আহম্মদ উদ্দিন শাহ্ শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজ

বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলায় অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

আহম্মদ উদ্দিন শাহ্ শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজ বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলায় অবস্থিত একটি বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

আহম্মদ উদ্দিন শাহ্ শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজ
Ahammad Uddin Shah Shishu Niketon School and College
ভবনগুলোর একাংশ
প্রাক্তন নাম
শিশু নিকেতন, গাইবান্ধা
ধরনবেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক
স্থাপিত২৪ জানুয়ারি ১৯৮২; ৪২ বছর আগে (1982-01-24)
ইআইআইএন১২১১৯০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
অধ্যক্ষপ্রফেসর ড. মো. আব্দুল কাদের
উপাধ্যক্ষমো. মশিউর রহমান সরকার
অবস্থান
গোডাউন রোড, সদর, গাইবান্ধা
,
২৫°১৯′৩০″ উত্তর ৮৯°৩৭′৪০″ পূর্ব / ২৫.৩২৫০° উত্তর ৮৯.৬২৭৮° পূর্ব / 25.3250; 89.6278
শিক্ষাঙ্গনশহর
ভাষাবাংলা
পোশাকের রঙ  সাদা
  নেভি ব্লু
সংক্ষিপ্ত নামAUSSNSC
অধিভুক্তি
ওয়েবসাইটaussnsc.edu.bd
মানচিত্র
ম্যাপে আহম্মদ উদ্দিন শাহ্ শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজ

ইতিহাস

সম্পাদনা

শহরের ক’জন বিদ্বানুরাগীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৮২ সালের ২৪ জানুয়ারি বর্তমান গাইবান্ধা সরকারি মহিলা কলেজ চত্বরে শিশু নিকেতন, গাইবান্ধা নামে প্রতিষ্ঠানটির সূচনা হয়।

১৯৮৫ সালের জুন মাসে শহরের গোডাউন রোডে শাহজাদা আনোয়ারুল কাদিরের দানকৃত জমিতে নিজস্ব ভবনে প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তর করা হয়। দানের শর্তানুযায়ী প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে এর নামকরণ করা হয় আহম্মদ উদ্দিন শাহ্ শিশু নিকেতন স্কুল

২০০২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে এর নামকরণ হয় আহম্মদ উদ্দিন শাহ্ শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজ[]

শিক্ষক-শিক্ষার্থী

সম্পাদনা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে আনুমানিক ৫,০০০ জন শিক্ষার্থী, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগের ২টি শাখা এবং প্রায় ১০০ এর অধিক সুদক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ৩০-৪৫ জন কর্মচারী রয়েছেন।

শিক্ষাকার্যক্রম

সম্পাদনা

প্রথমবার পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেই বোর্ডের শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে এ প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৫ সালে লাভ করে একাডেমিক স্বীকৃতি। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ট্রাস্টি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সরকার মনোনীত একটি বিশেষ ধরনের গভর্নিং বডি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।[]

বর্তমানে প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষক দ্বারা শিক্ষার্থীর সার্বক্ষণিক খোজ খবর রাখা হয় ও লেখাপড়ার সার্বিক বিষয় মনিটরিং করা হয়। এছাড়াও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষার উপযোগী করে তোলার জন্য প্রতিমাসেই নিয়মিতভাবে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে মেধা যাচাই করা হয়।

সুযোগ-সুবিধা

সম্পাদনা

স্কুল ও কলেজ ছাত্রদের জন্য আলাদা আবাসিক ব্যবস্থা, নামমাত্র ভাড়ায় পরিবহন সুবিধা, গরিব ও মেধাবি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ছাত্রকল্যাণ তহবিল, বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রদের টিউশন ফি মওকুফ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। কর্তৃপক্ষ একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়মিত প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করে থাকে। প্রতিষ্ঠান চত্বরে রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া বা ক্যান্টিন[]

সহশিক্ষা কার্যক্রম

সম্পাদনা

বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান, সাহিত্য, বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা প্রভৃতি কার্যক্রমের আয়োজন করা হয় এখানে। ২০১৪ সালে পর পর দুটি জাতীয় পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ানশিপসহ শ্রেষ্ঠ বক্তা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে এই প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা।[] বর্তমানে নিয়মিত বিজ্ঞান অলিম্পিয়ার্ডও আয়োজিত হয়।

প্রকাশনা

সম্পাদনা

ছাত্রছাত্রীদের মানস ও মনন বিকাশের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকাশিত হয় বার্ষিকী।[]


তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. http://www.asnsc.edu.bd ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে আহম্মদ উদ্দিন শাহ্ শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজ, গাইবান্ধা এর ওয়েবসাইট।
  2. আহম্মদ উদ্দিন শাহ্ শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজ, গাইবান্ধা হতে প্রকাশিত "বার্ষিকী ২০১৫" তে প্রকাশিত 'অগ্রযাত্রার পথ-পরিক্রমা'

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা