আর্মেনিয়া-ব্রাজিল সম্পর্ক
আর্মেনিয়া-ব্রাজিল সম্পর্ক, আর্মেনিয়া এবং ব্রাজিল এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ব্রাজিলে অবস্থিত আর্মেনীয় সম্প্রদায় লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম (আর্জেন্টিনা এর পর)। ব্রাজিলে, আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের প্রায় ১ লক্ষ মানুষ বাস করে। [১]
আর্মেনিয়া |
ব্রাজিল |
---|
ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়াতে আর্মেনিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[২] অপরদিকে, আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভান-এ ব্রাজিলের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[৩]
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮০০ এর দশকের শেষ দিকে, ব্রাজিলে প্রথমবারের মত আর্মেনীয়দের আগমন ঘটে। তবে, ১৯২০ সালে, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আর্মেনীয় ব্রাজিলে যান। এর অধিকাংশই লেবানন এবং সিরিয়া থেকে ব্রাজিলে যান। অটোম্যান সাম্রাজ্যর করা আর্মেনীয় গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া অনেকেও ব্রাজিলে গমন করেন।[১]
ব্রাজিলে যাওয়া অধিকাংশ আর্মেনীয়ই ব্রাজিলের সাও পাওলো অঞ্চলে বসবাস করেন। আর্মেনিয়া পূর্বে অখণ্ড সোভিয়েত ইউনিয়ন এর অংশ ছিল। পরে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যে ১৫ টি পৃথক এবং স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়, আর্মেনিয়া তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয় এবং আর্মেনিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে, আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী রাফি হোভহানিসিয়ান, রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রাজিলে যান। তার সেই সফরের উদ্দেশ্য ছিল, ব্রাজিল এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা।[৪] ১৯৯২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, আর্মেনিয়া এবং ব্রাজিল এর মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।[৫]
১৯৯২ সালের জুন মাসে আর্মেনিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, লেভোন তার-পেত্রোসিয়ান এক রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রাজিলে যান।[৫] ১৯৯৮ সালে, আর্মেনিয়া ব্রাজিলের সাও পাওলোতে নিজেদের একটি কনস্যুলেট-জেনারেল চালু করে। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে ব্রাজিল, আর্মেনিয়ার ইয়েরেভেনে নিজেদের দূতাবাস চালু করে। ২০১০ সালে, সাও পাওলোতে অবস্থিত আর্মেনীয় কনস্যুলেট-জেনারেল কে অবনমিত করে অনারারি কনস্যুলেটে পরিণত করা হয়। তবে পরবর্তীতে ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায়, আর্মেনিয়া তাদের দূতাবাস চালু করে।[১] ২০১৫ সালে ব্রাজিলের ফেডারেল সিনেট, আর্মেনীয় গণহত্যাকে, গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[৬]
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
সম্পাদনা১৯৯২ সালে, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর, ব্রাজিল এবং আর্মেনিয়া বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষর করেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ২০০২ সালে, উভয় দেশের কূটনৈতিক এবং সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের বিষয়ে চুক্তি এবং ওই একই সালেই সাক্ষরিত হওয়া, সাংস্কৃতিক সমন্বয় চুক্তি।[৫]
১৯৮৫ সালে, সাও পাওলো শহরের একটি মেট্রো স্টেশনের নামকরণ করা হয় আর্মেনিয়ার নামে। একইভাবে ২০০৩ সালে, আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভেনে একটি চত্বরের উদ্ভোদন করা হয় এবং এর নামকরণ করা হয় ব্রাজিলের নামে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ Armenian embassy in Brazil: About Community
- ↑ Embassy of Armenia in Brazil
- ↑ Embassy of Brazil in Armenia
- ↑ "Brazilian Ministry of Foreign Affairs: Armenia"। ১০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "Armenian Ministry of Foreign Affairs: Brazil"। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Federal Senate of Brazil Recognizes Armenian Genocide