হাফেজ

যিনি সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেছেন

কুরআনের হাফেজ বা হাফিজ (আরবি: حافظ), এর বাংলা প্রতিশব্দ রক্ষক। তবে হাফেজ বলতে বুঝানো হয় যার সমস্ত কোরআন ৩০ পাড়া মুখস্থ আছে। হাফিজা হাফেজ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ।[]

ইতিহাস

সম্পাদনা

নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৭ম শতাব্দীতে এমন এক আরবে বসবাস করতেন যেখানে খুব কম মানুষই শিক্ষিত ছিলেন। আরবরা তাদের ইতিহাস, বংশবিস্তার এবং কবিতা কণ্ঠস্থ করে রাখতো। মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে যখন মুহাম্মদ সা. কুরআনের আয়াতগুলো বলতেন, তখন সাহাবিরা সেগুলো মুখস্থ করে ফেলতেন। মুহাম্মাদ সা. এর মৃত্যুর পরেও প্রায় ১০-১৫০০০ হাফেজ ছিলো বলে ধারণা করা হয়, যা কুরআনের সত্যতা প্রমাণ করে।

সঠিকভাবে লিখার কোন পদ্ধতি না থাকায়, লিখার চেয়ে মুখস্থ উৎসই বেশি নির্ভরযোগ্য ছিলো সে সময়। সেসময় হাফেজদেরকে তেলওয়াতকারী বা আবৃত্তিকারী হিসেবেও খুব সম্মান করা হতো এবং যারা পড়তে জানতো না তারা এভাবে কুরআনের দ্বারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হতো।

কুরআনে ১১৪টি সূরা ও ৬৬৬৬টি মতান্তরে ৬২৩৬ টি আয়াত রয়েছে। হাফেজ হওয়ার এ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে সাধারণত ৩ থেকে ৬ বছর লাগে। এর জন্যে বিশেষ মাদ্রাসা (হিফজখানা) রয়েছে, যেখানে কুরআন মুখস্থের সাথে সাথে সঠিক উচ্চারণরীতিও শেখানো হয়। মুসলমান সমাজে হাফেজরা খুবই সম্মানিত। তারা তাদের নামের আগে হাফেজ শব্দটি ব্যবহার করে।

নামকরণ

সম্পাদনা

ধ্রুপদী আরবি ভাষার মধ্যে, "হাফিজ" যারা কুরআন মুখস্থ করে তাদের বুঝাতে ব্যবহৃত হতো না। বরং এর পরিবর্তে, ব্যবহৃত শব্দটি ছিলো "হ্যামিল" (অর্থাৎ, যিনি বহন করেন)। হাফেজ শব্দটি হাদিস মুখস্থকারীদের জন্যে ব্যবহার করা হতো বিশেষত যাদের ১,০০,০০০ এর বেশি হাদিস মুখস্থ ছিলো।

কোরআন হাদিস থেকে আলাদা। হাদিস মূলত মুহাম্মাদের ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) কথা, ইঙ্গিত বা সমর্থনকে নির্দেশ করে।

যোগ্যতা

সম্পাদনা

একজন হাফেজ হওয়ার জন্য পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করা আবশ্যক।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা