অ্যাগনেস মুরহেড
অ্যাগনেস রবার্টসন মুরহেড (ইংরেজি: Agnes Robertson Moorehead; জন্ম: ৬ ডিসেম্বর ১৯০০ - ৩০ এপ্রিল ১৯৭৪) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি বেতার, মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে ছয় দশক অভিনয় করেছিলেন।[১] তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিক বিউইচড-এ এন্ডোরা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল সিটিজেন কেইন, দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট অ্যাম্বারসন্স, অল দ্যাট হেভেন অ্যালাউস, শো বোট, এবং হাশ... হাশ, সুইট শার্লট।
অ্যাগনেস মুরহেড | |
---|---|
Agnes Moorehead | |
জন্ম | অ্যাগনেস রবার্টসন মুরহেড ৬ ডিসেম্বর ১৯০০ ক্লিনটন, ম্যাসাচুসেটস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ৩০ এপ্রিল ১৯৭৪ রোচেস্টার, মিনেসোটা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭৩)
সমাধি | ডেটন মেমোরিয়াল পার্ক, ডেটন, ওহাইও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৩৩-১৯৭৪ |
দাম্পত্য সঙ্গী | জন গ্রিফিথ লি (বি. ১৯৩০; বিচ্ছেদ. ১৯৫২) রবার্ট গিস্ট (বি. ১৯৫৪; বিচ্ছেদ. ১৯৫৮) |
মুরহেড অল্প সংখ্যক কাজে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। টেলিভিশনে তার নাট্য ও হাস্যরসাত্মক উভয় কাজের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন এবং তার চরিত্রের বিকাশ ও ব্যপ্তির জন্য তিনি একটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার ও দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং চারটি একাডেমি পুরস্কার ও ছয়টি এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন।[২]
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাঅ্যাগনেস মুরহেড ১৯০০ সালের ৬ই ডিসেম্বর ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্লিনটন শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার মাতা মিলড্রেড ম্যাকোলি (১৮৮৩-১৯৯০) ছিলেন একজন গায়িকা এবং তার পিতা জন হেন্ডারসন মুরহেড (১৮৬৯-১৯৩৮) ছিলেন একজন প্রেসবিটেরিয়ান যাজক। তিনি ইংরেজ, আইরিশ, স্কটিশ ও ওয়েলশ বংশোদ্ভূত। মুরহেড পরবর্তীকালে অল্প বয়সী চরিত্রে কাজ করার জন্য ১৯০৬ সালে তার জন্ম হয়েছিল বলে দাবী করতেন। জনসম্মুখে তার প্রথম পরিবেশনা ছিল তার পিতার গির্জায় দ্য লর্ডস প্রেয়ার আবৃতি, তখন তার বয়স ছিল তিন বছর। তারা সপরিবারে মিজুরির সেন্ট লুইসে চলে যায় এবং অভিনেত্রী হওয়ার জন্য তার আগ্রহী আরও বৃদ্ধি পায়।[৪]
কর্মজীবন
সম্পাদনামুরহেডের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় সিটিজেন কেইন-এ অরসন ওয়েলসের চরিত্র চার্লস ফস্টার কেন ভূমিকায় অভিনয় করেন। ছবিটিকে অনেক সমালোচক সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রসমূহের একটি বলে উল্লেখ করে থাকেন। তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট অ্যাম্বারসন্স-এর জন্য তিনি নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি মার্কারি ফিল্ম প্রডাকশনের হয়ে জার্নি ইনটু ফিয়ার (১৯৪৩) চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন।
মুরহেড মিসেস পার্কিংটন (১৯৪৪) ছবিতে অভিনয় করে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং তার দ্বিতীয় একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। দ্য বিগ স্ট্রিট (১৯৪২) ছবিতে হেনরি ফন্ডা ও লুসিল বলের সাথে তার অভিনয়ও প্রশংসিত হয়, কিন্তু তার পরবর্তী দুটি চলচ্চিত্র গভর্নমেন্ট গার্ল (১৯৪৩) ও দ্য ইয়ঙ্গেস্ট প্রফেশন (১৯৪৪) দর্শকদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হয়। ১৯৪৮ সালে জনি বেলিন্ডা ছবিতে অভিনয় করে তার তৃতীয় একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৫]
তিনি মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের হিট ছবি শো বোট-এর পুনর্নিমাণে ক্যাপ্টেন অ্যান্ডির স্ত্রী ও ম্যাগনোলিয়ার মাতা পার্থি হকস চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি বেটি ডেভিস, অলিভিয়া ডা হ্যাভিলন্ড, ম্যারি অ্যাস্টর ও জোসেফ কটেনের সাথে হাশ... হাশ, সুইট শার্লট (১৯৬৪) ছবিতে গৃহপরিচারিকা ভেলমা চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে তার চতুর্থ একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ অবিচুয়ারি, ভ্যারাইটি, ৮ মে ১৯৭৪, পৃ. ২৮৬।
- ↑ "Agnes Moorehead"। এমি (ইংরেজি ভাষায়)। টেলিভিশন একাডেমি। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Agnes Moorehead | American actress"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ কিয়ার, লিন (১৯৯২)। Agnes Moorehead: a Bio-Bibliography। গ্রিনউড প্রেস। আইএসবিএন 9780313281556।
- ↑ লিঞ্চ, জন (২ মার্চ ২০১৮)। "The 21 actors who have gotten the most Oscar nominations without winning one"। বিজনেস ইনসাইডার (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "The 37th Academy Awards | 1965"। অস্কার (ইংরেজি ভাষায়)। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে অ্যাগনেস মুরহেড (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে অ্যাগনেস মুরহেড (ইংরেজি)
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে অ্যাগনেস মুরহেড (ইংরেজি)