আতাউল্লাহ হাফেজ্জী

বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ

আতাউল্লাহ হাফেজ্জী (জন্ম: ১০ জানুয়ারি ১৯৪৮) একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ার পরিচালক এবং আম্বরশাহ শাহী জামে মসজিদের প্রধান খতিব।

আমিরে শরিয়ত
আতাউল্লাহ হাফেজ্জী
৩য় আমীর, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৯ নভেম্বর ২০১৪
পূর্বসূরীআহমাদুল্লাহ আশরাফ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1948-01-10) ১০ জানুয়ারি ১৯৪৮ (বয়স ৭৬)
লুধুয়া, রায়পুর
জাতীয়তাবাংলাদেশি
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
ব্যক্তিগত তথ্য
পিতামাতা
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
প্রধান আগ্রহ

আতাউল্লাহ ১৯৪৮ সালের ১০ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানাধীন লুধুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[] তিনি মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জীর ছোট ছেলে। তিনি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষায় হাফেজ, কারী, দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেছেন।[] তার পিতার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফজলুল হক আমিনীর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির নেতা হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিনিধি সম্মেলনে দলের আমির মনোনীত হন এবং ২০১৫ সালের ৬ আগষ্ট জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ার মুহতামিমের দায়িত্ব পান।[] ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর তিনি পুনরায় দলের আমির নির্বাচিত হন।[]

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদে, ১৯৯৪ সালে নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন ও ২০০১ সালের ফতোয়া বিরোধী আন্দোলনে তিনি সরাসরি নেতৃত্ব দেন। ২০০৭ সালে দৈনিক প্রথম আলো কর্তৃক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ব্যঙ্গ করে কার্টুন ছাপা’র প্রতিবাদে সর্বপ্রথম তিনি ও তার বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্ব দেন এবং পরবর্তীকালে এ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৭ সালে নারী নীতিমালা বাতিলের দাবীতে আন্দোলন করেছেন। ২০১৩ সালে নাস্তিক-মুরতাদ-ব্লগারদের বিরুদ্ধে খেলাফত আন্দোলনের ব্যানারে তিনিই প্রথম আন্দোলনের ডাক দেন। পরবর্তীকালে এ আন্দোলন ‘হেফাজতে ইসলামে’র নেতৃত্বে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়লে হেফাজতের ব্যানারেও তিনি নেতৃত্ব দেন।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. শ্বেতপত্র: বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন। মহাখালী, ঢাকা-১২১২: মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন। ফেব্রুয়ারি ২০২২। পৃষ্ঠা ৯১–৯৩। 
  2. "আমীরে শরীয়ত হাফেজ মাওলানা ক্বারি আতাউল্লাহ হাফেজ্জী"খেলাফত আন্দোলন। ২৭ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২২ 
  3. "খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ ও মহাসচিব হাবিবুল্লাহ মিয়াজী পুননির্বাচিত"আরটিভি। ২৯ নভেম্বর ২০২০।