আবুল হাশিম
আবুল হাশিম (জানুয়ারি ২৭, ১৯০৫ - অক্টোবর ৫, ১৯৭৪) ভারত উপমহাদেশের একজন মুসলিম জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ ও ইসলামি চিন্তাবিদ ছিলেন।[১] তিনি বাংলাদেশের বামপন্থি বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরের পিতা।বদরুদ্দীন উমরও একজন সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ।
আবুল হাশিম | |
---|---|
বর্ধমান জেলা মুসলিম লীগ | |
কাজের মেয়াদ ১৯৩৭-১৯৪৩ | |
উত্তরসূরী | মৌলভী আবুল কাশেম |
বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগ | |
কাজের মেয়াদ ১৯৪৩-১৯৪৭ | |
পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক আইনসভা | |
বঙ্গীয় আইনসভা | |
কাজের মেয়াদ ১৯৪৬-১৯৪৭ | |
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ | |
কাজের মেয়াদ ১৯৫২ | |
খেলাফতে রব্বানী পার্টি | |
কাজের মেয়াদ ১৯৫৩-১৯৫৬ | |
ইসলামি একাডেমী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬০-১৯৭০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, ব্রিটিশ ভারত | ২৭ জানুয়ারি ১৯০৫
মৃত্যু | ৫ অক্টোবর ১৯৭৪ ঢাকা | (বয়স ৬৯)
রাজনৈতিক দল | মুসলিম লীগ, খেলাফতে রব্বানী পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | মাহমুদা আখতার মেহেরবানু বেগম |
সন্তান | বদরুদ্দীন মহম্মদ উমর, শাহাবুদ্দীন মহম্মদ আলী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | আইন ব্যবসায় |
জন্ম
সম্পাদনাআবুল হাশিম ১৯০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের কাশিয়াড়ায় জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আবুল কাশেম বর্ধমানের কংগ্রেসের বিধায়ক ও একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিলেন।[২]
শিক্ষা
সম্পাদনা১৯২৩ সালের বর্ধমান মিউনিসিপাল স্কুল থেকে আবুল হাশিম ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে, কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯২৫ সালে আইএ এবং ১৯২৮ সালের বিএ পাস করেন। ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে বিএল উপাধি লাভ করে বর্ধমান আদালতে আইন ব্যবসায় শুরু করেন।[২]
রাজনীতি
সম্পাদনাব্রিটিশ ভারতে রাজনীতি
সম্পাদনাআবুল হাশিম ১৯৩০ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা হিসেবে যোগ দেন। মুসলিম লীগে যোগ দিয়ে তিনি এর উদারপন্থি অংশ গড়ে তোলার কাজে মনোনিবেশ করেন। অনেক প্রগতিশীল বাঙালি মুসলিম তরুণকে তিনি উদ্বুদ্ধ করেন।[৩] ১৯৩৬ সালে তিনি বর্ধমান থেকে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বঙ্গীয় আইন সভায় সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালের মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯৩৮ সালে তিনি বর্ধমান জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি ও ১৯৪২ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৩ সালের ৭ নভেম্বর মুসলিম লীগ কাউন্সিল সভায় বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।[৪]
ভারত বিভাগ ও স্বাধীন বাংলা
সম্পাদনা১৯৪০ সালে মুসলিম লীগের লাহোর প্রস্তাবে পাকিস্তানকে একটি অখণ্ড রাষ্ট্র হিসেবে দাবি না করে ভারতের উত্তর পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছিল। সেই হিসেবে বাংলায় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হবার কথা। কিন্তু ১৯৪৬-এর নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৪৬ এর ৯ এপ্রিল দিকে দিল্লিতে আহূত মুসলিম লীগের নবনির্বাচিত বিধায়কদের সভায় মুহম্মদ আলী জিন্নাহ্র পরামর্শে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তান প্রস্তাব পেশ করেন।[৫] জিন্নাহর এই প্রস্তাব উত্থাপনের পর বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশিম খুব দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করেন।