদ আবদুল্লাহ শাহ। হজরত শাহ মুহাম্মদ ঘৌস গোয়ালিয়র। ভারত।
- ↑ ক খ গ কুদ্দুসী, মোহাম্মদ ইলিয়াস (২০০২)। Khandesh Under the Mughals, 1601-1724 A.D.: Mainly Based on Persian Sources [মুঘলদের অধীনে খানদেশ, ১৬০১-১৭২৪ : প্রধানত পারস্য উৎসের উপর ভিত্তি করে] (ইংরেজি ভাষায়)। নয়াদিল্লি: ইসলামিক ওয়ান্ডার্স ব্যুরো। পৃষ্ঠা ১২২–১৩৬।
- ↑ ক খ (۶۰۸) یاد شیخ یوسف بنگالی رحمہ اللہ। গুলজার-ই-আবরার (উর্দু ভাষায়)। পৃষ্ঠা ৩৫৮-৩৫৯।
- ↑ কাজী মঈন উদ্দিন আহমদ (১৯৬৩)। History of the Shattari Silsila [শত্তারী সিলসিলার ইতিহাস] (ইংরেজি ভাষায়)। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৪০–১৪১, ২৭২।