আজাদ (চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ)
আজাদ হল বাংলাদেশের ঢাকার জনসন সড়কে অবস্থিত একটি চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ। আজাদ হল দেশটির রাজধানীতে অবস্থিত প্রাচীনতম প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে অন্যতম ও চতুর্থ প্রাচীনতম প্রেক্ষাগৃহ।[১]
প্রাক্তন নাম | মুকুল টকিজ (১৯২৯–১৯৬৪) |
---|---|
ঠিকানা | জনসন সড়ক ঢাকা বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪২′৪১″ উত্তর ৯০°২৪′৩৫″ পূর্ব / ২৩.৭১১২৮৮৩° উত্তর ৯০.৪০৯৬২৬৬° পূর্ব |
মালিক | দ্য ঢাকা পিকচার প্যালেস লিমিটেড |
ধরন | চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ |
ধারণক্ষমতা | ১১০০ |
পর্দা | ১ |
চালু | ১৯২৯ |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯২৯ সালে পুরান ঢাকায় "মুকুল টকিজ" নামে একটি চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ মুড়াপাড়ার তৎকালীন জমিদার মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য রমেশচন্দ্র মজুমদার এটি উদ্বোধন করেন। প্রেক্ষাগৃহটি উদ্বোধনের দিনে মুকুল টকিজ দ্য লাস্ট কিস চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করে, যাকে ঢাকায় নির্মিত প্রথম নির্বাক চলচ্চিত্র বলে মনে করা হয়। ১৯৬৪ সালে শের আলী রামজি নামে একজন বলিউড চলচ্চিত্র প্রযোজক কিনে নেওয়ায় মুকুল টকিজের নাম পরিবর্তন করে আজাদ সিনেমা রাখা হয়। এর দশ বছর পর চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহের মালিকানা এ.ইউ.এম. খলিলুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।[২][৩] ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩-এ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে প্রেক্ষাগৃহে অগ্নিকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ে ও এর বেশিরভাগ আসবাবপত্র বিনষ্ট হয়।[৪] কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন প্রেক্ষাগৃহটি ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও ৳১২ লাখ বকেয়া জমে যায়।[৫]
বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনাআজাদ সাধারণত পুরনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে।[৬] এতে ১১০০টি আসন রয়েছে।[৫] আজাদে প্রতিদিন তিনটি শো দেখানো হয়।[৭]
বিতর্ক
সম্পাদনাআজাদ নিম্নমানের ও অশ্লীল চলচ্চিত্র পোস্টারের জন্য জনপ্রিয়। এছাড়া এই প্রেক্ষাগৃহের সাথে মাদকসেবী ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর ম্যানেজার দাবি করেন যে তাদেরকে পোস্টারগুলো চলচ্চিত্র পরিবেশকরা লাগাতে বলে। তবে দ্বিতীয় অভিযোগটি তিনি অস্বীকার করেছেন।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Azad Cinema..." [আজাদ সিনেমা...]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ নভেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ আলী, মাসুম (৭ অক্টোবর ২০১৭)। "আজাদ এখন ঐতিহ্যের কঙ্কাল"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ আহমেদ, রকি (৩১ মে ২০২২)। "আজাদ সিনেমা হল : জীর্ণ প্রেক্ষাগৃহে ভূতও পালায়!"। ভোরের কাগজ। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "পুরান ঢাকার আজাদ সিনেমা হলে আগুন"। রাইজিংবিডি.কম। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ বিশ্বাস, ওয়ালীউল (২ নভেম্বর ২০২০)। "বন্ধের পথে ঢাকার প্রাচীনতম প্রেক্ষাগৃহ আজাদ"। বাংলা ট্রিবিউন। ১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ জোবায়ের, আহসান (২৩ জানুয়ারি ২০২১)। "আজাদ সিনেমা হলের বেহাল দশা"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "বন্ধ হচ্ছে না 'আজাদ' সিনেমা হল"। সময় টিভি। ৪ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২২।