[৬] এরপর ভাষাভিত্তিক স্বাধীন বাংলা গঠনের প্রচেষ্টায় আবুল হাশিম বাঙালি কংগ্রেস নেতা শরৎচন্দ্র বসুর সাথে দেখা করেন। এদিকে ভারতের ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের তাঁর চিফ অফ স্টাফ লর্ড ইসম্কে ভারত বিভাগের ভিত্তিতে একটি পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন। এই পরিকল্পনাটি প্ল্যান বলকান নামে পরিচিত। এই বলকান পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারতকে দুইয়ের অধিক অংশে বিভক্ত করার কথা হয়েছিল। ভারত ও পাকিস্তানকে দুই অংশে বিভক্ত করা এবং এর যে-কোনো অংশের অন্তর্গত কোনো প্রদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গঠিত হতে চাইলে তার ব্যবস্থাও এই পরিকল্পনার মধ্যে ছিল। কিন্তু কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহেরু ও কংগ্রেসের তীব্র বিরোধিতায় শেষ পর্যন্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলা গঠনের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে রোধ করে। ১৯৪৭ সালের ১০ মে আবুল হাশিম শরৎচন্দ্র বসুর সাথে মহাত্মা গান্ধীর সাথে তার সোদপুর আশ্রমে দেখা করেন। সেখানে আবুল হাশিম গান্ধীর নিকট সাধারণ ভাষা, সাধারণ সংস্কৃতি এবং সাধারণ ইতিহাস যা হিন্দু মুসলমান উভয়কে একসূত্রে আবদ্ধ করেছিল, তার উপর ভিত্তি করে 'যুক্ত বাংলা’র উপর তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন।[৭]
পাকিস্তান আমলে রাজনীতি
সম্পাদনা১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ আইন সভায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দেন। এরপর পঞ্চাশের দশকের শুরুতে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৫২ সালে তিনি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য নিযুক্ত হন। ভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকায় তিনি ১৯৫২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন এবং প্রায় ১৬ মাস কারাভোগের পর মুক্তিলাভ করেন। এরপর থেকে তিনি খেলাফতে রাব্বানী পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ পার্টির সভাপতি ছিলেন।[৪]
আইয়ুব খানের শাসনামলে আবুল হাশিম ইসলামিক একাডেমির (যেটি বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন নামে পরিচিত) পরিচালক ছিলেন। এ পদে থাকাকালীন তাঁর উদ্যোগে কুরআন শরিফের মূল আরবি থেকে বাংলায় তর্জমা প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়ও তিনি আইয়ুব খানের বাঙালি বিরোধী কার্যক্রমের প্রতিরোধ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালের ২২ জুন পাকিস্তান সরকারের বেতারমন্ত্রী খাজা শাহাবুদ্দীন রেডিও-টেলিভিশন থেকে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার বন্ধের ঘোষণা করলে তিনি এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান। [৮]
রচনাবলি
সম্পাদনাবই
সম্পাদনা- The Creed of Islam or the Revolutionary Character of Kalima, নভেম্বর ১৯৫০। ইসলামি একাডেমী, ২য় সংস্করণ: ১৯৬৩, ৩য় সংস্করণ: ১৯৭০)। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৪। বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি, মে, ১৯৯৭, ২য় সংস্করণ: ২০১১। ইসলামের মর্মবাণী নামে বদরুদ্দীন উমর কর্তৃক অনূদিত, ৩১ আগস্ট, ১৯৬২। ইসলামের মর্মকথা নামে মুসলিম চৌধুরী কর্তৃক বাংলায় অনূদিত। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ১৯৮১। রুক্কু শাহ্ ক্রিয়েটিভ পাবলিশার্স কর্তৃক অনুবাদের পুনর্মুদ্রণ, ২০১৬।[৯][৪]বাঙ্গালা গবেষণা (২০২০)[১০]
- As I See It [আমি যেভাবে দেখি]। শাহেদ আলী, ১৯৬৫। বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি, ৩য় সংস্করণ (১৯৯৭)[১১]। রেডিও পাকিস্তান, ঢাকা এবং নানান সেমিনার-সিম্পোজিয়া ও সাহিত্য-সভায় প্রদত্ত প্রবন্ধনিচয়ের সংকলন। সংকলিত প্রবন্ধনিচয়:
- Categories of Understanding of Divine Will and Action
- The Beautiful Model of Human Conduct
- Islamic Mind
- Islamic Concept: Natural Religion
- Islamic Way of Life: Its Social Base
- Human Rights in Islam
- Contribution of Pakistan to Humanity
- On Alcoholic Drinks
- A Short Sketch of the Philosophy of Islam with a Prefatory Note on Natural Philosophy
- Islamic Values which should form the Basis of Social Reconstruction in Pakistan
- Islam and Economic Problems
- Muslim View of the Family and the Place of Women in Islamic Society
- The Miraj
- History of Islam
- Greatness of a Nation[৪]
- Integration of Pakistan। সৈয়দ মুজিবউল্লাহ, ১৯৬৭।পাকিস্তানের সংহতি নামে অনূদিত। ইসলামি একাডেমী, ১৯৭০।
- Arabic Made Easy। খুরশীদ আজম, ১৯৬৯। আইয়ুব খানের প্রতি উৎসর্গীকৃত। বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি (দ্বিতীয় সংস্করণ)।[৪]
- রব্বানীর দৃষ্টিতে। আবুজর গিফারী সোসাইটির পক্ষে অধ্যাপক শাহেদ আলী, ১৯৭০।[৪] সংকলিত নিবন্ধসমূহ:
- আল ফাতিহা
- ইজতিহাদ (ইসলামি একাডেমী পত্রিকা, জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯৬২)
- সমাজের জন্ম ও জীবন
- সমাজ জীবনে গতি বৈচিত্র্য (ইসলামি একাডেমী পত্রিকা, অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৯৬২)
- সমাজ পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় ইসলামী মূল্যবোধ (ইসলামি একাডেমী পত্রিকা, জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯৬২)
- ইসলাম ও অর্থনৈতিক সমস্যা
- ইসলামী সংস্কৃতির অর্থ (ইসলামি একাডেমী পত্রিকা, এপ্রিল-জুন ১৯৬১)
- ইসলামে পরিবারের মর্যাদা ও নারীর স্থান (ইসলামি একাডেমী পত্রিকা, জুন-মার্চ ১৯৬৩)
- ফারুকী খিলাফত (ইসলামি একাডেমী পত্রিকা, জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯৬৩)
- আতিশয্যের শেষ পরিণতি (ইসলামি একাডেমী পত্রিকা, এপ্রিল-জুন ১৯৬৩; সাপ্তাহিক মিল্লাতে পুনর্মুদ্রিত)[৪]
- In Retrospection। বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি, নভেম্বর, ১৯৭৪।[৪] সুবর্ণ, ২০১৮[১২]। আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলারদেশের রাজনীতি নামে শাহাবুদ্দীন মহম্মদ আলী কর্তৃক অনূদিত, ১৯৭৮। নওরোজ কিতাবিস্তান, ১৯৮৭। চিরায়ত প্রকাশনের পক্ষে শিবব্রত গঙ্গোপাধ্যায় (কলকাতা), ১৯৮৮। বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি (দ্বিতীয় সংস্করণ)। অ্যাডর্ন পাবলিকেশন, জুন, ২০১২, ফেব্রুয়ারি, ২০১৮।[২]বাঙ্গালা গবেষণা (২০১৯)।[১৩]
পুস্তিকা
সম্পাদনা- Let us go to war (৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ তারিখে প্রকাশিত তাঁর প্রেস বিজ্ঞপ্তি)[৪]
মৃত্যু
সম্পাদনা১৯৬০ সালে আবুল দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় পড়ে যান এবং ১৯৭০ সালে তিনি পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যান। এ অবস্থায়ই আবুল হাশিম ১৯৭৪ সালের ৫ অক্টোবর মৃত্যু বরণ করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া। হাশিম, আবুল। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি।
- ↑ ক খ গ হাশিম, আবুল (২০১৮)। আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি। ঢাকা: অ্যাডর্ন পাবলিকেশন।
- ↑ তোয়াহা, মহম্মদ (২০০০)। "স্মৃতিকথায় আবুল হাশিম"। মনসুর আহমদ, সৈয়দ। আবুল হাশিম: তাঁর জীবন ও সময়। ঢাকা: জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ। আইএসবিএন ৯৮৪-৭০০০০-০০১৫-৬
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। - ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ মনসুর আহমদ, সৈয়দ, সম্পাদক (২০১৯)। আবুল হাশিম: তাঁর জীবন ও সময়। ঢাকা: জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ। পৃষ্ঠা ৫৫১–৫৫৩। আইএসবিএন 9847000000156
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)। - ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-রফিকুল ইসলাম; পৃষ্ঠা: ১২৯
- ↑ বঙ্গভঙ্গ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি- বদরুদ্দীন উমর; পৃষ্ঠা: ১৮
- ↑ বঙ্গভঙ্গ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি- বদরুদ্দীন উমর; পৃষ্ঠা: ৪৭
- ↑ বাংলা একাডেমি চরিতাবিধান
- ↑ হাশিম, আবুল (২০১৬)। ইসলামের মর্মকথা। চৌধুরী, মুসলিম কর্তৃক অনূদিত। রুক্কু শাহ্ ক্রিয়েটিভ পাবলিশার্স।
- ↑ "ইসলামের মর্মকথা - আবুল হাশিম"। www.rokomari.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬।
- ↑ "As I See It - Abul Hashim"। www.rokomari.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৫।
- ↑ "In Retrospection - Abul Hashim"। www.rokomari.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৫।
- ↑ "আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি - আবুল হাশিম"। www.rokomari.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬।